ঢাকা ২০ অক্টোবর, ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম
ক্রিকেটে নতুন যুগের সূচনা: আবির্ভাব হলো টেস্ট টোয়েন্টি দক্ষিণ ভূর্ষি শীতলা মন্দির পরিচালনা কমিটির সভাপতি কাঞ্চন নাথ, সম্পাদক সুমন দেবনাথ “টাইফয়েড এখনো মারাত্মক জনস্বাস্থ্য সমস্যা"—সিভিল সার্জন ডা. জাহাঙ্গীর আলম “টাইফয়েড এখনো মারাত্মক জনস্বাস্থ্য সমস্যা"—সিভিল সার্জন ডা. জাহাঙ্গীর আলম নোবিপ্রবি ক্যাম্পাসে উত্তেজনা: ছাত্রদল কমিটিতে ‘শিবির সংশ্লিষ্টতার' অভিযোগ পটিয়ায় টাইফয়েড টিকাদান ক্যাম্পেইন সফল করতে সমন্বয় সভা পটিয়ায় ভূমি অফিসে দালালবিরোধী অভিযান, এক যুবকের সাজা ডেঙ্গুতে আরও ৯ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ১০৪২ পটিয়ায় একই দিনে অজ্ঞান পার্টির প্রতারণা ও দরজা কেটে ১৫ লাখ টাকার মালামাল চুরি অজ্ঞান পার্টির খপ্পরে স্বর্ণালংকার- নগদ টাকা হারালেন বৃদ্ধা

সরকারী টাকা গুনে বেসরকারী এগ্রোফার্মে চাকরি : পটিয়ায় কৃষি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অভিযোগ

#

নিজস্ব সংবাদদাতা

২৭ অক্টোবর, ২০২২,  8:34 PM

news image

ডেস্ক রিপোর্টঃ- চন্দনাইশ কৃষি অফিসের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা রুপায়ন চৌধুরীর বিরুদ্ধে সরকারী চাকরী ফাঁকি দিয়ে পটিয়ার একটি বেসরকারী এগ্রোফার্মে মোটা অংকের বেতনে কাজ করার অভিযোগ উঠেছে। তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা বরাবরে স্মারকলিপি দিয়েছে আজিম উদ্দিন নামের এক স্থানীয় লোক।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, রুপায়ন চৌধুরী চন্দনাইশ উপজেলা কৃষি উপ-সহকারী কর্মকর্তা হওয়া সত্ত্বেও গত ২/৩ বছর ধরে পটিয়া উপজেলার হাঈদগাও এটিআর এগ্রো ফার্মে কাজ করছেন। সকাল এবং বিকেলে দুই শিপ্টে কাজ করেন তিনি। মাসিক ৮ হাজার টাকা বেতন পাশাপাশি অন্য সুবিধা ও তার জন্য থাকে। তার ইশারায় চলে সকল কর্মকান্ড। গত ২ বছরে তিনি ৫০ জনেরও বেশি গরীব লোকদের এই ফার্ম থেকে চাকুরিচ্যুত করেছেন। তাছাড়া টাকার বিনিময়ে তার পছন্দের লোককে চাকরী দিয়েছেন। কেউ তার সেচ্ছাচারিতার বিরুদ্ধে গিয়ে কথা বলতে গেলে তারা চাকরিও হারান। এছাড়াও আরো কয়েকটি ফার্মে তিনি চাকরী করেন।

এইদিকে এই অভিযোগের ভিত্তিতে সরেজমীনে গিয়ে দেখা মিলে এর সত্যতা। রুপায়ন চৌধুরীকে অফিসে কাজ করতে দেখা যায় সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত। তার কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, আমি এই ফার্মে সহযোগিতা করছি আর কিছুনা। এছাড়াও সাংবাদিকদের সাথে কথা বলায় এই এটিআর ফার্মের দারোয়ানের চাকরী ও হুমকির মুখে বলে জানা যায়।

এগ্রোফার্মের একাউন্ট্যান্ট জানান, প্রতিমাসে ৮ হাজার টাকা বেতন নিয়ে যায় তিনি। এর বাইরে আরো অনেক সুযোগ সুবিধা পেয়ে থাকেন। এগ্রো ফার্মের ইনচার্জ রফিক আহমদ বলেন, এই কৃষি কর্মকর্তা নিজের ডিউটি পালন না করে এই ফার্মে সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত কাজ করেন। ফার্মের মালিকের সাথে সক্ষতা করে নিজের সেচ্ছাচারিতা এই ফার্মে প্রয়োগ করে যাচ্ছেন।

আজিম উদ্দিন জানান, সরকারী গাছের চারা ও সার তিনি এখানে নিয়ে আসে ফিল্ডে না দিয়ে। এই ফার্মের মালিক হাজী নুরুল ইসলাম মাষ্টারের কাছ থেকে প্রতিমাসে মোটা অংকের টাকা নেই তিনি।

এই বিষয়ে চন্দনাইশ উপজেলা কৃষি অফিসার স্মৃতি রানী সরকারের কাছ থেকে জানতে চাইলে তিনি জানান, এই কৃষি কর্মকর্তা কোনো এগ্রোফার্মে পরামর্শ দিতে পারেন কনসালটেন্ট হিসেবে। তবে সরকারী কৃষি অফিসের কাজ ফেলে অন্য ফার্মে চাকরী করতে পারবেননা তিনি। তার বিরুদ্ধে একটা অভিযোগ পত্র হাতে পেয়েছি। যদি এটা সত্য হয় তাহলে তার বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

logo

প্রধান সম্পাদক : হেফাজুল করিম রকিব

সম্পাদক : নূরুন্নবী আলী