৯ হাজার টাকার জন্য হাসপাতাল ছাড়তে পারছেন না প্রসূতি
২০ সেপ্টেম্বর, ২০২২, 6:36 PM

NL24 News
২০ সেপ্টেম্বর, ২০২২, 6:36 PM

৯ হাজার টাকার জন্য হাসপাতাল ছাড়তে পারছেন না প্রসূতি
পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলার একটি বেসরকারি ক্লিনিকে অন্তঃসত্ত্বা রিমা আক্তারের (২০) অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে সন্তান ভুমিষ্ট হয়। ওষুধ, অস্ত্রোপচার ও ক্লিনিকের বেড ভাড়া হিসাবে ১৪ হাজার টাকায় চুক্তি হয় ক্লিনিকের সঙ্গে।
ক্লিনিকে ভর্তির পর ধার করে পাঁচ হাজার টাকা জমা দেয় রিমার পরিবার। বকেয়া নয় হাজার টাকা শোধ করতে না পারায় হাসপাতাল ছাড়তে পারছেন না মা ও নবজাতক। রিমা নীলফামারীর ডোমার উপজেলার সজীব মিয়ার স্ত্রী। তার বাবার বাড়ি পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলার টিয়ারখালী গ্রামে। পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, সজীব ঢাকার একটি জুতার কারাখানায় কাজ করতেন। রিমা অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার পর বাবার বাড়ি মঠবাড়িয়ায় চলে যান। এক মাস আগে সজীবও চাকরি ছেড়ে শ্বশুর বাড়িতে চলে আসেন। গত শনিবার বিকেলে রিমার প্রসবব্যথা শুরু হলে মঠবাড়িয়া শহরের ইসলামিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
চিকিৎসক জানান, ওই রাতে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে রিমার মেয়ে সন্তান হয়। এখন বকেয়া টাকা শোধ করতে না পারায় নবজাতক ও মা হাসপাতাল ছাড়তে পারছেন না।
রিমার মা বলেন, ‘মেয়ের জামাই মুঠোফোন বিক্রি করে সেই টাকা দিয়ে এক মাস ধরে চলছে। আমাদের ধারণা ছিল, রিমার স্বাভাবিকভাবে সন্তান হবে। অস্ত্রোপচার করতে হবে এমন কোনো প্রস্তুতি ছিল না। যখন হাসপাতালে গিয়ে শুনি ১৪ হাজার টাকা লাগবে, তখন এক পরিচিত একজনের কাছ থেকে পাঁচ হাজার টাকা নেই। পরে তিনি আরও কিছু টাকা দিয়ে আমাদের সহায়তা করেন।
তিনি আরও বলেন, ওই নারী জানান আমার নাতনিকে তার এক আত্মীয় দত্তক নিতে চান। নিরুপায় হয়ে আমরা প্রথমে রাজি হই। কিন্তু পরে আমার মেয়ে রাজি হয়নি।
হাসপাতালের ব্যবস্থাপক আবুল বাশার বলেন, রোগীর স্বজনরা পাঁচ হাজার টাকা জমা দিয়েছেন ভর্তির সময়। আমরা নয় হাজার টাকা বকেয়া রেখে অস্ত্রোপচার করি। তবে পরিবারটি দরিদ্র হওয়ায় আমরা কিছু টাকা কম নেওয়ার চেষ্টা করব।