ঢাকা ২২ অক্টোবর, ২০২৪
সংবাদ শিরোনাম
৬ হাজার টেস্ট রান করা প্রথম বাংলাদেশি মুশফিক সেন্টমার্টিনে পর্যটক সীমিত করার সিদ্ধান্ত পঞ্চদশ সংশোধনী বৈধতার বিষয়ে হাইকোর্টে চূড়ান্ত শুনানি ৩০ অক্টোবর কম খরচে কৃষিপণ্য পরিবহনে চালু হলো স্পেশাল ট্রেন কাঁদতে কাঁদতে আদালতে ব্যারিস্টার সুমন, বললেন ‘আমি খুব সরি স্যার’ গাজা থেকে ফিরে ট্রমা, আত্মহত্যা করেছেন অনেক ইসরায়েলি সেনা লন্ডনে আল জাজিরার ক্যামেরায় ধরা সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চাকরি হারাচ্ছেন প্রশিক্ষণরত ২৫২ এসআই ব্যারিস্টার সায়েদুল হক সুমনকে গ্রেফতার মিয়ানমার সীমান্ত আবারও অশান্ত, রাতভর গোলার শব্দ

শরীরে হ্যাপী হরমোন মাত্রা বাড়াবে যে কাজগুলো করলে

#

নিজস্ব সংবাদদাতা

২৯ জুন, ২০২৪,  3:14 PM

news image
ছবি: সংগৃহীত

মস্তিষ্ক হলো শরীরের ইঞ্জিন। শরীরের যাবতীয় কাজ পরিচালনারপ্রক্রিয়া চলে ব্রেনে। হাত-পা চলা, ক্ষুধা লাগা, ব্যথায় কাতরানো; এমনকি দুঃখ বা আনন্দ অনুভব করার পেছনেও মস্তিষ্কের হাত রয়েছে। এক কথায় বলা যায়, আমাদের খুশি থাকার কলকাঠি নাড়ছে মস্তিষ্কই। 

এন্ড্রোফিন, ডোপামিন, অক্সিটোসিন, সেরোটোনিন - এরকম কিছু হরমোন আছে, যা হ্যাপী হরমোন নামে পরিচিত। এসব হরমোন নিঃসরণের কারণে আমরা আনন্দ অনুভব করি। যখন কোনো কারণে হ্যাপী হরমোনের মাত্রা বেড়ে যায় তখন আমরা প্রাণবন্ত থাকি।

কিছু শারীরিক ধারাবাহিকতায় এই হরমোনগুলোর নিঃসরণ মাত্রা বাড়ানো যায়। নিজেকে হাসি-খুশি এবং প্রাণচ্ছল রাখতে প্রতিদিন কিছু কাজ করার অভ্যাস গড়ে তোলা প্রয়োজন।

আমাদের মেজাজ এবং ভালো থাকার অনেকাংশ নির্ভর করে শরীরের হরমোনগুলোর উপর। খুশি থাকা মানে কেবল কোনো আনন্দঘন অনুষ্ঠান উপভোগ করা নয়। মনে আনন্দ থাকলে প্রতিদিনের সাধারণ কাজগুলোও উৎফুল্ল হয়ে করা যায়। তাই প্রতিদিন এমন কাজগুলো করতে হবে যা বেশি করে হ্যাপী হরমোনের কার্যকারিতা বাড়াবে।

১. কৃতজ্ঞতা: দিনটি সুন্দরভাবে শুরু করতে পারেন সকালে ঘুম থেকে উঠেই উপরওয়ালার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে। আমাদের যা কিছু, তার কিছুই মূলত আমাদের নয়! স্বয়ং সৃষ্টিকর্তা প্রদত্ত। তাই আল্লাহর প্রতি কিছুটা সময় নিয়ে আমাদের কৃতজ্ঞতা প্রতিদিন প্রকাশ করা উচিত, এতে দিনের শুরু থেকেই ইতিবাচক মেজাজ এবং প্রভাব বজায় রাখা সম্ভব।

২. ব্যায়াম: প্রতিদিন সকালে কিছুক্ষণ ব্যায়াম করা শরীর এবং মেজাজ দুটো ভালো রাখার ক্ষেত্রেই কার্যকর। কায়িক পরিশ্রম করলে শরীরে এন্ড্রোফিনের নিঃসরণ বাড়িয় দেয়।

৩. সূর্যের আলো: প্রকৃতির মধ্যে যেমন আছে পবিত্রতা, তেমন শান্তি। তাই প্রকৃতির স্পর্শ মনকে উৎফুল্ল করে। সকালের স্নিগ্ধ রোদের আলো অনেক আরামদায়ক। প্রাকৃতিক এই আলোরশ্মির নানান শারীরিক উপকার ঘটাতে হাত রয়েছে। তাই অন্তত ১৫ মিনিটের জন্য হলেও সকালে হাঁটতে বের হন। এতে কোমল রোদের ছোঁয়াও পাবেন, আবার ফ্রেশ অক্সিজেন সমৃদ্ধ মুক্ত বাতাসও পাবেন।

৪. ধ্যান: সারাদিনের একগাদা কাজের হিসাব মাথার মধ্যে জমে থেকে দুশ্চিন্তা বাড়ায়। এতে হ্যাপী হরমোনের নিঃসরণ কমে যায়। তাই নিজেকে ভালো এবং হাসিখুশি রাখতে মনকে শান্ত করা প্রয়োজন। এর সবচেয়ে সহজ উপায় হলো ধ্যান বা মেডিটেশন। মেডিটেশনের মাধ্যমে গভীর শ্বাস গ্রহণ ও নিঃশ্বাস ত্যাগ করার চর্চা করুন। এতে শরীরও সুস্থ থাকে, আবার হ্যাপী হরমোন লেভেলও বাড়ে।  

৫. খাদ্যাভ্যাস: খাবারের উপর মূলত আমাদের শরীরের চাল-চলনের অনেকাংশ নির্ভর করে। গ্রহণ করা খাদ্য উপাদানের ভিত্তিতে শরীরের ক্রিয়াকলাপ প্রভাবিত হয়। তাই প্রতিদিন স্বাস্থ্যকর এবং ফ্রেশ খাবার খাওয়া উচিত। খাদ্যতালিকায় সুষম উপাদান থাকা নিশ্চিত এবং অস্বাস্থ্যকর খাবার এড়িয়ে যেতে হয়। এছাড়া হ্যাপী হরমোনের মাত্রা বাড়াতে সাহায্য করে ওমেগা-৩ উপাদান সমৃদ্ধ খাদ্যগুলো। তেলযুক্ত মাছ, শস্যজাত খাবার, আখরোট ইত্যাদি খাবার ওমেগা থ্রি ফ্যাটি এসিড সমৃদ্ধ হওয়ায় মেজাজ ভালো ও মস্তিষ্কে শান্তি বজায় থাকে। 

৬. সামাজিক সম্পর্ক: পরিবার-পরিজন এবং প্রতিবেশীদের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক বজায় রাখুন। এতে মন ভালো থাকবে। বাড়তি চিন্তা থাকবে নাা আর আনন্দে থাকতে পারবেন। সকলের প্রতি দয়াবান হউন। কারো প্রতি রাগ পুষে রাখবেন না।

৭. গান: গান শোনা, মন ভালো করার এবং হ্যাপী হরমোন নিঃসরণের খুব সহজ একটি পদ্ধতি। পছন্দের গান শুনলে তা মেজাজে বেশ ইতিবাচক প্রভাব ফেলে। নিজের পছন্দের গানগুলো বাছাই করে একটি প্লে-লিস্ট তৈরি করতে পারেন।  

logo

সম্পাদক : হেফাজুল করিম রকিব

নির্বাহী সম্পাদক : শাহ এম রহমান বেলাল