আন্তর্জাতিক ডেস্ক
২৬ অক্টোবর, ২০২৪, 11:26 AM
গাজার গোয়েন্দা তথ্য আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে দিতে সম্মতি যুক্তরাজ্যের
যুক্তরাজ্যের রয়্যাল এয়ার ফোর্স (আরএআফ) গত ডিসেম্বরে সাইপ্রাস থেকে শ্যাডো আর১ গোয়েন্দা বিমান ব্যবহার করে গাজায় শতাধিক নজরদারি ফ্লাইট পরিচালনা করেছে। তবে দেশটি জানিয়েছে, গাজায় নজরদারি ফ্লাইটের মাধ্যমে সংগ্রহ করা তথ্য প্রয়োজনে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতকে (আইসিসি) সরবরাহ করতে প্রস্তুত রয়েছে তারা। খবর বিবিসি'র।
ইতোমধ্যে ইসরায়েল এবং হামাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে তদন্ত শুরু করছে আইসিসি। যুক্তরাজ্যের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ৭ অক্টোবর হামাসের হাতে আটক ব্যক্তিদের সম্পর্কিত তথ্য সংগ্রহের লক্ষ্যেই এই ফ্লাইটগুলো চালানো হয়েছে। তবে প্রয়োজনে যুদ্ধাপরাধ সংক্রান্ত তথ্যও আইসিসি-কে দেওয়া হতে পারে।
যুক্তরাজ্যের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় গাজায় ইসরায়েলের যুদ্ধ সহায়তায় লক্ষ্য নির্ধারণের জন্য কোনো তথ্য সরবরাহ করছে না বলে জানিয়েছে। এছাড়া রয়্যাল এয়ার ফোর্সের ফ্লাইটের মাধ্যমে ইসরায়েলে অস্ত্র পরিবহন করা হচ্ছে বলেও যে অভিযোগ উঠেছে, প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় তাও প্রত্যাখ্যান করেছে।
এক বিবৃতিতে মন্ত্রণালয় জানায়, "আন্তর্জাতিক বাধ্যবাধকতা অনুসারে, আইসিসি থেকে আনুষ্ঠানিক অনুরোধ এলে যুদ্ধাপরাধ তদন্তে প্রয়োজনীয় তথ্য সরবরাহ করতে আমরা প্রস্তুত। তবে ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে সংঘাতে যুক্তরাজ্যের কোনো অংশগ্রহণ নেই।"
প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের বক্তব্য অনুযায়ী, তাদের কাজের পরিধি সীমিত এবং তা কেবল বন্দিদের, বিশেষ করে ব্রিটিশ নাগরিকদের মুক্তির দিকেই কেন্দ্রীভূত। ২০২৩ সালের ডিসেম্বর থেকে তাদের বিমান বাহিনী এ লক্ষ্যে নিয়মিতভাবে নিরস্ত্র ফ্লাইট পরিচালনা করছে। তবে এখন পর্যন্ত আইসিসি থেকে কোনো আনুষ্ঠানিক অনুরোধ আসেনি।
গত মে মাসে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি) প্রধান প্রসিকিউটর করিম খান বলেন, ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু, প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ট এবং হামাসের নেতারা—ইয়াহিয়া সিনওয়ার, মোহাম্মদ দেইফ ও ইসমাইল হানিয়াহ—যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধের জন্য দায়ী হতে পারেন বলে বিশ্বাস করার মতো যথেষ্ট কারণ রয়েছে।
সম্প্রতি দেইফ, হানিয়াহ এবং সিনওয়ার নিহত হয়েছেন। নেতানিয়াহু ও গ্যালান্টের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির যে সম্ভাবনা রয়েছে, তা আইসিসি বিচারকদের অনুমোদনের অপেক্ষায়।
যুক্তরাজ্যের সাধারণ নির্বাচনের পর নতুন লেবার সরকার নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে আইসিসি গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির বাধা তুলে নিয়েছে, যা প্রসিকিউটর করিম খান স্বাগত জানিয়েছেন। সাম্প্রতিক মাসগুলোতে ব্রিটিশ সরকার ইসরায়েলে অস্ত্র বিক্রিতে সীমাবদ্ধতা আরোপ করেছে এবং ফিলিস্তিনিদের সহায়তায় জাতিসংঘের সংস্থায় অর্থ ফিরিয়ে দিয়েছে।