সৌদির সঙ্গে মিল রেখে দেশের বিভিন্ন স্থানে ঈদ উদযাপন
নিজস্ব সংবাদদাতা
১৬ জুন, ২০২৪, 10:54 AM

নিজস্ব সংবাদদাতা
১৬ জুন, ২০২৪, 10:54 AM

সৌদির সঙ্গে মিল রেখে দেশের বিভিন্ন স্থানে ঈদ উদযাপন
সৌদি আরবরে সঙ্গে মিল রেখে দেশের বিভিন্ন স্থানে ঈদুল আজহা উদযাপিত হচ্ছে। আজ রোববার সকালে ঈদ জামাত আদায়ের মাধ্যমে এ উদযাপন শুরু হয়।
সৌদির সঙ্গে মিল রেখে ঈদ উদযাপন করছে চাঁদপুরের ৩০ টি গ্রামের মানুষ। সকাল ৮টা ৪০ মিনিটে হাজীগঞ্জে ঈদের প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় সাদ্রা দরবার শরীফের পীরজাদা আরিফ চৌধুরী সাদ্রাভী নামাজ ও দোয়া মোনাজাত পরিচালনা করেন। ঈদের দ্বিতীয় জামাত পরিচালনা করেন আবু ইয়াহয়িা জাকারয়িা মাদানী।
জেলার হাজীগঞ্জ সাদ্রা দরবার শরীফ, উপজলোর সাদ্রা, সমশেপুর, অলপিুর, বলাখাল, মনহিার, কচুয়া ও শাহরাস্তসিহ আরও বেশ কয়কেটি উপজলোর র্অধশত গ্রামরে বাসিন্দারা এ ধর্মীয় উৎসবে শামিল হয়েছেন।
হাজীগঞ্জরে সাদ্রা দরবার শরীফের পীরজাদা আরিফ চৌধুরী সাদ্রাভী বলনে, মরহুম মাওলানা ইসহাক ১৯২৮ সাল থকেে সৌদির সঙ্গে মিল রেখে রোজা, ঈদুল ফির ও ঈদুল আজহা উদযাপনের নিয়ম চালু করেন। তারপর থেকে সেই ধারায় তাঁরা ঈদ পালন করছেন।
সৌদির সঙ্গে মিল রেখে সাতক্ষীরার কয়েকটি গ্রামেও উদযাপিত হচ্ছে ঈদুল আজহা। আজ রোববার সকাল সাড়ে সাতটায় সদর উপজেলার ভাড়–খালি গ্রামের পাঞ্জেগানা মসজিদে ঈদের জামায়াত অনুষ্ঠিত হয়। মাওলানা মাহবুবুর রহমান ঈদের জামায়াতে ইমামতি করেন। এছাড়া সাতক্ষীরা সদরের বাউকোলা পূর্বপাড়া জামে মসজিদে ঈদের আরেকটি জামায়াত অনুষ্ঠিত হয়। ইমামতি করেন মাওলানা মহব্বত আলী।
সৌদির সঙ্গে মিল রেখে ঈদ করা প্রসঙ্গে মাওলানা মাহবুবুর রহমান বলেন, সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে সারা পৃথিবীতে একই দিনে ঈদ করার বিষয়ে ইসলামি সহযোগতিা সংস্থার (ওআইসি) সিদ্ধান্ত রয়েছে। ওআইসির সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান সাতক্ষীরার এই ইমাম।
এদিকে দিনাজপুরে সৌদির সঙ্গে মিল রেখে বিভিন্ন উপজেলায় ঈদুল আজহার নামাজ আদায় করছেনে মুসল্লদিরে একটি অংশ। দিনাজপুড় শহররে চারুবাবুর মোড় এলাকার পার্টি সেন্টারে ঈদুল আজহার নামাজ শেষে মুসল্লদিরে উদ্দেশে খুৎবায় একই দিনে ঈদ ও কুরবানি করার যৌক্তিকতা তুলে ধরা হয়। এ সময় পবিত্র কোরআনের আয়াতের আলোকে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বানও জানানো হয়।
ঈদুল আজহার আগাম নামাজ আদায়কারীদের মধ্যে কয়েকজন মুসল্লি জানান, দিনাজপুরে প্রথমে শুধু চিরিরবন্দর উপজলোয় সৌদির সঙ্গে মিল রেখে ঈদের নামাজ আদায় করা হতো। কিন্তু বর্তমানে দিনাজপুর সদর উপজলোসহ আরও কয়কেটি উপজলোর বিভিন্ন গ্রামে আগাম ঈদের নামাজ আদায় করা হয়।
সৌদির সঙ্গে মিল রেখে পটুয়াখালীর সাত গ্রামের প্রায় ১৫ হাজার মানুষ উদযাপন করছনে মুসলমানদরে অন্যতম ধর্মীয় উৎসব ঈদুল আজহা। আজ রোববার সকাল সাতটায় কলাপাড়ার ধানখালী ইউনয়িনরে উত্তর নশিানবাড়য়িা জাহাগরিয়িা শাহ্সূফি মমতাজয়িা দরবার শরীফ প্রাঙ্গনে ঈদুল আজহার প্রধান জামাত অনুষ্ঠতি হয়। এছাড়া পৌর শহররে নাইয়াপট্টি, ধানখালী, চম্পাপুর,লালুয়া, উত্তর লালুয়া মাঝি বাড়ি, লতাচাপলি ও ফুলতলী বাজারে ঈদরে জামাত অনুষ্ঠতি হয়ছে। এখানকার আগাম ঈদ উদযাপনকারীরা চট্টগ্রামের এলাহাবাদ সুফিয়া ও চানটুপির অনুসারী হিসেবে পরচিতি। প্রায় ১০০ বছর ধরে সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে আগাম ঈদ পালন করে আসছনে তারা।
সৌদির সঙ্গে মিল রেখে লক্ষ্মীপুরের ১১টি গ্রামেও আজ রোববার ঈদুল আজহা উদযাপিত হচ্ছে। জেলার রামগঞ্জ উপজেলার নোয়াগাঁও, জয়পুরা, বিঘা, হোটাটিয়া, শরশোই, কাঞ্চনপুর ও রায়পুর উপজেলার কলাকোপা ও সদর উপজেলার বশিকপুরসহ ১১টি গ্রামে মুসল্লিরা আজ ঈদুল আজহা উদযাপন করছেন।
এদিন সকাল ৮টায় রামগঞ্জ উপজেলার খানকায়ে মাদানিয়া কাসেমিয়া মাদ্রাসায় ও নোয়াগাঁও বাজারের দক্ষিণ-পূর্ব নোয়াগাঁও ঈদগাহ ময়দানসহ বিভিন্ন স্থানে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়। মাওলানা ইসহাকের (র.) অনুসারী হিসেবে এসব এলাকার মানুষ পবিত্র ভূমি মক্কা ও মদিনার সঙ্গে মিল রেখে ঈদসহ সব ধর্মীয় উৎসব পালন করে আসছে।