ঢাকা ১৫ অক্টোবর, ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম
দক্ষিণ ভূর্ষি শীতলা মন্দির পরিচালনা কমিটির সভাপতি কাঞ্চন নাথ, সম্পাদক সুমন দেবনাথ “টাইফয়েড এখনো মারাত্মক জনস্বাস্থ্য সমস্যা"—সিভিল সার্জন ডা. জাহাঙ্গীর আলম “টাইফয়েড এখনো মারাত্মক জনস্বাস্থ্য সমস্যা"—সিভিল সার্জন ডা. জাহাঙ্গীর আলম নোবিপ্রবি ক্যাম্পাসে উত্তেজনা: ছাত্রদল কমিটিতে ‘শিবির সংশ্লিষ্টতার' অভিযোগ পটিয়ায় টাইফয়েড টিকাদান ক্যাম্পেইন সফল করতে সমন্বয় সভা পটিয়ায় ভূমি অফিসে দালালবিরোধী অভিযান, এক যুবকের সাজা ডেঙ্গুতে আরও ৯ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ১০৪২ পটিয়ায় একই দিনে অজ্ঞান পার্টির প্রতারণা ও দরজা কেটে ১৫ লাখ টাকার মালামাল চুরি অজ্ঞান পার্টির খপ্পরে স্বর্ণালংকার- নগদ টাকা হারালেন বৃদ্ধা পটিয়ায় ২৪ ঘণ্টায় দুই চুরি, এক আত্মহত্যা : চরম উৎকন্ঠায় স্থানীয়রা

মুক্তি পেলো ইমন খান অভিনীত ৪র্থ চলচ্চিত্র 'জাল ছেঁড়ার সময়'

#

নিজস্ব সংবাদদাতা

২৫ মার্চ, ২০২২,  10:24 PM

news image

স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তিতে স্বাধীনতা দিবসের আগের দিন মুক্তি পেলো একাত্তরের দ্রোহ, ভালোবাসা, যুদ্ধ আর দেশপ্রেমের চলচ্চিত্র ‘জাল ছেঁড়ার সময়’। উপন্যাস থেকে চলচ্চিত্রটির কাহিনি, সংলাপ, চিত্রনাট্য ও পরিচালনা করেছেন সাংবাদিক, নির্মাতা সাজ্জাদ হায়দার। অভিনয় করেছেন- নবাগত ইমন খান, সুস্মিতা সুস্মি, আশিক চৌধুরী, অঞ্জলী, এমদাদ, নূর হোসেন রানা, শিউলি জামান,নিথর মাহবুব,মন্টি, ইকবাল, আফরোজা, প্রকাশ সরকার সুমন, রাজ রিয়াজ, ফারজানা রনি, প্রয়াত তোরাব আলি, ফারিয়া এবং আরও অনেকে। এই প্রজন্মের সংগীতশিল্পী ফারজানা রনি, রুকশানা রুপসা, তাসনিম জামান স্বর্ণা ও আফরোজা রুবি প্লেব্যাক করেছেন। ক্যামেরা পরিচালনা করেছেন যৌথভাবে, হাবিব রাজা ও কবির। সংগীত পরিচালনা করেছেন জিয়াউল হাসান ও সাগরিকা। মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক চলচ্চিত্রটির দৃশ্য ধারণের কাজ হয়েছে মুন্সিগঞ্জের বিক্রমপুরের সিরাজদিখান,গাজীপুরের পূবাইল, পদ্মা নদীর তীরে, কুয়াকাটা, খুলনায় একটি পুরনো যুদ্ধ জাহাজে ও এফডিসিতে বাকি দৃশ্যগুলোর ধারণ কাজ সম্পন্ন হয়।

সিনেমাটি নিয়ে পরিচালক বলেন, ‘জাল ছেঁড়া সময়’ অবশ্যই ডিরেক্টর’স্ মুভি। এই চলচ্চিত্রে অভিনেতা-অভিনেত্রীদের স্টার’স ভ্যালু বিবেচনা করা হয়নি। প্রায় প্রতিটি চরিত্রকে সমান গুরুত্ব দিয়ে তরুণ প্রজন্মের মেধাবী অভিনয় শিল্পীদের প্রাধান্য দেয়া হয়েছে। তবে মুক্তিযুদ্ধের চলচ্চিত্রের সব চেয়ে বড় সমস্যা হলো, সেই সময়ের উপকরণ। একাত্তরের ঢাকার সাথে এখনকার ঢাকার কোনও মিল নেই। রাজপথ তো বটেই, প্রতিটি অলিগলি পাল্টে গেছে। পাল্টে গেছে যানবাহন, মানুষের পোশাক-আষাক। একই অবস্থা ঢাকার বাইরের শহরগুলোতে। এ কারণে ইচ্ছা থাকলেও একাত্তরের ঢাকা শহরকে মনের মতো করে উপস্থাপন করা যায়নি। তবে সঠিক ভাবে উপস্থাপন করতে চেষ্টার কমতি ছিল না। এ সিনেমায় সর্বশেষ প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে। যুদ্ধের দৃশ্যে স্পেশাল ইফেক্ট দেখানো হয়েছে। ড্রোন ক্যামেরা ব্যবহার করা হয়েছে। সিনেমায় অতি অভিনয় নেই-বাংলাভাষার বিকৃতি নেই। সংলাপে প্রমিত বাংলা উচ্চারণ নিখুঁত করার চেষ্টা করা হয়েছে। অহেতুক কোনো যৌনতা দেখানো হয়নি। এ কারণে দর্শকের মনে একগুঁয়েমি আসার সুযোগ নেই এবং পরিবারের সবাইকে নিয়ে সিনেমাটি দেখা যাবে ।

উনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী সময় থেকেই কাহিনি শুরু। একাত্তরের বিদ্রোহী তারুণ্যের পাশাপাশি সেই সময়ের সুবিধাবাদী দ্বিধাগ্রস্ত মানুষদেরও দেখানো হয়েছে। এছাড়া সত্তর দশকের বিশ্বযুব বিদ্রোহের ছোঁয়া দেয়া হয়েছে এ চলচ্চিত্রে।

logo

প্রধান সম্পাদক : হেফাজুল করিম রকিব

সম্পাদক : নূরুন্নবী আলী