ঢাকা ১৬ অক্টোবর, ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম
দক্ষিণ ভূর্ষি শীতলা মন্দির পরিচালনা কমিটির সভাপতি কাঞ্চন নাথ, সম্পাদক সুমন দেবনাথ “টাইফয়েড এখনো মারাত্মক জনস্বাস্থ্য সমস্যা"—সিভিল সার্জন ডা. জাহাঙ্গীর আলম “টাইফয়েড এখনো মারাত্মক জনস্বাস্থ্য সমস্যা"—সিভিল সার্জন ডা. জাহাঙ্গীর আলম নোবিপ্রবি ক্যাম্পাসে উত্তেজনা: ছাত্রদল কমিটিতে ‘শিবির সংশ্লিষ্টতার' অভিযোগ পটিয়ায় টাইফয়েড টিকাদান ক্যাম্পেইন সফল করতে সমন্বয় সভা পটিয়ায় ভূমি অফিসে দালালবিরোধী অভিযান, এক যুবকের সাজা ডেঙ্গুতে আরও ৯ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ১০৪২ পটিয়ায় একই দিনে অজ্ঞান পার্টির প্রতারণা ও দরজা কেটে ১৫ লাখ টাকার মালামাল চুরি অজ্ঞান পার্টির খপ্পরে স্বর্ণালংকার- নগদ টাকা হারালেন বৃদ্ধা পটিয়ায় ২৪ ঘণ্টায় দুই চুরি, এক আত্মহত্যা : চরম উৎকন্ঠায় স্থানীয়রা

ভূমিমন্ত্রীর এলাকায় ৬ মাস ধরে অ্যাম্বুলেন্স সেবা থেকে বঞ্চিত রোগীরা

#

নিজস্ব সংবাদদাতা

১৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২২,  11:49 PM

news image

এনএল ডেস্কঃ- আনোয়ারায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নানা অনিয়ম দেখা যেন কেউ নাই। কবে মুক্তি পাবে ভুক্তভোগী রোগীদের দাবি, প্রশ্ন আনোয়ারা বাসী? 

বুধবার (১৬ ফেব্রয়ারি) রাত ৮ শ্বাসকষ্ট কারণে 'আমার সময়' আনোয়ারা উপজেলা সংবাদদাতা সাংবাদিক মোঃ জাবেদুল ইসলামের আম্মুকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নেওয়া হলে জরুরি বিভাগে অক্সিজেন সেবা দিয়ে উন্নত চিকিৎসা জন্য চট্টগ্রাম রেফার করার হলো পাওয়া যাইনি সরকারি অ্যাম্বুলেন্স সেবা। প্রাইভেট অ্যাম্বুলেন্স যোগে ২হাজার টাকা ভাড়া দিয়ে চট্টগ্রাম কসমোপলিটন হসপিটাল (প্রাঃ) লিঃ নেওয়া হয়।

দুইটি এ্যাম্বুলেন্স থেকেও রোগীরা কেন সেবা পাচ্ছে না, তা জানতে চাইলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের একাধিক কর্মকর্তা চালকের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন। তারা বলেন, আনোয়ারা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দুইটি সরকারী এ্যাম্বুলেন্স রয়েছে। তারমধ্যে একটি নতুন আরেকটি পুরাতন। একজন চালক রয়েছেন। এই হাসপাতালে এ্যাম্বুলেন্সের চালক কারও কোন কথা শোনে না। নিজের ইচ্ছেমতো চলেন। কেউ যদি তাকে জরুরী রোগী নিতে প্রেসার সৃষ্টি করে তখন চালক কর্মকর্তাদের বিভিন্ন রকমের অসঙ্গতিপূর্ণ কথাবার্তা বলে। বর্তমান চালক অতীতে এই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ছিল। তার বিভিন্ন অনিয়মের কারণে তাকে এই হাসপাতাল থেকে পটিয়া উপজেলায় বদলি করা হয়। বর্তমানে তিনি আবারও এই হাসপাতালে বদলি হয়ে এসে নিয়মনীতির কোন তোয়াক্কা করছেন না। অথচ অতীতের চালকদের প্রতি মাসে আনোয়ারা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে রেফার করা ১০৫ জন পর্যন্ত জরুরী রোগীর চট্টগ্রাম মেডিক্যাল হাসপাতালে নেয়ার রেকর্ড রয়েছে। কিন্তু বর্তমান চালক আগস্টের ৫ তারিখ যোগদান করে সেপ্টেম্বরের ৪ তারিখ পর্যন্ত মাত্র ৩৪ রোগী বহন করেছেন। সেপ্টেম্বরের ৫ তারিখ থেকে কোন রোগী নিচ্ছে না বর্তমান চালক। ফলে রোগীদের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।

গত ২৯ জানুয়ারি 'দৈনিক ইত্তেফাক' প্রকাশিত শিরোনাম 'আনোয়ারা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স অব্যবহৃত পড়ে আছে দুটি অ্যাম্বুলেন্স' এখনো অ্যাম্বুলেন্স সেবা থেকে বঞ্চিত ভুক্তভোগী রোগীরা। 

গত ১ ফেব্রয়াবি জাতীয় এবং চট্টগ্রামে স্থানীয় একাধিক পত্রিকা সংবাদ প্রকাশিত হয়, আনোয়ারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স রোগীদের দেওয়া হচ্ছে ছেঁড়া মশারি' শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদ এখনো কোন ব্যবস্থা নেওয়া নেননি উপজেলা প্রশাসন।

কামরুল ইসলাম নামে এক রোগী জানান,  অসুস্থতা কারণে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়ে।এখানে এসে আরো বেশি অসুস্থতা ভোগ করতেছি। রোগীদের সাথে  ওয়ার্ড বয়ের ব্যবহার বলার বাহিরে।শীত রাতে রোগীদের নোংরা ছেঁড়া মশারি নেই শীত নিধন করানো মতো উন্নত কম্বল।

ভুক্তভোগী রোগীদের দাবি একটি চক্র ভূমিমন্ত্রী নাম বিক্রি করে প্রভাব কাটিয়ে বেড়াছে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্মরত নাম প্রকাশের অনিচ্ছুক এক কর্মচারী জানান,গত  বছর এবং এই বছর নতুন করে ১হাজার পিছ কম্বল হাসপাতালে নিজস্ব তহবিল থেকে কিনা হয়েছে। উপজেলা বিভিন্ন সংগঠন থেকে শীতবস্ত্র দেওয়া হলেও শীতবস্ত্র গুলো আলমারি থালা বন্ধ করে রাখা হয়েছে। শীতের মধ্যে শীত বস্ত্র কষ্ট ভোগান্তি শেষ নেই রোগীদের।

এই বিষয়ে ভারপ্রাপ্ত উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ সৈয়দ মোঃ রিদওয়ানুল হক বলেন, সরকারি অ্যাম্বুলেন্সের কোন ড্রাইভার নেই। রোগীদের ছেঁড়া দেওয়া মশারি বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি জানান, আমি আসছি মাত্র কিছুদিন হচ্ছে এই বিষয়ে আমি কিছু জানি না। বিস্তারিত জেনে আপনাকে জানাবো।

/মোরশেদ 

logo

প্রধান সম্পাদক : হেফাজুল করিম রকিব

সম্পাদক : নূরুন্নবী আলী