বিনোদন ডেস্ক
২৮ মে, ২০২৪, 1:05 PM
সিনেমাই তার ধ্যান-জ্ঞান
১৯৯৯ সালের ২৮ মে মুক্তি পেয়েছিল ‘অনন্ত ভালোবাসা’ নামের একটি সিনেমা। সোহানুর রহমান সোহান পরিচালিত সেই সিনেমার মাধ্যমে প্রথমবার পর্দায় হাজির হন শাকিব খান। প্রথম কিংবা দ্বিতীয় বা তৃতীয় ছবিতেও তিনি ছিলেন আর দশটা নায়কের মতো। নিজেকে আলাদা প্রমাণ করার সুযোগ তখনও হয়নি তার। কিন্তু হাল ছাড়েননি। পরিশ্রম করে গেছেন। যার ফল তিনি পেয়েছেন। এখন তিনি দেশের সিনেমার সবচেয়ে বড় বিজ্ঞাপন। আজ তার অভিনয় জীবনের ২৫ বছর পূর্তি। দীর্ঘ এই সময়ে তিনি অর্জন করেছেন ৪টি জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার। আর ভক্তদের ভালোবাসায় হয়েছেন সুপারস্টার। নামের আগে যোগ হয়েছে মেগাস্টার। বর্তমানে শাকিব খানের মুক্তিপ্রাপ্ত সিনেমার সংখ্যা ২৪৯টি। সর্বশেষ মুক্তি পেয়েছে হিমেল আশরাফ পরিচালিত ‘রাজকুমার’। কোরবানির ঈদের সিনেমা ‘তুফান’ দিয়ে শাকিব খান ২৫০ সিনেমার মাইলফলক স্পর্শ করবেন। এতটা পথ তিনি পাড়ি দিতে পেরেছেন তার একমাত্র কারণ, সিনেমা তার ধ্যানজ্ঞান। সিনেমা ছাড়া তিনি কিছুই চিন্তা করেননি। একা হাতে আগালে রেখেছেন বাংলা সিনেমা ইন্ডাস্ট্রিকে। এই ২৫ বছরে চরিত্রের প্রয়োজনে স্টাইল স্টেটমেন্টের অংশ হিসেবে নিজের লুকে বারবার বদল এনেছেন তিনি। কখনো রাফ অ্যান্ড টাফ লুক, কখনো রোমান্টিক আমেজ আর কখনোবা পোড় খাওয়া প্রেমিকের রূপে দর্শক দেখেছেন তাকে। শাকিব খানকে একদম অচেনা লুকে প্রথম দেখা গেছে যৌথ প্রযোজনার সিনেমা ‘শিকারি’তে। এরপর থেকে তার এক সিনেমার সঙ্গে অন্য সিনেমার লুকে ছিল আকাশপাতাল পরিবর্তন। যা নজর কাড়ে সবার। এত লুকের মধ্যে প্রিয়তমার বৃদ্ধ লুক সবচেয়ে আলোচিত। আর এখন চলছে তার তুফানি লুক।
যাদের জন্য আজকের আমি, তাদের প্রতি ভালোবাসা। সে সব দর্শক-ভক্তরা আমাকে ভালোবাসে বলেই এই দীর্ঘ সময় এখানে টিকে আছি। তাদের ভালোবাসায় সব বাধা অতিক্রম করেছি, আগামীতেও করব। আর চেষ্টা করব কাজের মধ্যে বৈচিত্র্য ধরে রাখতে। যতটুকু সময় পাই গেটআপ, লুক, আর অভিনীত চরিত্রটি নিজের মধ্যে ধরে রাখতে। মানুষের অবিরাম ভালোবাসা আমাকে স্বপ্ন দেখায়। আগে বছরে দশটি-বারোটিও সিনেমা করেছি। কারণ একটা সময় আমাদের নায়কের সংকট ছিল। সিনেমা ইন্ডাস্ট্রি টিকিয়ে রাখতে হয়েছে। বেছে বেছে কাজ করার সুযোগ হয়নি। কারণ আমি যদি কম সিনেমা করতাম তখন দর্শক আর সিনেমা হলে যেত না। দর্শক ধরে রাখা যেত না। এখন চিত্র পাল্টেছে। এখন অনেকেই আছেন, যারা ভালো করছেন। অনেক নতুন নতুন মুখ চলচ্চিত্রে আসা শুরু করেছে। যারা আগামীতে চলচ্চিত্রের হাল ধরবেন। তাই এখন বছরে একটি বা দুটি সিনেমা করতে চাই।
কোটি টাকার কাবিন : ২০০৬
এ ছবি থেকে বদলে যায় শাকিব খানের সংগ্রামী জীবন। ছবিটির ব্যাপক সাফল্য ইন্ডাস্ট্রিতে তার মজবুত আসন গড়ে দেয়। প্রথমবারের মতো অপু বিশ্বাসের সঙ্গে জুটি বাঁধেন শাকিব। দুই শত্রু পরিবারের বিরোধের মধ্যে ভুল করে প্রেম করে বসেন শাকিব ও অপু। তাদের প্রেমকে শত্রুতার গুটি হিসেবে ব্যবহার করতে চান দুই পরিবারের প্রধান রাজ্জাক ও ফারুক। কীভাবে সেই শত্রুতা বন্ধুত্বে রূপ নেয়, তাই নিয়ে ছবির গল্প। পরিচালনা করেছেন এফ আই মানিক।
শিকারি : ২০১৬
শাকিব খানের ক্যারিয়ারে সবচেয়ে প্রশংসিত ছবি। যৌথ প্রযোজনার এ ছবিতে শাকিব এক সন্ত্রাসী। সব্যসাচীকে খুন করার জন্য তার বাড়িতে এসে ওঠে চাকর বেশে। বাড়ির প্রতিটি সমস্যা চুটকি বাজিয়ে সমাধান করে ফেলে সে। তাকে দেখে সন্দেহ হয় সে বাড়ির মেয়ে শ্রাবন্তীর। একপর্যায়ে জানা যায় তার আসল পরিচয়। সব্যসাচীরই পালিয়ে যাওয়া ছেলে সে। তবে কেন বাবাকে খুন করতে চায় শাকিব? পরিচালনা করেছেন জয়দীপ মুখার্জি।