NL24 News
২৫ জানুয়ারি, ২০২২, 11:03 AM
ইউক্রেনে রুশ হামলার আশঙ্কায় সামরিক শক্তি বাড়াচ্ছে ন্যাটো
আন্তর্জাতিক ডেস্ক: রাশিয়া ইউক্রেন সীমান্তে অতিরিক্ত সেনা মোতায়েনের ফলে বাড়তি যুদ্ধ জাহাজ এবং যুদ্ধ বিমান পাঠাচ্ছে পাশ্চাত্য দেশগুলোর সামরিক জোট ন্যাটো।
ন্যাটো বলছে, তাদের সৈন্যদের প্রস্তুত রাখা হচ্ছে। ব্রিটেন ইউক্রেনে তাদের দূতাবাস থেকে কিছু কর্মী এবং তাদের পরিবারের সদস্যদের প্রত্যাহার করছে। ব্রিটিশ সরকার বলছে, রাশিয়ার সামরিক হুমকির মুখে এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
ব্রিটিশ পররাষ্ট্র দফতর জানাচ্ছে, ইউক্রেনে ব্রিটিশ কূটনীতিকদের জন্য কোনো সুনির্দিষ্ট ঝুঁকি তৈরি না হলেও তারা কিয়েভে তাদের দূতাবাসের অর্ধেক কর্মীকে ফিরিয়ে আনার কাজ শুরু করেছে। তবে ব্রিটেন কিয়েভে তাদের দূতাবাস খোলা রাখছে।
এর আগে, যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেন থেকে তাদের দূতাবাস কর্মীদের পরিবারের সদস্যদের দেশে চলে আসার নির্দেশ দেয়। ইউক্রেনে আমেরিকান কোম্পানির সরাসরি নিযুক্ত কর্মীদেরও স্বেচ্ছায় দেশত্যাগের অনুমোদন দেয়া হয়েছে।
আমেরিকা বলছে, আক্রমণ ‘যেকোনো মুহূর্তে’ ঘটতে পারে। আমেরিকা তার নাগরিকদের এখন ইউক্রেন বা রাশিয়ায় ভ্রমণ না করার পরামর্শ দিয়েছে। রাশিয়া কোনোরকম সামরিক পদক্ষেপের পরিকল্পনার কথা অস্বীকার করেছে, যদিও সীমান্তে রুশ সৈন্য সংখ্যা অনেক বেড়েছে।
ইউক্রেনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় অবশ্য বলছে, এখনই এধরনের প্রত্যাহার অযৌক্তিক। ইউরোপীয় ইউনিয়ন জানিয়েছে, তারা ইউক্রেন থেকে তাদের দূতাবাস কর্মী বা তাদের পরিবারের সদস্যদের এখনই প্রত্যাহার করছে না। তবে জার্মানি বলেছে, তাদের কূটনীতিকদের পরিবারের সদস্যরা চাইলে ইউক্রেন ছাড়তে পারে।
ইইউর পররাষ্ট্র মন্ত্রীরা এ বিষয় নিয়ে বৈঠকে বসতে যাচ্ছেন যে বৈঠকে ভিডিও কলের মাধ্যমে যোগ দেবেন আমেরিকার পররাষ্ট্র মন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন। পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটো আরো বলছে, প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা আরো জোরদার করা হবে। তারা বাড়তি সৈন্য প্রস্তত রাখছে এবং প্রতিরোধ ক্ষমতা আরো শক্তিশালী করছে।
ডেনমার্ক, স্পেন, বুলগেরিয়া এবং নেদারল্যান্ডসসহ ন্যাটোর সদস্য দেশগুলো প্রতিরক্ষা জোরদার করতে পূর্ব ইউরোপে আরো জঙ্গি বিমান এবং রণতরী পাঠাচ্ছে। রাশিয়া ২০১৪ সালে ক্রাইমিয়াকে তার সীমানাভুক্ত করার পর ন্যাটো পূর্ব ইউরোপে তার সদস্য দেশগুলোতে তাদের উপস্থিতি বাড়িয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে এস্তোনিয়া, লাতভিয়া, লিথুয়েনিয়া এবং পোল্যান্ড।
রাশিয়া অভিযোগ করছে, ন্যাটো ইচ্ছাকৃতভাবে উত্তেজনা বাড়িয়ে তুলছে। ন্যাটো সামরিক জোটকে রাশিয়া একটি নিরাপত্তা হুমকি হিসেবে বিবেচনা করে এবং মস্কোর দাবি ইউক্রেনসহ পূর্ব ইউরোপে নতুন করে এই জোটের সম্প্রসারণ বন্ধ করার ব্যাপারে আইনি নিশ্চয়তা ন্যাটোকে দিতে হবে।
আমেরিকা বলছে, ন্যাটোর সম্প্রসারণ নয়, বরঞ্চ রাশিয়ার আগ্রাসনই এখন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। ইউক্রেন রাশিয়া সীমান্তে আনুমানিক এক লাখ রুশ সৈন্য মোতায়েন করার পটভূমিতে ন্যাটোর প্রধান ইউরোপে নতুন লড়াই বাধার ঝুঁকি সম্পর্কে সতর্ক করে দিয়েছেন।