সংবাদ শিরোনাম
মহেশখালীতে সক্রিয় মানবপাচারকারী ধরাছোঁয়ার বাইরে
০৭ জুন, ২০২২, 8:26 PM

NL24 News
০৭ জুন, ২০২২, 8:26 PM

মহেশখালীতে সক্রিয় মানবপাচারকারী ধরাছোঁয়ার বাইরে
মহেশখালী প্রতিনিধি :
কক্সবাজারের মানবপাচার কিং মুছা ধরা পড়লেও তার সহকারী আহামদ উল্লাহ ধরাছোঁয়ার বাইরে রয়ে গেছে ।
মহেশখালী উপজেলার হোয়ানক ইউনিয়ের ছনখোলা পাড়ার বাসিন্দা ১নং ওয়ার্ডের মৃত অলি আহম্মদের ছেলে আন্তর্জাতিক মানবপাচার চক্রের সক্রিয় সদস্য ফয়েজ, ফজল, আনছার, মুছা কলিমুল্লাহ সিন্ডিকেটের সদস্য আহমদ উল্লাহ তার স্ত্রী সন্তানের সহযোগিতায় কক্সবাজার বিভিন্ন এলাকা থেকে রোহিঙ্গা সংগ্রহ করে তার বাড়িতে রেখে হোয়ানকের পশ্চিমে বঙ্গোপসাগরের মোহনায় ট্রলার করে সিঙ্গাপোর-মালয়েশিয়া সহ বিভিন্ন দেশে পাচার করে আসতেছে ৷
গত ১০-১২,২০১৯ ব্যাব ১৫ হাতে গ্রেপ্তার হলেও জামিনে মুক্ত হয়ে আবার একই অপরাধে জড়িয়ে পড়ে ৷
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, তার বাড়ী পাহাড়ের সাথে লাগানো যেহেতু বিভিন্ন এলাকা থেকে রোহিঙ্গাদের সংগ্রহ করে তার বাড়িতে আশ্রয় দিয়ে ৮-১০ জন একত্রিত হলে হোয়ানকের পশ্চিমে বঙ্গোপসাগরের মোহনা দিয়ে ট্রলারের মাধ্যমে বিভিন্ন দেশের জাহাজের মাধ্যমে পাচার করে ৷ স্থানীয় সচেতন ব্যক্তিরা এতে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করলে তাদের মামলা হামলার ভয় ও মেরে ফেলার হুমকী সহ স্থানীয় মাদক সেবিদের দিয়ে দিয়ে বিভিন্ন ভাবে হেনস্তার খবর পাওয়া গেছে ৷ যা অত্যান্ত সুচনীয় ৷
১২/০২/২০ইং সালে মহেশখালী থানায় ১৩৩২(৩)/১ স্মারক মুলে তৎকালিন ওসি তদন্ত বাবুল আজাদ বাদী হয়ে ০৭/০৮/১২ সালে মানব পাচার ধমন আইনে মানব পাচারের একটি ফিসিং বোট সহ হাতেনাতে গ্রেফতারের একটি মামলা দায়ের করেন ৷ যাহা CMR মামলা ৩৪১/২০ তদন্ত সাপেক্ষে প্রমান পাওয়া যায় ৷ সে মামলা সহ বিভিন্ন থানায় তার একাদিক মামলা রয়েছে ৷
কক্সবাজারের উপকূলীয় উপজেলাগুলো থেকে গত একবছরে ৫০জনের মতো মানবপাচারকারী গ্রেপ্তার করেছে প্রশাসন ৷ মানবপাচারকারীর শিকার গত এক বছরে ২২জন শিশু, ১২জনের অধিক বৃদ্ধ, ৩০জনেরও বেশি নারী উদ্ধার করেছে পুলিশ ৷ গত মাসে ১৬৪ জন মালয়েশিয়াগামী মানবপাচার শিকারদের উদ্ধার করেছে পুলিশ; সেখানে রয়েছে শিশু, বৃদ্ধ ও নারী ৷ এ পাচার ধরার পরে নড়েচড়ে বসেছে প্রশাসন ৷
আহমদ উল্লাহ পার্শবর্তী বাসিন্দা এলএমএফ ডাক্তার আনছার জানান, মানবপাচারকারী আহমদ উল্লাহ তার স্ত্রী হালিমা ও সন্তান মাশেক উল্লাহ নিয়ে বসবাস করে আমার বাড়ির পাশের বাড়িতে ৷ তার বাড়িতে স্থানীয় ডাকাত মাদক ব্যবসায়ী, বিভিন্ন নতুন লোকসহ মুছা কলিমুল্লাহ গত বছর Rab এর হাতে গ্রেপ্তার পুর্বে তার বাড়ীতে অনেকবার আসতে যেতে দেখেছি ৷ যেটি পত্রিকায় তার ছবি দেখে চেনেছি ৷ এলাকায় তার সম্পর্কে জানাজানি হলে তাকে এলাকায় বয়কট করার সিদ্ধান্ত হলে সে আমাদের উপর স্বশস্ত্র হামলা করে ৷ ২০২০ সালের শেষের দিকে মহেশখালী থানায় অভিযোগ ও বিজ্ঞ আদালতে উভয় পক্ষ মামলা হয় ৷ আমরা প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করছি ৷
প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, মহেশখালী উপজেলার সোনাদিয়ার চর এলাকায় স্থানীয় বাসিন্দারা সকালে ঘুম থেকে উঠে কয়েকশ মানুষের ভিড় দেখে খবর নিয়ে দেখে তারা মালয়েশিয়া পাচার হওয়ার কথা থাকলেও দালাল সিন্ডিকেট তাদের চরে নিমিয়ে দেয় মালয়েশিয়ার চর বলে; পরে প্রশাসনকে খবর দিলে তারা গত ২১ মার্চ সোমবার বিকেল সাড়ে ৪টায় ১১৫জনকে চর থেকে উদ্ধার পরে চরের মধ্যে অনেক খোঁজাখুঁজির পর আরো ৫০জন আটক করতে সক্ষম হয় মহেশখালী থানা পুলিশ ৷
সূত্র জানায় গত বছর মুছা কলিম উল্লাহ নামক একজনকে মানবপাচারের সময় হাতেনাতে ধরে প্রশাসন ৷ তার গ্যাংকে বাঁচিয়ে রেখেছেন মহেশখালী উপজেলার হোয়ানক হরিয়ার ছড়া গ্রামের মৃত অলি আহমদের পুত্র আহামদ উল্লাহ ৷ তিনি তার বাড়ি সহ বিভিন্ন জায়গা পরিবর্তন করে আত্মগোপনে আছে ৷ ২০২০ সালের মার্চে গ্রেপীতার হয় কথিত মানবপাচারকারী অলি ৷ গ্রেপ্তার হওয়ার পর তার আরেক সহযোগি হিসেবে তার স্ত্রী হালিমা আক্তার ও তার সন্তান মাশেক উল্লাহ ৷ তার অবর্তমানে তার স্ত্রী এখন মানপাচারের যাবতীয় দায়িত্ব পালন করছে ৷ রোহিঙ্গা নারী পুরুষদের বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে পাচারের জন্য রাজি করান সে নারী ও তার সন্তান ৷
মহেশখালী থানার ওসি আব্দুল হাই জানান, আমাদের এরকম তথ্য রয়েছে ৷ আমার থানা টিম পাচারকারী চক্র নিয়ে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে ৷ আমরা খুব শিঘ্রই তাদের গ্রেফতার করতে সক্ষম হবো ৷
সম্পর্কিত