ঢাকা ১৬ অক্টোবর, ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম
দক্ষিণ ভূর্ষি শীতলা মন্দির পরিচালনা কমিটির সভাপতি কাঞ্চন নাথ, সম্পাদক সুমন দেবনাথ “টাইফয়েড এখনো মারাত্মক জনস্বাস্থ্য সমস্যা"—সিভিল সার্জন ডা. জাহাঙ্গীর আলম “টাইফয়েড এখনো মারাত্মক জনস্বাস্থ্য সমস্যা"—সিভিল সার্জন ডা. জাহাঙ্গীর আলম নোবিপ্রবি ক্যাম্পাসে উত্তেজনা: ছাত্রদল কমিটিতে ‘শিবির সংশ্লিষ্টতার' অভিযোগ পটিয়ায় টাইফয়েড টিকাদান ক্যাম্পেইন সফল করতে সমন্বয় সভা পটিয়ায় ভূমি অফিসে দালালবিরোধী অভিযান, এক যুবকের সাজা ডেঙ্গুতে আরও ৯ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ১০৪২ পটিয়ায় একই দিনে অজ্ঞান পার্টির প্রতারণা ও দরজা কেটে ১৫ লাখ টাকার মালামাল চুরি অজ্ঞান পার্টির খপ্পরে স্বর্ণালংকার- নগদ টাকা হারালেন বৃদ্ধা পটিয়ায় ২৪ ঘণ্টায় দুই চুরি, এক আত্মহত্যা : চরম উৎকন্ঠায় স্থানীয়রা

বোনকে গলা কেটে খুন করলো ভাই

#

০৮ মার্চ, ২০২২,  7:03 PM

news image
বোনকে গলা কেটে খুন করে ভাই

নিজস্ব প্রতিনিধি : গোপালগঞ্জে কোটালীপাড়া উপজেলায় রাধাগঞ্জ ইউনিয়নের ছোট দিঘলীয়া গ্রামে বোনকে গলা কেটে খুন করে ভাই।

জানা গেছে, উপজেলার ছোট দিঘলীয়া গ্রামের জাকির হোসেন (৫৫) ও তার স্ত্রী নুরুন্নাহার বেগম (৪৫) দম্পতির ২৫ বছর আগে বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই তাদের দুইজনের মাঝে পারিবারিক কলহ লেগেই থাকত। এরই মাঝে এই দম্পতির নাসিরউদ্দিন (২০), সিফাতুল্লাহ (১৮), শফিউল্লাহ (১০) ও হালিমা খাতুন (১২) নামে ৪টি সন্তান জন্মগ্রহণ করে। এদের মধ্যে নাসিরউদ্দিন বরিশালের একটি মাদ্রাসায় লেখাপড়া করে। অপরদিকে ছোট ভাই শফিউল্লাহ প্রতিবন্ধী।

ঘটনার দিন দুপুর ১২টায় পারিবারিক কলহের জের ধরে স্বামীর ওপর অভিমান করে নুরুন্নাহার বেগম বাড়ি থেকে অন্যত্র চলে যায়। অপরদিকে জাকির হোসেনও বাড়ি থেকে কাজে চলে যায়।

এ সময় পারিবারিক কলহ নিয়ে ভাই সিফাতুল্লাহ ও বোন হালিমা খাতুনের কথাকাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে সিফাতুল্লাহ ধারালো অস্ত্র দিয়ে হালিমা খাতুনের গলা কেটে হত্যা করে।

নাম প্রকাশ না করা শর্তে এক প্রতিবেশী বলেন, জাকির হোসেন একজন সহজ-সরল প্রকৃতির লোক। যার জন্য প্রায়ই স্বামী-স্ত্রীর মাঝে ঝগড়া হতো। ঝগড়ার সময় সিফাতুল্লাহ বাবা ও হালিমা খাতুন মায়ের পক্ষ নিত। সে কারণে সিফাতুল্লাহ তার বোনকে হত্যা করতে পারে।

হালিমা খাতুনের মা নুরুন্নাহার বেগম বলেন, আমি যখন বাড়ি থেকে বের হয়ে যাই তখন সিফাতুল্লাহ, হালিমা ও আমার প্রতিবন্ধী ছেলে শফিউল্লাহ বাড়িতে ছিল। সে সময় পারিবারিক কলহ নিয়ে উভয়ের মাঝে কথাকাটাকাটি হচ্ছিল। আমার ধারণা সিফাতুল্লাহই হালিমাকে হত্যা করেছে।

কোটালীপাড়া থানার ওসি মো. জিল্লুর রহমান বলেন, ঘটনার প্রকৃত কারণ এখনো জানা যায়নি। আমরা সিফাতুল্লাহকে আটকের চেষ্টা করছি। সে বর্তমানে পলাতক রয়েছে। তাকে খুঁজে পেলেই হালিমা হত্যার প্রকৃত ঘটনা জানা যাবে। আমরা হালিমা খাতুনের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য গোপালগঞ্জ সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছি।

logo

প্রধান সম্পাদক : হেফাজুল করিম রকিব

সম্পাদক : নূরুন্নবী আলী