স্ত্রীর পরকীয়ায় নরকে পরিনত প্রবাসীর জীবন
২০ মে, ২০২৪, 9:22 PM

NL24 News
২০ মে, ২০২৪, 9:22 PM

স্ত্রীর পরকীয়ায় নরকে পরিনত প্রবাসীর জীবন
নিজস্ব প্রতিবেদক:
স্ত্রীর পরকীয়া ও অর্থলোভে তছনছ হয়ে গেছে দুবাই প্রবাসী এক যুবকের পরিবার। স্ত্রী জান্নাতুল ফেরদৌস হ্যাপি'র একাধিক পরকীয়া ও নানাবিধ অপকর্মের কারণে মানসিক ভারসাম্য হারাতে বসেছে প্রবাসী তৌহিদুল ইসলাম। স্ত্রীর কারণে অনেকটা নরকে পরিনত হয়েছে তৌহিদের জীবন। সম্প্রতি গত (৫মে) 'নাগরিকের চোখ' নামে একটি ফেইসবুক পেইজে ভাইরাল হয় কতিপয় নারী হ্যাপি ও তার প্রেমিকের অন্তরঙ্গ মুহুর্তের ছবি। তখন থেকে দুশ্চিন্তা, হতাশা ও লজ্জায় ঘুম হারাম হয়ে যায় তৌহিদ ও তার পরিবারের।
বান্দরবানের লামা ফাঁসিয়াখালী ইউপির দক্ষিণ হায়দারনাশী এলাকার আলহাজ্ব আবুল কাশেমের ছেলে তৌহিদুল ইসলাম, বর্তমানে কক্সবাজারের রামু উপজেলার দক্ষিণ মিঠাছড়ি ইউপির ৯ নং ওয়ার্ডের পাহাড়তলী এলাকার বাসিন্দা।
চেইন্দা এলাকায় অবস্থিত হোপ ফাউন্ডেশনে চাকরি করেন হ্যাপি, তার চাকরির সুবাদে পাহাড়তলী এলাকায় প্রায় ৩০ লাখ টাকায় বাড়ি নির্মাণ করে দিয়েছে তৌহিদ। বর্তমানে হ্যাপি ও তৌহিদের সংসারে একটি ফুটফুটে ছেলে সন্তান রয়েছে। ২০১৫ সালে পারিবারিক ভাবে বিয়ে হয় তাদের।
এবিষয়ে তৌহিদুল ইসলাম বলেন- আমার বউ নিঃস্ব করে দিয়েছে আমাকে। আমার টাকা নিয়ে সে একাধিক পুরুষের সাথে মেলামেশা করেছে। বারবার সতর্ক করা সত্বেও সে কথা শুনেনি। একাধিক পুরুষের সাথে অবৈধ সম্পর্ক চালিয়ে গেছে হ্যাপি। এই নষ্ট মেয়ে আমার প্রবাসে কষ্টে অর্জিত লক্ষ লক্ষ টাকা ক্ষতি করেছে। বর্তমানে তার বাপের বাড়ি মহেশখালী ও রামুতে আমার টাকায় দুটি বাড়ি করেছে। বিদেশ থেকে প্রতি মাসে তার জন্য ৬০-৭০ হাজার টাকা পাঠাতাম। সে নানা অজুহাতে এসব টাকা আদায় করেছিলো।
তৌহিদ বলেন, সম্প্রতি চকরিয়ার এক যুবকের সাথে হ্যাপি'র কিছু অন্তরঙ্গ ছবি ফেইসবুকে ছড়িয়ে পড়ে, এসব দেখার পর আমি মানসিকভাবে ভেঙে পড়ি। সমাজ, প্রতিবেশী ও আত্মীয় স্বজনদের কাছে আমার পরিবারের সম্মান ধূলিসাৎ হয়ে গেছে। আমি মৌখিকভাবে এই নষ্ট মেয়েকে তালাক দিয়েছি, বাংলাদেশে গিয়ে আইন অনুযায়ী তাকে আনুষ্ঠানিক তালাক দিব৷
বর্তমানে হোপ ফাউন্ডেশনে চাকরি নিয়ে সে অহংকার করে, কারণ এই চাকরির কারণে হ্যাপি পর পুরুষের সাথে অবৈধ সম্পর্ক রাখার সুযোগ পায় ৷ আমি একাধিকবার চাকরি ছাড়ার জন্যে বলেও সে চাকরি ছাড়েনি। সে উল্টো বলে, আমি স্বামী ছাড়তে পারবো কিন্তু চাকরি ছাড়তে পারব না।
তৌহিদুল ইসলামের পরিবারের অভিযোগ- হ্যাপি মারাত্মকভাবে পরকীয়ায় লিপ্ত। সে একজন বিবাহিত নারী হওয়া সত্বেও একাধিক পুরুষের সাথে অবৈধ সম্পর্কে রয়েছে। একাধিক পর পুরুষের সাথে তার অবৈধ সম্পর্কের ঘটনা ফাঁস হওয়া সত্বেও তাকে অনেকবার ক্ষমা করেন তৌহিদ। তারপরও সে অনুতপ্ত নই। তার উদ্দেশ্য ছিল তৌহিদের টাকা দিয়ে সে বাড়ি ঘর করে প্রেমিক নিয়ে নিশ্চিতে জীবনযাপন করবে। তার উদ্দেশ্যেও হয়েছে সফল, ইতিমধ্যে তৌহিদের টাকা দিয়ে তার বাপের বাড়ি মহেশখালীতে বাড়ি তৈরি করেছে । এছাড়া হোপ হসপিটালে চাকরির অজুহাতে কক্সবাজারেও কৌশলে তৈরি করে নিয়েছে একটি বাড়ি। এখন এই বাড়িও সে নিজের নামের বলে দাবি করেন।
প্রতিবেশীরা বলেন -এই মেয়েকে বউ করে আনার পর থেকে শান্তি নেই তাদের ঘরে৷ হ্যাপি তার নিজের দেবরকে পর্যন্ত কু প্রস্তাব দিয়েছিল, যা রীতিমতো সবার কানে কানে পৌঁছে গেছে। এছাড়া বাহিরে একাধিক পুরুষের সাথে তার অবৈধ সম্পর্ক রয়েছে। পাঁচ বছরের একটি শিশু রেখে কিভাবে সে এতো অপকর্ম করতে পারে তা বলার ভাষা নেই।
এসব চিন্তায় তৌহিদ মানসিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েছে। হ্যাপির অপকর্মের ঘটনা দীর্ঘদিনের, তারপরও তৌহিদ তাকে বারবার ক্ষমা করে দিয়ে সংসার করেছিল। কিন্তু সে নিজেকে শুধরায়নি। চালিয়ে যায় একাধিক পরকীয়া সম্পর্ক। আজ হ্যাপির কারণে তাদের পরিবারে কোন শান্তি নেই।
এবিষয়ে কথা বলার জন্যে জান্নাতুল ফেরদৌস হ্যাপি'র মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে তার কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
জান্নাতুল ফেরদৌস হ্যাপি মহেশখালী উপজেলার কালারমারছড়া ইউনিয়নের ইউনুসখালী মাইজপাড়া এলাকার বাসিন্দা মনির উল্লাহর মেয়ে।
র্যাব ও পুলিশ বলছেন- পরকীয়া একটি সমাজ বা পরিবারকে নিমিষেই ধ্বংস করে দিতে পারে।স্বামী রাখতে না চাইলে এই নারীকে যত দ্রুত ডিভোর্স দেয়া যায়, ততই ভালো।