NL24 News
১১ ফেব্রুয়ারি, ২০২২, 2:35 AM
বরিস জনসনের নতুন ছবি প্রকাশ, বাড়ল তদন্তের আওতা
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের নতুন একটি ছবি প্রকাশের জেরে লকডাউনের সময় ডাউনিং স্ট্রিটের ঘটনাবলীর বিষয়ে তদন্তের আওতা বাড়িয়েছে যুক্তরাজ্যের পুলিশ। এ ঘটনায় ৫০ জনের বেশি ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।
‘পার্টিগেট’ কেলেঙ্কারির জেরে নিজ দল কনজারভেটিভ পার্টির বেশ কয়েকজন সদস্য প্রকাশ্যে পদত্যাগ দাবি করায় বরিস জনসনের রাজনৈতিক অবস্থান নড়বড়ে হয়ে পড়েছে। তবে তিনি কোনো অন্যায় করার কথা অস্বীকার করেছেন।
বরিস জনসনের ১০নম্বর ডাউনিং স্ট্রিট দপ্তরে অনুষ্ঠিত বড়দিনের ‘কুইজ নাইট’ মেট্রোপলিটন পুলিশের তদন্তের অংশ ছিল না। ওই পার্টির কারণে জনসন ও তাঁর কর্মীরা করোনার বিধি ভাঙার জন্য জরিমানার কবলে পড়তে পারেন।
‘ডেইলি মিরর’ পত্রিকা পাশে একটি খোলা ওয়াইনের বোতলসহ বরিস জনসন ও তাঁর দুই কর্মীর ছবি প্রকাশের পর পুলিশ বলছে, তাঁরা এখন ২০২০ সালের ডিসেম্বরের অনুষ্ঠানটির দিকেও নজর দিচ্ছেন। এর আগে খবর প্রকাশিত হয়েছিল যে, প্রধানমন্ত্রীর বিয়ারের গ্লাস হাতে ছবি পুলিশের হাতে জমা পড়েছে।
মেট্রোপলিটন পুলিশ এটাও নিশ্চিত করেছে, আগামীকাল শুক্রবারের মধ্যেই ‘৫০ জনের বেশি ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদের আনুষ্ঠানিক প্রশ্নপত্র’ পাঠানো হবে। ২০২০ ও ২০২১ সালে অন্তত ১২টি জমায়েতের দিনে তাঁরা কী করেছিলেন তা জানতে চাওয়া হবে এতে।
পুলিশ বলছে, ‘এই প্রশ্নপত্রটির আইনগত তাৎপর্য আছে এবং সাত দিনের মধ্যে সত্যি কথা জানাতে হবে। ’
জিজ্ঞাসাবাদের চিঠি পাওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে বরিস জনসনও আছেন কিনা তা সরকার তা নিশ্চিত করবে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে ব্রিটিশ প্রতিরক্ষামন্ত্রী বেন ওয়ালেস বিবিসি রেডিওকে বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, তিনি সব বলবেন এবং স্বচ্ছ থাকবেন। ’
এদিকে বিরোধী লেবার পার্টি পুলিশের কাছে আহ্বান জানিয়েছে, কনজারভেটিভ পার্টির এক ধনী চাঁদাদাতার মাধ্যমে জনসন বিলাসবহুলভাবে তার ডাউনিং স্ট্রিটের ফ্ল্যাটকে কীভাবে সাজিয়েছেন সে বিষয়ে যেন তদন্ত করা হয়।
এক চিঠিতে লেবার পার্টির আইনজীবীরা মেট্রোপলিটন পুলিশের উদ্দেশে লিখেছেন, প্রধানমন্ত্রী ঘুষগ্রহণবিরোধী আইন ভেঙেছেন বলে ‘যৌক্তিকভাবেই সন্দেহ’ করা হচ্ছে। তাই এ নিয়ে তদন্ত করা পুলিশের কর্তব্যের মধ্যে পড়ে।
চিঠি পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে পুলিশ বলেছে, লেবার দলের ওই দাবি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এ প্রসঙ্গে ডাউনিং স্ট্রিটের এক মুখপাত্র বলেছেন, ‘অভিযোগগুলো একেবারেই অসত্য এবং তা প্রকৃত ঘটনার উপস্থাপন নয়। ’
সূত্র : এএফপি