NL24 News
০৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২২, 7:55 PM
বাসায় সিলিন্ডার বিস্ফোরণ, বড় বোনের পর চলে গেলেন ছোট বোনও
চট্টগ্রাম প্রতিনিধি
চট্টগ্রাম নগরীর বাকলিয়ায় বাসায় গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে দগ্ধ দুই বোনের মৃত্যু হয়েছে। সোমবার সকালে রাজধানীর শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ছোট বোন এবং রোববার বড় বোনের মৃত্যু হয়।
এর আগে, বৃহস্পতিবার রাহাত্তারপুল এলাকার বিসমিল্লাহ টাওয়ারের পঞ্চম তলায় এ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- চন্দনাইশ উপজেলার ফতেহ নগর সিকদার বাড়ির আলাউদ্দীন খালেদের মেয়ে সাবরিনা খালেদ ও সামিয়া খালেদ। এর মধ্যে সাবরিনা নগরীর একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজীতে স্নাতক পাশ করেছেন। সামিয়া একটি সরকারি কলেজের উচ্চ মাধ্যমিকের ছাত্রী ছিলেন।
নিহতদের খালা সাংবাদিক শরীফা বুলবুল বলেন, বিস্ফোরণের পর ওই রাতেই উন্নত চিকিৎসার জন্য দুজনকে চট্টগ্রাম থেকে ঢাকায় নেয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রোববার বড় বোন ও সোমবার ছোটবোনের মৃত্যু হয়। আইনি প্রক্রিয়া শেষে তাদের লাশ চট্টগ্রামে নেয়া হয়েছে।
খালাতো ভাই মোহাম্মদ তাইমুল ইসলাম ভূঁইয়া বলেন, দীর্ঘদিন ধরে বাসাটিতে গ্যাসের গন্ধ পাওয়া যাচ্ছিল। বিষয়টি বাড়ির দারোয়ানকে বেশ কয়েকবার জানানো হলেও তিনি পাত্তা দেননি। মালিকও কোনো ব্যবস্থা নেননি। ব্যবস্থা নিলে এতো বড় ক্ষতি হতো না।
এদিকে, এ দুর্ঘটনার পর ঘটনাস্থল পরিদর্শনে গেলেও কোনো ধরনের আইনি ব্যবস্থা নেয়নি পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঘটনাস্থলে যাওয়া ফায়ার সার্ভিসের চন্দনপুরা স্টেশনের সিনিয়র অফিসার শহিদুল ইসলাম বলেন, এ বিষয়ে কেউ অভিযোগ করেননি। তাই কোনো তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়নি। প্রাথমিক অনুসন্ধান শেষে আমরা ফিরে আসি।
বাকলিয়া থানার ওসি রাশেদুল হক বলেন, কোনো অভিযোগ নেই মর্মে লিখিত দিয়ে ময়নাতদন্ত ছাড়াই লাশ বুঝে নেয় নিহতদের পরিবার। তাই কারো বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হয়নি।
নিহতদের বাবা আলাউদ্দীন খালেদ বলেন, অগ্নিদগ্ধ হয়ে দুই মেয়ে কষ্ট পেয়েছে। ময়নাতদন্ত করে তাদের আর কষ্ট দিতে চাইনি। তাছাড়া মামলা করলে ময়নাতদন্ত ছাড়া লাশ পাবো না। তাই আর সেদিকে যাইনি।