নিজস্ব সংবাদদাতা
১৬ আগস্ট, ২০২২, 12:58 AM
শোকসভায় বক্তব্য দিতে না দেওয়ায় আ’লীগ নেতার ‘জিহ্বা’ কেটে নেওয়ার হুমকি
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ- নৌকার বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে দল থেকে বর্হিস্কৃত হওয়া এক নেতাকে জাতীয় শোক দিবসের আলোচনায় বক্তব্য দেওয়ার সুযোগ না দেওয়ায় পটিয়ায় উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক হারুনুর রশিদের ‘জিহ্বা’ কেটে নেওয়ার হুমকি দিয়েছে বহিস্কৃত নেতা এম.এ এজাজ।
সোমবার রাত ৯টার দিকে উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও পটিয়া পৌরসভার সাবেক মেয়র অধ্যাপক হারুনুর রশিদের সঙ্গে কুসুমপুরা ইউনিয়নের নৌকার বিরোধীতাকারী বর্হিস্কৃত নেতা এম.এ এজাজের মধ্যে এ ঘটনা ঘটে। মূলত স্থানীয় সংসদ সদস্য ও হুইপ সামশুল হক চৌধুরীর নির্দেশনা মোতাবেক জাতীয় শোক দিবসের আলোচনায় দলীয় নেতাকর্মীদের বক্তব্য দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। যার কারণে নৌকার বিরোধীকারী এজাজকে বক্তব্য দেওয়ার সুযোগ দেওয়া হয়নি। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন পটিয়া উপজেলা আ'লীগের সভাপতি আ.ক.ম. শামসুজ্জামান চৌধুরী। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন জাতীয় সংসদের হুইপ সামশুল হক চৌধুরী এমপি। অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন- সাবেক মহিলা সংসদ সদস্য চেমন আরা তৈয়ব, উপজেলা চেয়ারম্যান মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরী, পটিয়া সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ মোজাম্মেল হক, পটিয়া পৌরসভার মেয়র আয়ুব বাবুল প্রমুখ।
জানা গেছে, গত ২৬ ডিসেম্বর পটিয়া উপজেলায় ১৭টি ইউনিয়ন পরিষদে ইউপি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এর মধ্যে উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এমএ এজাজ চৌধুরী নৌকা প্রতীক চেয়ে না পেয়ে বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেন। যার প্রেক্ষিতে দক্ষিণ আওয়ামীলীগ দল থেকে তাকে বহিস্কার করলেও সে দলের বিভিন্ন কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করে যাচ্ছে।
সোমবার জাতীয় শোক দিবসের আলোচনা সভায়ও এজাজ অংশগ্রহণ করে। এতে বক্তব্য দেওয়ার সুযোগ না পাওয়ায় উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদকের সঙ্গে ক্ষুব্ধহন। অনুষ্ঠান শেষে হল টুডে কমিউনিটি সেন্টারে এজাজ এক পর্যায়ে সাধারণ সম্পাদককে উদ্দেশ্যে করে বলেন- ‘জিহ্বা’ কেটে ফেলবো। এসময় অধ্যাপক হারুন দল থেকে বহিস্কৃত এজাজকে চড় থাপ্পড় মারেন। এ সময় নেতাকর্মীরা জড়ো হয়। পরে পটিয়া পৌরসভার কাউন্সিলর গোফরান রানার নেতৃত্বে কিছু ছাত্রনেতা অধ্যাপক হারুনুর রশিদকে এজাজ থেকে রক্ষা করেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দক্ষিণ জেলা আওয়ামীলীগের এক সদস্য জানিয়েছেন, দল থেকে বহিস্কৃত উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এজাজ প্রায় সময় দলের বিভিন্ন কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করে প্রায় সময় বিশৃঙ্খলা করছেন। রাতে এ রির্পোট লেখা পর্যন্ত পটিয়া পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির মিলনায়তনে বিষয়টি নিয়ে সমঝোতা চলছে বলে জানা গেছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক হারুনুর রশিদ বলেন, শোক দিবসের আলোচনায় কারা বক্তব্য দিবেন তা আগে থেকে নির্ধারন করা হয়। এর মধ্যে দল থেকে বহিস্কৃত এজাজ বক্তব্য দিতে না পেরে আমাকে নিয়ে অশালীন ভাষায় গালিগালাজ করে আমার ‘জিহ্বা’ কেটে ফেলার হুমকি দেন। বিষয়টি আমি স্থানীয় সংসদ সদস্যসহ দক্ষিণ জেলা আওয়ামীলীগ নেতৃবৃৃন্দকে অবহিত করেছি।