ঢাকা ২১ অক্টোবর, ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম
ক্রিকেটে নতুন যুগের সূচনা: আবির্ভাব হলো টেস্ট টোয়েন্টি দক্ষিণ ভূর্ষি শীতলা মন্দির পরিচালনা কমিটির সভাপতি কাঞ্চন নাথ, সম্পাদক সুমন দেবনাথ “টাইফয়েড এখনো মারাত্মক জনস্বাস্থ্য সমস্যা"—সিভিল সার্জন ডা. জাহাঙ্গীর আলম “টাইফয়েড এখনো মারাত্মক জনস্বাস্থ্য সমস্যা"—সিভিল সার্জন ডা. জাহাঙ্গীর আলম নোবিপ্রবি ক্যাম্পাসে উত্তেজনা: ছাত্রদল কমিটিতে ‘শিবির সংশ্লিষ্টতার' অভিযোগ পটিয়ায় টাইফয়েড টিকাদান ক্যাম্পেইন সফল করতে সমন্বয় সভা পটিয়ায় ভূমি অফিসে দালালবিরোধী অভিযান, এক যুবকের সাজা ডেঙ্গুতে আরও ৯ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ১০৪২ পটিয়ায় একই দিনে অজ্ঞান পার্টির প্রতারণা ও দরজা কেটে ১৫ লাখ টাকার মালামাল চুরি অজ্ঞান পার্টির খপ্পরে স্বর্ণালংকার- নগদ টাকা হারালেন বৃদ্ধা

বিদেশ যাত্রায় প্রতারণার শিকার চৌফলদন্ডীর যুবকেরা

#

০৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩,  6:42 PM

news image

কক্সবাজার অফিস :

কক্সবাজার সদর উপজেলার  চৌফলদন্ডীতে  মানবপাচারকারী  প্রবাসী পরিবারের  প্রতারণার  ফাঁদে পড়ে  বিদেশে গিয়ে সর্বশান্ত হয়েছেন অসংখ্য যুবক।তাদের কাছ থেকে হাতিয়ে নিয়েছেন লক্ষ লক্ষ টাকা।

চৌফলদন্ডী ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডের দক্ষিণ পাড়ার  বাসিন্দা প্রবাসী মোজাহের আহমদ ও তার পরিবারের লোকজন নানা প্রলোভনে  ফেলে  জাল ভিসায় বিদেশ পাটিয়ে   প্রতারণা করে  নিরীহ  লোকজনকে ঠেলে দিচ্ছে  চরম বিপদের মূখে। এমন অভিযোগ স্থানীয় ভূক্তভোগী পরিবারের নারী পুরুষের। এমনই ভুক্তভোগী একই ইউনিয়নের ৪ নাম্বার ওয়ার্ডের পশ্চিম পাড়ার গুরা মিয়ার ছেলে মোঃ ইউচুপ (৩৫) জানিয়েছেন মোজাহেরের হপ্পরে পড়ে সৌদি আরবে গিয়ে কি ভাবে কাটিয়েন  দূর্বিষহ যন্ত্রনাকর দিন,তার বিবরণ দিতে গিয়ে তিনি কান্নায় ভেঙে পড়েন। মাত্র তিন মাসের মাথায় তাকে শূন্য হাতে ফিরে আসতে হয় দেশে। তিনি জানান,মোজাহের সৌদি আরবে বসে   চালিয়ে যাচ্ছেন মানবপাচারের নামে প্রতারণা।

চৌফলদন্ডীর দক্ষিণ ও পশ্চিম পাড়ার  শত শত নারী পুরুষ  বলেন,চৌফলদন্ডী ৩ নং  ওয়ার্ডের দক্ষিণ   পাড়ার দিল মোহাম্মদ এর ছেলে প্রবাসী মোজাহের আহমদ তার স্ত্রী দিলদার বেগম ও তার মেয়ে ইছমত আরা ছেলে রাসেল তারা   চিহ্নিত আদম পাচারকারি। বিদেশে লোক পাঠানোর নামে বিভিন্ন মানুষের কাছ থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা নিয়ে জাল ভিসা ধরিয়ে দিয়ে   প্রতারণা করে নিয়ে যাচ্ছে সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে।   লোভনীয় কাজের কথা বলে  বিভিন্ন লোকের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নেয়া তাদের পেশা ও নেশা।

ফলে মাত্র তিন মাসের ভিসার মেয়াদ শেষ হলে  তাদের সেখানে পালিয়ে বেড়াতে হয়। তিন মাসের আগেই তাদের দীর্ঘ মেয়াদী ভিসা ও ভালো বেতনে পছন্দসই কাজ দেয়া হবে। কথাদিয়ে কথা না রাখায় অনেকে মহাবিপদে। কেউ কেই ধরাপড়ে শূন্যহাতে ফিরেছে দেশে। ভালো কাজ, সন্তোষজনক বেতন ও নিরাপত্তার কথা বলে এসব যুবকদের প্রতারণার ফাঁদে ফেলে বিদেশে নিয়ে গিয়ে  ঠেলে দিয়েছে বিপদে।

প্রবাসী মোজাহের আহমদ এর প্রতারণার শিকার হওয়া গুরা মিয়ার ছেলে ইউসুফের মতো  নবী নামক এক ভুক্তভোগী বলেন, মোজাহের বিদেশে বসে জাল ভিসা তৈরী করে তার পরিবারের কাছে পাঠায়,আর তার স্ত্রী ও ছেলে মেয়ে এসব ভিসা দিয়ে নিচ্ছে লক্ষ লক্ষ টাকা। ইউচুপ বলেন,আমাকে তারা লোভনীয় ভিসা দেয়ার কথা বলে ৬ লক্ষ টাকায় কন্ট্রাক্ট করে বিদেশে পাঠায়। বিদেশ যাওয়ার পর ভিসা দুই নাম্বার হওয়ায় ওই দেশের প্রশাসন আমাকে আটক করে বাংলাদেশে পাঠিয়ে দেয়। গত বছর পবিত্র রমজান মাসের ২ তারিঁখ সৌদি আরবে গেলে ও কোরবানের দিন আমাকে দেশে ফিরতে হয়েছে। আমি দেশে এসে আমার টাকা ফেরত চাইলে প্রবাসী মোজাহেরের   স্ত্রী ও ছেলে মেয়ে স্হানীয় প্রভাবশালী লোকদের হাতে নিয়ে আমাকে মিথ্যা মামলার ভয়ভীতিসহ  আমার বিরুদ্ধে ভুয়া ও মিথ্যা অপপ্রচার চালায়।এমনকি তারা ভাড়াটে লোকজন নিয়ে সম্প্রতি  আমার বাড়িতে কয়েকদফা  হামলা করে।

একদিকে আমি আমার শেষ সম্বল হারিয়েছি,অন্যদিকে দায়দেনায় পড়ে পরিবার পরিজন নিয়ে অনাহার অর্ধাহারে অতি কষ্টে দিনাতিপাত করছি।স্থানীয়রা বলেন,প্রবাসী মোজাহের ও তার পরিবার অবৈধ মানবপাচার করে এখন কোটি কোটি টাকার মালিক। যারা    এ ধরনের অপকর্মের প্রতিবাদ করে  তাদের মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর চেষ্টাসহ প্রভাবশালীদের মাধ্যমে নানাভাবে হুমকি-ধমকি দিচ্ছে।  শুধু তাই নয় স্থানীয় বাদশাহমিয়া জানান,মোজাহের তার স্ত্রী পুত্রের মাধ্যমে আমার ছেলে মোঃ ইউচুপ (২৩) কে একই কায়দায় একবছর আগে সৌদি আরব নিয়ে গেলে ও দীর্ঘ পাঁচ মাস ধরে আমার সন্তানের খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না।এভাবে এলাকার একরাম মিয়া, পিতা ইসহাক,আমির হোসেন পিতা কবির আহমদ,ফয়সাল পিতা সোনা আলী,সাদ্দাম হোসেন পিতা বেদুমিয়া,সলিমমিয়া পিতা মনছুর আলম,আবদুশুকুর পিতা ফরিদ আলম,মকতুল হোসেন পিতা কবির আহমদ ও নুরুল আলম পিতা আবদুল গফুরসহ অসংখ্য যুবক মোজাহেরের জাল ভিসায় সৌদি আরব গিয়ে পড়েছেন মহাবিপাকে। এসব যুবকদের ভাগ্যে কি লিখা আছে একমাত্র বিধাতাই ভালো জানেন।তাদের পরিবারের লোকজন বলেন,সুখের আশায় পরিবারের উপার্জনে সক্ষম লোকটিকে সহায় সম্বল বিক্রি কিংবা বন্ধক দিয়ে স্বমী সন্তানদের বিদেশ পাটিয়েছি। সে বিদেশ যাত্রা যে,আমাদের জীবনে অভিশাপ তা কে জানতো।

logo

প্রধান সম্পাদক : হেফাজুল করিম রকিব

সম্পাদক : নূরুন্নবী আলী