২০ লাখ টাকা ও ১৬ ভরি স্বর্ণালংকার নিয়ে প্রবাসীর স্ত্রী গ্রেফতার
২৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২২, 10:28 AM

NL24 News
২৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২২, 10:28 AM

২০ লাখ টাকা ও ১৬ ভরি স্বর্ণালংকার নিয়ে প্রবাসীর স্ত্রী গ্রেফতার
নিজস্ব প্রতিনিধি : লক্ষ্মীপুরে ২০ লাখ টাকা ও সাড়ে ১৬ ভরি স্বর্ণালংকার নিয়ে সৌদি প্রবাসী আজাদ হোসেনের স্ত্রীসহ ৩ জনকে গ্রেফতার করেছে র্যাব।
বৃহস্পতিবার দুপুরে র্যাব-১১ এর নোয়াখালী ক্যাম্পের কোম্পানি অধিনায়ক খন্দকার মো. শামিম হোসেন জানান তাদের কাছ থেকে প্রবাসীর শিশুকন্যাসহ ৪৫ হাজার টাকা, ২৬.৪১ গ্রাম স্বর্ণ, ২টি মোবাইলফোন সেট ও ৩টি সিমকার্ড উদ্ধার করা হয়।
র্যাব কর্মকর্তা জানান, প্রবাসী আজাদের দায়ের করা ব্যভিচার ও চুরি মামলায় তার স্ত্রীসহ ৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আসামিদের কাছ থেকে উদ্ধার হওয়ায় মোবাইল ফোন ও সিমগুলো তারা ব্যভিচার কাজে ব্যবহার করত। আসামিদের লক্ষ্মীপুর সদর মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
গ্রেফতারকৃত অন্যরা হলেন- কমলনগর উপজেলার হাজিরহাট ইউনিয়নের চর জাঙ্গালিয়া গ্রামের মহিন উদ্দিন ও একই উপজেলার চরলরেন্স ইউনিয়নের চরলরেন্স গ্রামের বাসিন্দা আয়েশা বেগম।
পলাতক আসামিরা হলেন- সদর উপজেলার চররুহিতার ইউনিয়নের চরলামচি গ্রামের মুক্তার হোসেন ও দালাল বাজার ইউনিয়নের পশ্চিম লক্ষ্মীপুর গ্রামের হাসিনা বেগম।
র্যাব সূত্র জানায়, আজাদ সদর উপজেলার দালালবাজার ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ড পশ্চিম লক্ষ্মীপুর গ্রামের বাসিন্দা ও সৌদি প্রবাসী। তাদের সংসারে দুটি সন্তান রয়েছে। আজাদ সৌদিতে থাকার সুবাদে তার স্ত্রী অন্য আসামি মুক্তার ও মহিনের সঙ্গে ব্যাভিচার সম্পর্কে চালিয়ে যেতে থাকে। বিষয়টি জানতে পেরে আত্মীয়-স্বজনদের মাধ্যমে প্রবাসীর স্ত্রীকে সংশোধনের চেষ্টা করেও লাভ হয়নি। ব্যভিচারের কারণে সংসারটি ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে চলে যায়।
এতে নিরুপায় হয়ে আজাদ ১১ ফেব্রুয়ারি সৌদি থেকে দেশে আসেন। স্ত্রীকে সংশোধনের জন্য চেষ্টা করলে তাকে নারী নির্যাতনের মামলার হুমকি দেওয়া হয়।
এদিকে ২১ ফেব্রুয়ারি সকালে ওই প্রবাসীর স্ত্রী অন্য আসামিদের সঙ্গে যোগাযোগ করে পূর্বপরিকল্পিতভাবে ঘর থেকে ২০ লাখ টাকা ও সাড়ে ১৬ ভরি স্বর্ণ চুরি করে নিয়ে যায়। পালিয়ে যাওয়ার সময় আজাদের মেয়েকেও নিয়ে যায়।
ঘটনার দিনই আজাদ মেয়েকে উদ্ধারসহ টাকা ও স্বর্ণালংকার চুরির ঘটনায় সদর মডেল থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। পরদিন তিনি র্যাব-১১ এর নোয়াখালী ক্যাম্পেও অভিযোগটি দায়ের করেছেন। অভিযোগ ও গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে রাজধানীর নয়াপল্টন ও লক্ষ্মীপুরের ঝুমুর এলাকা থেকে তিন আসামিকে গ্রেফতার করা হয়।