ঢাকা ২০ অক্টোবর, ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম
ক্রিকেটে নতুন যুগের সূচনা: আবির্ভাব হলো টেস্ট টোয়েন্টি দক্ষিণ ভূর্ষি শীতলা মন্দির পরিচালনা কমিটির সভাপতি কাঞ্চন নাথ, সম্পাদক সুমন দেবনাথ “টাইফয়েড এখনো মারাত্মক জনস্বাস্থ্য সমস্যা"—সিভিল সার্জন ডা. জাহাঙ্গীর আলম “টাইফয়েড এখনো মারাত্মক জনস্বাস্থ্য সমস্যা"—সিভিল সার্জন ডা. জাহাঙ্গীর আলম নোবিপ্রবি ক্যাম্পাসে উত্তেজনা: ছাত্রদল কমিটিতে ‘শিবির সংশ্লিষ্টতার' অভিযোগ পটিয়ায় টাইফয়েড টিকাদান ক্যাম্পেইন সফল করতে সমন্বয় সভা পটিয়ায় ভূমি অফিসে দালালবিরোধী অভিযান, এক যুবকের সাজা ডেঙ্গুতে আরও ৯ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ১০৪২ পটিয়ায় একই দিনে অজ্ঞান পার্টির প্রতারণা ও দরজা কেটে ১৫ লাখ টাকার মালামাল চুরি অজ্ঞান পার্টির খপ্পরে স্বর্ণালংকার- নগদ টাকা হারালেন বৃদ্ধা

মহেশখালীতে মসজিদের অজুহাতে কাটছে পাহাড় নিরব ভূমিকায় প্রশাসন

#

০৬ জানুয়ারি, ২০২৩,  10:16 PM

news image

কক্সবাজার অফিস:

কক্সবাজারের মহেশখালীর শাপলাপুর ইউনিয়নের   মৌলভীকাটা এলাকায়   সরকারি ১নং খাস খতিয়ানভুক্ত পাহাড় কেটে মাটি বিক্রির অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয়রা  প্রশাসনের কাছে একাধিক অভিযোগ দিলেও নিরব ভূমিকায় রয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। 


উক্ত এলাকার ইউপি সদস্য ফরিদুল আলমের নেতৃত্বে 
 একদল মাটি খেকো প্রতিনিয়তই কাটছে পাহাড় ।  গত  মঙ্গলবার সকাল থেকে শুক্রবার (৫ জানুয়ারি) সারারাত  চলে মাটি কাটার মহোৎসব। এতে করে সরকারি জমি হাতছাড়া হওয়ার পাশাপাশি কৃষি জমি ধ্বংসের আশঙ্কা করছেন সচেতন মহল   । 


সরেজমিনে দেখা যায়, শাপলাপুর ইউনিয়নের (৪ নং ওয়ার্ড) মৌলভীকাটা এলাকায় রাস্তার পাশে একটি উঁচু টিলা থেকে কয়েকটি  স্কেভেটর-ডাম্পার দিয়ে মাটি কাটছে একদল পাহাড় খেকো  । মাটি কেটে ডাম্পার বোঝাই  করে নিয়ে যাচ্ছে এবং বিক্রি করা হচ্ছে নির্মানাধীণ বাড়িতে। উক্ত জায়গায় দালান তৈরি ও দোকান নির্মাণের জন্য   জায়গা ভরাট করা হচ্ছে পাহাড়ের মাটি দিয়ে । 


স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, চার নম্বর ওয়ার্ডের  ফরিদ মেম্বার, জালাল মাস্টার ও সালাম মসজিদের জায়গা ভরাটের নামে সরকারি উঁচু টিলা জায়গা থেকে মাটি বিক্রি করছে।  

স্থানীয় বাসিন্দা শাহরিয়ার বলেন, মাটি কাটার  কারণে আমাদের বসতভিটার ব্যাপক ক্ষতি সাধিত হওয়ার আশংকা করছি। সামনে বর্ষার মৌসুমে এর ফল আমাদের ভোগ করতে হবে।   ফরিদ মেম্বার কয়েকদিন আগেও স্কেভেটর নিয়ে এই জায়গায় মাটি বিক্রি করার জন্য এসেছিল। শাপলাপুর  বিট অফিসার এসে বাধা দিলে সে  চলে যায়। এর  কয়েকদিন পর  আবার স্কেভেটর-ডাম্পার নিয়ে রাত-দিন মাটি কাটে তার নেতৃত্বে একটি দল। 


স্থানীয়ভাবে জানা গেছে , ফরিদ মেম্বারের কাজ হচ্ছে উঁচু জায়গায় যারা বসবাস করছে তাদের ভিটা নিচু করার কথা বলে মোটা অংকের টাকা নিয়ে মাটিগুলো বিক্রি করা । আর কর্মসূচির মাটি কাটার টাকা ভাগ বসিয়ে  হারামকে হালাল করাই তার কাজ। 

শাপলাপুর চার নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি  সদস্য  ফরিদুল আলম বলেন, মাটি কাটার সাথে আমি জড়িত নয়। স্থানীয়রা মসজিদ তৈরি করার জন্য  এই মাটি কাটছে । আমার ব্যাপারে ভুল তথ্য দেয়া হয়েছে ।


মহেশখালী রেঞ্জের  কর্মকর্তা জুলফিকার আলী জানান, মাটি কাটার বিষয়টি আমরা অবগত রয়েছি। যে জায়গায় যারা মাটি কাটছে তা তাদের ব্যক্তিগত জায়গা। এখানে বন বিভাগের কিছুই করার নেই। 


মহেশখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ ইয়াছিন জানান, গত কয়েকদিন ধরে বিষয়টি নিয়ে আমিসহ বন বিভাগের লোকজন দৌড়ের উপর ছিলাম। মাটি কাটার স্থানে গিয়ে মাটি কাটা বন্ধও রাখা হয়। পরে শুক্রবার সার্ভেয়ারের মাধ্যমে অবগত হই, যে স্থান থেকে মাটি কাটা  হচ্ছে তা তাদের নিজস্ব খতিয়ানভুক্ত জমি। একটি মসজিদ তৈরির কাজে উক্ত জায়গায় মাটি ভরাট করা হচ্ছে।  ধর্মীয় বিষয়টি মাথায় রেখে আমরা বিষয়টি নিয়ে আর আগাইনি। 


উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার   (৪ জানুয়ারি) রাতে মেম্বার ফরিদুল আলমকে মাটি কাটার স্থান থেকে  আটক করে  মহেশখালী থানায় প্রায় তিন ঘন্টা বসিয়ে রেখে পরে ছেড়ে দেয়া হয়।  

logo

প্রধান সম্পাদক : হেফাজুল করিম রকিব

সম্পাদক : নূরুন্নবী আলী