ঢাকা ১৫ অক্টোবর, ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম
দক্ষিণ ভূর্ষি শীতলা মন্দির পরিচালনা কমিটির সভাপতি কাঞ্চন নাথ, সম্পাদক সুমন দেবনাথ “টাইফয়েড এখনো মারাত্মক জনস্বাস্থ্য সমস্যা"—সিভিল সার্জন ডা. জাহাঙ্গীর আলম “টাইফয়েড এখনো মারাত্মক জনস্বাস্থ্য সমস্যা"—সিভিল সার্জন ডা. জাহাঙ্গীর আলম নোবিপ্রবি ক্যাম্পাসে উত্তেজনা: ছাত্রদল কমিটিতে ‘শিবির সংশ্লিষ্টতার' অভিযোগ পটিয়ায় টাইফয়েড টিকাদান ক্যাম্পেইন সফল করতে সমন্বয় সভা পটিয়ায় ভূমি অফিসে দালালবিরোধী অভিযান, এক যুবকের সাজা ডেঙ্গুতে আরও ৯ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ১০৪২ পটিয়ায় একই দিনে অজ্ঞান পার্টির প্রতারণা ও দরজা কেটে ১৫ লাখ টাকার মালামাল চুরি অজ্ঞান পার্টির খপ্পরে স্বর্ণালংকার- নগদ টাকা হারালেন বৃদ্ধা পটিয়ায় ২৪ ঘণ্টায় দুই চুরি, এক আত্মহত্যা : চরম উৎকন্ঠায় স্থানীয়রা

মৌসুমীকে নিয়ে সানী-জায়েদ দ্বন্দ্ব : যা বললেন ডিপজল

#

১২ জুন, ২০২২,  3:02 PM

news image

গেল শুক্রবার রাজধানীর একটি কনভেনশন হলে সিনেমার মুভিলর্ড’খ্যাত ডিপজলের বড় ছেলে সৌমিকের বিবাহোত্তর সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে ওমর সানী ও জায়েদ খানের মধ্যে এক অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেছে বলে গতকাল শনিবার দেশের বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয়েছে।

প্রকাশিত সংবাদে বলা হয়, ওমর সানী সবার সামনে হঠাৎ করেই জায়েদ খানকে চড় মেরে বসেন। জায়েদ নাকি মৌসুমীর সঙ্গে আগে দুর্ব্যবহার করেছেন। এজন্য ক্ষিপ্ত হয়ে তিনি তাকে চড় মেরে বসেন। জায়েদ খানও নাকি পিস্তল বের করে তাকে গুলি করার হুমকি দেন। বিয়ের অনুষ্ঠানে এমন কাণ্ডে অনেকেই হতবাক হয়েছেন।

যদিও জায়েদ খান বলেছেন, ‘এটা ষড়যন্ত্র। আমাকে হেয় করার জন্য এমন সংবাদ পরিবেশন করা হচ্ছে।’ ওদিন রাতে এমন কোনো ঘটনাই ঘটেনি। বিয়ের অনুষ্ঠানে পিস্তল নিয়ে যাওয়ার প্রশ্নই ওঠে না। তা ছাড়া আমি পিস্তল বহনও করি না। পুরো বিষয়টি ভিত্তিহীন।জায়েদ খানের ভাষ্য, ‘এসব ঘটনা মামলার রায় সামনে রেখে পরিস্থিতি ঘোলা করার অপচেষ্টা। সবচেয়ে বড় কথা, ওমর সানী আমাকে চড়ও দেননি। এটা একেবারে একটি মিথ্যা কথা।’এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে ডিপজল বলেন, ‘গত কিছুদিন ধরে আমার ছেলের বিয়ের অনুষ্ঠান নিয়ে অত্যন্ত ব্যস্ত সময় কেটেছে। বিয়েতে আমার সহকর্মীসহ অনেক অতিথি এসেছেন। একটি পত্রিকায় দেখলাম, কোনো এক প্রত্যক্ষদর্শীর বরাত দিয়ে আমার কথা ছেপেছে। আসলে বিষয়টি আমি জানিই না। জানার কোনো কারণও নেই। শত শত অতিথিকে অভ্যর্থনা জানানো এবং তাদের সঙ্গে কুশল বিনিময় নিয়ে আমাকে ব্যস্ত থাকতে হয়েছে। একটি সামজিক অনুষ্ঠানে এমন কোনো ঘটনা ঘটতে পারে বলে কোনো ভদ্রলোকও বিশ্বাস করবে না। আরও অনেক গণ্যমান্য অতিথিদের সঙ্গে ওমর সানী ও জায়েদকে আমিই অনুষ্ঠানে অভ্যর্থনা জানিয়েছি। যদি ধরেও নিই; তাদের মধ্যে কোনো মনোমালিন্য রয়েছে, তাহলে কি তারা একটি বিয়ের অনুষ্ঠানে এসে এমন ঘটনা ঘটাবে? এটা কি বিশ্বাসযোগ্য? তারা তো শিল্পী, তারা জানে কোথায় কি ধরনের আচরণ করতে হয়। ফলে পুরো বিষয়টিই ভিত্তিহীন ও অসত্য।’

তিনি আরও বলেন, ‘এখন কেউ কেউ যদি কোনো উদ্দেশ্য নিয়ে এ ধরনের কথা ছড়িয়ে থাকে, তাহলে বলব তারা ভালো কাজ করেনি। এত ক্ষুদ্র বিষয় নিয়ে কথা বলাও তো অশোভন। আমি মনে করি যারা এসব কথা ছড়িয়েছে, তারা চলচ্চিত্রের বদনাম করার জন্য করছে। কারণ, আমরা সেলিব্রেটি। আমাদের সামাজিক মানমর্যাদা ও দর্শকের কাছে গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে। আমাদের মধ্যকার যেকোনো ধরনের অশোভনীয় আচরণ চলচ্চিত্রের সুনাম ক্ষুণ্ন করে। ফলে ব্যক্তি, পারিবারিক ও সামাজিক জীবনে আমাদের সতর্ক থাকতে হয়। আমরা সমাজের বাইরে নই। আমাদেরও পারিবারিক ও সামাজিক জীবন রয়েছে। এমন কোনো আচরণ করা যাবে না, যা আমাদের দর্শকের মনে খারাপ ধারণা সৃষ্টি করে। জনপ্রিয় এই খল অভিনেতা বলেন, ‘আমার ছেলের বিয়ের অনুষ্ঠান যেখানে হয়েছে, সেটি অত্যন্ত সুরক্ষিত এবং নিরাপত্তা বেস্টনিতে। পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হয়েছিল। প্রবেশের ক্ষেত্রে মেটাল ডিটেক্টর ছিল। প্রত্যেককেই এই নিরাপত্তা বেস্টনির মধ্য দিয়ে প্রবেশ করতে হয়েছে। এ ক্ষেত্রে কোনো ধরনের পিস্তল বা অন্য কোনো অস্ত্র নিয়ে প্রবেশ করার সুযোগ নেই। কাজেই জায়েদ বা অন্য যে কেউ হোক না কেন, কারও পক্ষেই অস্ত্র নিয়ে প্রবেশ করার অনুমতি ছিল না। যারা জায়েদ ও ওমর সানীর কথিত ঘটনা ছড়িয়েছে, তারা ভালো কাজ করেনি। এটি অত্যন্ত দুঃখজনক। তাদের এক ধরনের অসৎ উদ্দেশ্য এর পেছনে কাজ করেছে বলে আমি মনে করি।’

logo

প্রধান সম্পাদক : হেফাজুল করিম রকিব

সম্পাদক : নূরুন্নবী আলী