নিজস্ব সংবাদদাতা
৩০ অক্টোবর, ২০২৪, 3:49 PM
স্যাটেলাইট ইন্টারনেটের যুগে পা রাখছে বাংলাদেশ
বাংলাদেশে স্যাটেলাইট ইন্টারনেট পরিষেবার জন্য নতুন দিগন্ত উন্মুক্ত হতে যাচ্ছে। বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) সম্প্রতি স্যাটেলাইট ইন্টারনেট পরিষেবার জন্য খসড়া নির্দেশিকা প্রকাশ করেছে। এই নির্দেশিকায় বিদেশি প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য লাইসেন্সের অনুমতি দেওয়া হয়েছে । এর ফলে ইলন মাস্কের স্টারলিংকসহ অন্যান্য স্যাটেলাইটভিত্তিক ইন্টারনেট পরিষেবা সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর বাংলাদেশে প্রবেশের সুযোগ তৈরি হলো।
‘বাংলাদেশে নন-জিওস্টেশনারি অরবিট (এনজিএসও) স্যাটেলাইট সেবা প্রদানকারীদের জন্য রেগুলেটরি ও লাইসেন্সিং গাইডলাইনস’ শিরোনামে এই নির্দেশিকা তৈরি হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, বিদেশি প্রতিষ্ঠানগুলোকে ১০০ শতাংশ বিদেশি সরাসরি বিনিয়োগের (এফডিআই) সুযোগ দেওয়া হবে। এছাড়াও যৌথ উদ্যোগ বা প্রবাসী বাংলাদেশিদের বিনিয়োগের পথও উন্মুক্ত থাকবে। তবে এসব প্রতিষ্ঠানের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক ও বিডাসহ সংশ্লিষ্ট সরকারি নীতিমালা মেনে চলতে হবে।
স্টারলিংক ২০২১ সাল থেকে বাংলাদেশে প্রবেশের চেষ্টা করছে। বিটিআরসির সাথে স্টারলিংকের সাম্প্রতিক বৈঠকের পরই এই নির্দেশিকা প্রকাশ করা হয়। লাইসেন্সের মেয়াদ পাঁচ বছর নির্ধারণ করা হয়েছে।
নতুন লাইসেন্সের আওতায় এনজিএসও স্যাটেলাইট কোম্পানিগুলো ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট, ইন্ট্রানেট পরিষেবা (দেশীয় ডেটা যোগাযোগ), ইন্টারনেট অব থিংস ও মেশিন-টু-মেশিন যোগাযোগ, গতি পরিষেবায় আর্থ স্টেশন, আর্থ এক্সপ্লোরেশন স্যাটেলাইট পরিষেবা, রিমোট সেন্সিং বা আবহাওয়া সংক্রান্ত পরিষেবা ও বিটিআরসি অনুমোদিত অন্যান্য পরিষেবা দিতে পারবে। তবে তারা সরাসরি বাসায়, সম্প্রচারে, স্যাটেলাইট আইএমটিভিত্তিক পরিষেবা বা টেলিযোগাযোগ পরিষেবা দিতে পারবে না।
লাইসেন্সের জন্য প্রসেসিং ফি ধরা হয়েছে পাঁচ লাখ টাকা। অধিগ্রহণ ফি ১০ হাজার ডলার এবং বার্ষিক ফি ৫০ হাজার ডলার ধরা হয়েছে। প্রতিটি টার্মিনালের জন্য বার্ষিক ফি ২০ ডলার নির্ধারণ করা হয়েছে।
এ ছাড়া লাইসেন্সধারী প্রতিষ্ঠানগুলোকে তাদের মোট বার্ষিক আয়ের সাড়ে পাঁচ শতাংশ বিটিআরসিকে দিতে হবে। মহাকাশশিল্পের উন্নয়নে মোট রাজস্বের আরও এক শতাংশ বিনিয়োগ করতে হবে। গেটওয়ে স্থাপনের বাধ্যবাধকতাও রাখা হয়েছে। যাতে সেবার মান উন্নত হয়।