বাংলাদেশের তরুন চিকিৎসক ডা কামরুল ইসলাম শিপু নিয়োগ পেলেন অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটিতে
৩০ মার্চ, ২০২৩, 7:58 PM

NL24 News
৩০ মার্চ, ২০২৩, 7:58 PM

বাংলাদেশের তরুন চিকিৎসক ডা কামরুল ইসলাম শিপু নিয়োগ পেলেন অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটিতে
বাংলাদেশের তরুন চিকিৎসক ডা কামরুল ইসলাম শিপু, পৃথিবীসেরা বিশ্ববিদ্যালয়, দ্য ইউনিভার্সিটি অব অক্সফোর্ডের বিখ্যাত ভ্যাকসিন গবেষনা প্রতিষ্টান "অক্সফোর্ড ভ্যাকসিন গ্রুপ"-এ সম্মানজনক ক্লিনিক্যাল রিসার্চ ফেলো ইন ভ্যাকসিনোলজি পদে নিয়োগ পেয়েছেন।
ডা শিপু এর আগে আরেক খ্যাতনামা বিশ্ববিদ্যালয় "দ্য ইউনিভার্সিটি অব এডিনবরা" থেকে ফুল ফান্ডেড স্কলারশিপ পেয়ে "মাস্টার্স ইন ক্লিনিক্যাল মাইক্রোবায়োলজি এন্ড ইনফেকসাস ডিজিস" সম্পন্ন করেন। এছাড়াও তিনি ব্রিটেনে চিকিৎসাসেবা দেয়ার জন্য জেনারেল মেডিকেল কাউন্সিলের পরীক্ষায় উত্তীর্ন হয়ে ইউনাইটেড কিংডমে একজন রেজিষ্টার্ড চিকিৎসক।
বাংলাদেশে তিনি এম বি বি এস উত্তীর্ন হয়ে নর্থ ইষ্ট মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে মাইক্রোবায়োলজি ডিপার্টমেন্টে লেকচারার হিসেবে নিয়োগ পান। সর্বশেষ এসিস্ট্যান্ট প্রফেসর অব মাইক্রোবায়োলজি পদে সাফল্যের সাথে কাজ করেছেন। এছাড়া কোভিড-১৯ প্যন্ডেমিক মোকাবেলায় উক্ত প্রতিষ্টানে তার প্রশংসনীয় ভূমিকা ছিলো। সংক্রামক ব্যাধী সম্পর্কে জনসচেতনতা তৈরী এবং ভ্যাকসিন সম্পর্কে বিভিন্ন ভূল ধারনা দূর করতে fromadoctor.com প্রজেক্টের মাধ্যমে লখো মানুষের কাছে সঠিক ও নির্ভরযোগ্য তথ্য পৌছে দিতে কাজ করেছেন যা এখনো চলমান।
মেডিকেলে ছাত্রাবস্থায় তিনি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এ২আই প্রকল্পের “বেস্ট ইনোভেটিভ আইডিয়া” প্রতিযোগিতায় প্রথম পুরষ্কার পেয়েছিলেন।
মৌলভীবাজার জেলার, কমলগঞ্জ উপজেলার প্রয়াত মুক্তিযুদ্ধের সংঘটক ও সর্বজন শ্রদ্ধেয় শিক্ষক আব্দুন নূর মাস্টার ও নূরজান চৌধুরীর কনিষ্ট পুত্র ডা কামরুল ইসলাম শিপু অক্সফোর্ড ভ্যাকসিন গ্রুপে পৃথিবীসেরা ভ্যাকসিন বিজ্ঞানীদের সাথে নতুন নতুন ভ্যাকসিন উদ্ভাবনে কাজ করবেন। একই সাথে বিভিন্ন ভ্যাকসিনের ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল কাজে সহায়তা করবেন। তিনি একই সাথে ফিজিসিয়ান এবং ক্লিনিক্যাল রিসার্চার উভয় দায়িত্ব পালন করবেন এজন্য যুক্তরাজ্যের সরকারী চিকিৎসাসেবা প্রদানকারী এন এইচ এস (NHS) এর সাথেও তার অনারারি কন্ট্রাক্ট থাকবে।
তাৎক্ষনিক প্রতিক্রিয়ায় তিনি বলেন, এটা আমার এবং আমার পরিবারে জন্য খুবই গর্বের বিষয়। আমি সবসময় এমন কিছু করতে চেয়েছি যাতে অনেক বেশি সংখ্য মানুষের জীবনকে পজেটিভভাবে প্রভাবিত করতে পারবো। আমি অক্সফোর্ডে অনেক বড় একটি টিমের অংশ হিসেবে কাজ করবো। অক্সফোর্ডের এসব চিকিৎসক ও বিজ্ঞানীরা এই মাত্র কিছুদিন আগে রেকর্ড সময়ে করোনা ভ্যাকসিন তৈরী করে কোটি মানুষের জীবন বাচাতে সহায়তা করেছেন। তারা এখন আরো অনেকগুলো গুরুত্বপূর্ন ভ্যাকসিন তৈরীতে কাজ করছেন। এরকম একটা ভ্যাকসিনে আমার সামান্যতম অবদানও আমার জীবনের অনেক বড় প্রাপ্তি হবে। আগামীতে এই ফিল্ডে দেশে কাজ করার সুযোগ আসলে চেষ্টা করবো নিজের সর্বোচ্চটা দিয়ে প্রিয় দেশের জন্য কাজ করার। সবাই দোয়া করবেন। আমার প্রয়াত পিতা আজ বেঁচে থাকলে এ সাফল্য আরো রঙ্গীন হতো আমার জন্য। বাবার জন্য সবার কাছে দোয়া চাই। আমার পরিবারের সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা এবং আমার ছাত্রছাত্রীদের জন্য ভালোবাসা জানাচ্ছি।