মহেশখালীতে আগুনে দশ বসতঘর পুড়ে অঙ্গার
১৯ মার্চ, ২০২৩, 11:30 PM

NL24 News
১৯ মার্চ, ২০২৩, 11:30 PM

মহেশখালীতে আগুনে দশ বসতঘর পুড়ে অঙ্গার
মিজবাহ উদ্দিন আরজু ( কক্সবাজার অফিস)
মহেশখালী উপজেলার কালারমারছড়া ইউপিস্থ আঁধারঘোনা এলাকায় গভীর রাতে ভয়াবহ আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে গেল ১০ টি বসতঘর। কোন রকম জানে রক্ষা পেলেও বাড়ি-ঘর,স্বর্ণালঙ্কার,নগদ অর্থ,আসবাবপত্রসহ মূল্যবান জিনিসপত্র চোখের সামনে পুড়ে ছাই হয়ে গেলেও কোন কিছু রক্ষা করতে পারেনি ভুক্তভোগীরা।
১৮ মার্চ দিবাগত রাত ৩টায় কালারমারছড়ার আঁধারঘোনার এ ঘটনা ঘটে। বিষয়টি নিশ্চিত করেন স্থানীয় ইউপি সদস্য আবু আহমদ।
সূত্রে জানা যায়, এসব স্থানীয় মরহুম সিকদার মিয়া ও রাজা মিয়ার সন্তানদের পুরানো বাড়ি ছিলো। ঠিক কী কারণে আগুনের সূত্রপাত তা এখানে জানা যায়নি। প্রাথমিক ভাবে বিদ্যুৎ এর সর্টকিট থেকে আগুনের সূত্রপাত বলে ধারণা করা হচ্ছে। ঘন্টা ব্যাপী আগুন জ্বললেও ফায়ার সার্ভিসের লোকজনকে আগুন নিয়ন্ত্রণে দেখা যায়নি। বর্তমানে এ সব পরিবারের প্রায় শতাধিক নারী-শিশুসহ সকলে খোলা আকাশের নিচে নিঃস্ব হয়ে পড়ে আছেন।
ভুক্তভোগী আহমেদ উল্লাহ,হোসেন আলীসহ আরও কয়েকজন জানান, আহমদ উল্লাহর বাড়ীতেই বিদ্যুৎ সর্টকিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়। একটি বাড়িতে আগুন ধরার সাথে সাথে দ্রুত অন্য বাড়িগুলোতে ছড়িয়ে পড়ে আগুন। এতে পার্শ্ববর্তী রফিক উল্লাহ,হোসেন আলী,শফি উল্লাহ,ছৈয়দ আহমদসহ প্রায় ১০ টি বাড়িঘর সম্পূর্ণ পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। এতে প্রায় নগদ ১৫ লাখ টাকা,৩০ ভরি স্বর্ণলঙ্কার,গুরুত্বপূর্ণ আসবাবপত্রসহ প্রায় দেড় কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানান। স্থানীয় চেয়ারম্যান সহ উপজেলা প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করেছেন।
স্থানীয় বাসিন্দা মাঈনুল ইসলাম শরীফ জানান- আগুনে পুড়ে বাপ দাদার শেষ স্মৃতি গুলো এইভাবে মুছে যাবে তা কখনো কল্পনা করিনি। প্রায় ১৫ টি বাড়ি মুহুর্তেই পুড়ে ছাই হয়ে গেলও ঘর থেকে কিছুই নিয়ে বের হতে পারেনি। মহেশখালীর উত্তরে একটা ফায়ার সার্ভিসের প্রয়োজন কতটুকু সেটা দয়াকরে উপলব্ধি করবেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
এবিষয়ে কালারমারছড়ার ইউপি চেয়ারম্যান তারেক বিন ওসমান শরীফ জানান, আগুনে পুড়ার খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক ভাবে ভুক্তভোগী পরিবারের খোঁজ খবর নেওয়া হয়েছে এবং তাদের সহযোগিতার করা হবে পাশাপাশি ভুক্তভোগী পরিবারদের সহযোগিতা করতে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনসহ বিত্তবানদের প্রতি অনুরোধ জানান।
মহেশখালী ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের স্টেশন অফিসার পুলাক কান্ত সরকার জানান, খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি ঘটনাস্থলে রওয়ানা দেয়। কিন্তু আগুন লাগার স্থানে রাস্তা না থাকায় গাড়ি যেতে পারেনি আর আশপাশে পানির উৎসও ছিল না। তবে বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিটের কারণে আগুন লেগেছে বলে প্রাথমিকভাবে জানা যায়।