ঢাকা ১৫ অক্টোবর, ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম
দক্ষিণ ভূর্ষি শীতলা মন্দির পরিচালনা কমিটির সভাপতি কাঞ্চন নাথ, সম্পাদক সুমন দেবনাথ “টাইফয়েড এখনো মারাত্মক জনস্বাস্থ্য সমস্যা"—সিভিল সার্জন ডা. জাহাঙ্গীর আলম “টাইফয়েড এখনো মারাত্মক জনস্বাস্থ্য সমস্যা"—সিভিল সার্জন ডা. জাহাঙ্গীর আলম নোবিপ্রবি ক্যাম্পাসে উত্তেজনা: ছাত্রদল কমিটিতে ‘শিবির সংশ্লিষ্টতার' অভিযোগ পটিয়ায় টাইফয়েড টিকাদান ক্যাম্পেইন সফল করতে সমন্বয় সভা পটিয়ায় ভূমি অফিসে দালালবিরোধী অভিযান, এক যুবকের সাজা ডেঙ্গুতে আরও ৯ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ১০৪২ পটিয়ায় একই দিনে অজ্ঞান পার্টির প্রতারণা ও দরজা কেটে ১৫ লাখ টাকার মালামাল চুরি অজ্ঞান পার্টির খপ্পরে স্বর্ণালংকার- নগদ টাকা হারালেন বৃদ্ধা পটিয়ায় ২৪ ঘণ্টায় দুই চুরি, এক আত্মহত্যা : চরম উৎকন্ঠায় স্থানীয়রা

‘জামায়াতের কেউ আযান দিতে ও ইমামতি করতে পারবেন না’

#

নিজস্ব সংবাদদাতা

১৮ মে, ২০২৫,  10:47 AM

news image

পাবনার আটঘরিয়ায় জামায়াতে ইসলামীর কোনো মুয়াজ্জিন আযান দিতে পারবে না এবং কোনো ইমাম ইমামতি করতে পারবে না বলে প্রকাশ্যে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও পাবনা জেলা বিএনপির আহ্বায়ক হাবিবুর রহমান হাবিব। তিনি জামায়াতকে ‘স্বাধীনতা বিরোধী রগ কাটা গ্রুপ’ এবং ‘পাকিস্তানের দোসর’ বলেও আখ্যায়িত করেছেন।

গতকাল শনিবার বিকেলে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে আটঘরিয়ায় জামায়াত-বিএনপি সংঘর্ষে আহত নেতা-কর্মীদের দেখতে গিয়ে তিনি এসব কথা বলেন। রাতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তার এই বক্তব্যের একটি ভিডিও ভাইরাল হয়ে যায়।

ভাইরাল ভিডিওতে হাবিবুর রহমান হাবিবকে আরও বলতে শোনা যায়, ‘দল যেটা সিদ্ধান্ত নেবে সেটা তো নেবেই। তার সঙ্গে আমার কোনো দ্বিমত নেই। কিন্তু আমি আজকে বলব, ভবিষ্যৎ তো পরে, এখন থেকে আটঘরিয়ায় কোনো মসজিদে জামায়াতের কোনো মুয়াজ্জিন আজান দিতে পারবে না, জামায়াতের কোনো ইমাম ইমামতি করতে পারবে না।’

এদিকে গত শুক্রবার দেবোত্তর বাজার জামে মসজিদে জামায়াতের কারণে মানুষ জুম্মার নামাজ পড়তে পারেননি দাবি করে তিনি বলেন, ‘তালা দিয়ে পালিয়েছে। কতটা ন্যাক্কারজনক ঘটনা।’

হাবিব বলেন, 'জামায়াত মিথ্যা কথা বলে। এদের পেছনে নামাজ হয় না। এরা স্বাধীনতা বিরোধী রগ কাটা গ্রুপ। এরা বাংলাদেশের স্বাধীনতায় বিশ্বাস করে না। পাকিস্তানের দোসর ছিল। তাই আটঘরিয়াবাসীকে আহ্বান জানাব এদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ান।’

জামায়াতের অফিসে কোরআন ও হাদিস পোড়ানোর বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আমাদের নেতা-কর্মীরা কোরআন পোড়ায়নি। তারা (জামায়াত) নিজেরাই কোরআন পুড়িয়েছে। বিএনপির কোনো নেতা-কর্মী কোরআন পোড়াতে পারে না। এটা আমি দায়িত্ব নিয়ে বলতে পারি। যদি বিএনপির নেতা-কর্মীদের কোরআন পোড়ানোর ভিডিও ফুটেজ দেখাতে পারেন, তাহলে সমস্ত দায়-দায়িত্ব আমি নেব। আর আমাদের যে একশটি মোটরসাইকেল ভেঙেছে, তার ক্ষতিপূরণ দিতে হবে তাদের।’

এ বিষয়ে পাবনা জেলা জামায়াতে ইসলামীর আমির অধ্যাপক আবু তালেব মণ্ডলসহ একাধিক দায়িত্বশীল নেতাদের সঙ্গে সাংবাদিকরা যোগাযোগের চেষ্টা করলে ফোন রিসিভ না করায় তাদের কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।

logo

প্রধান সম্পাদক : হেফাজুল করিম রকিব

সম্পাদক : নূরুন্নবী আলী