হঠাৎ কালবৈশাখীর ঝরে প্রায় তিন শতাধিক ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত
১১ এপ্রিল, ২০২২, 4:22 PM

NL24 News
১১ এপ্রিল, ২০২২, 4:22 PM

হঠাৎ কালবৈশাখীর ঝরে প্রায় তিন শতাধিক ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত
নিজস্ব প্রতিনিধি : হঠাৎ কালবৈশাখীর ঝরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় স্কুল,-কলেজ, মাদ্রাসা, ইউনিয়ন পরিষদসহ প্রায় তিন শতাধিক ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
এতে আধাপাকা বোরো ধানসহ অন্যান্য ফসলের ক্ষতি হয়। পাশাপাশি উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে বিদ্যুতের খুঁটি ভেঙে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। সোমবার ভোর রাতে উপজেলায় এ ভয়াবহ কালবৈশাখী বয়ে যায়।
এ ছাড়া শিলাবৃষ্টিতে কয়েকটি ইউনিয়নে প্রায় তিন হাজার হেক্টর ফসলি জমির ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
তবে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. আবু সাঈদ তারেকের দাবি, শিলাবৃষ্টিতে বিচ্ছিন্নভাবে কিছু ক্ষতি হয়েছে। যার পরিমাণ ১৫০ হেক্টর। তবে স্থানীয় চেয়ারম্যান ও ক্ষতিগ্রস্তদের দাবি ফসলের ক্ষতির পরিমাণ প্রায় তিন হাজার হেক্টর।
ভলাকুট ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান রুবেল মিয়া বলেন, হঠাৎ ঝড়ে ইউনিয়ন পরিষদের চালা বাতাসে উড়িয়ে নিয়ে গেছে। পরিষদে থাকা উপকারভোগীদের বিভিন্ন প্রয়োজনীয় কাগজপত্র পানিতে ভিজে নষ্ট হয়েছে। এ ছাড়া অফিসের কম্পিউটারটি নষ্ট হয়ে গেছে।
উপজেলা শিক্ষা অফিসার মো. ইকবাল মিয়া বলেন, সোমবারের ঝড়ের তান্ডবে উপজেলায় দুটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ক্ষতিগ্রস্থ হয়। এর মধ্যে ভলাকুট পূর্ব বালিখোলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি সম্পূর্ণ বিধ্বস্ত হয়েছে। সদর ইউনিয়নের নাসিরপুর দক্ষিণ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি আংশিক ক্ষতি হয়েছে। এছাড়াও কুন্ডা ইউনিয়নে একটি কিন্ডারগার্টেন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
পূর্বভাগ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আক্তার মিয়া জানান, আমার ইউনিয়নের ভুবন, শ্যামপুর, বেলুয়া ও কিপাতনগর গ্রামের প্রায় ৬০০ হেক্টর ধান শিলাবৃষ্টিতে একেবারে নষ্ট হয়ে গেছে।
নাসিরনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএন) মেহেদি হাসান খান শাওন জানান, নাসিরনগর উপজেলায় বয়ে যাওয়া কালবৈশাখী ও শিলাবৃষ্টিতে ভলাকুট এবং পূর্বভাগ ইউনিয়নে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ভরাকুট ইউনিয়নে প্রায় ২৫০ ঘর বিধ্বস্ত হয়েছে। আড়াই হাজার হেক্টর ফসলি জমি ক্ষতি হয়েছে। পূর্বভাগ ইউনিয়নে প্রায় ৬০০ হেক্টর ফসলি জমি শিলাবৃষ্টিতে ক্ষতি হয়। এ ছাড়া কয়েকটি সরকারি বিদ্যালয়, সরকারি কলেজ হোস্টেল ও মসজিদ-মাদ্রাসা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
Shares
facebook sharing button Share