নোবিপ্রবি ক্যাম্পাসে উত্তেজনা: ছাত্রদল কমিটিতে ‘শিবির সংশ্লিষ্টতার' অভিযোগ
নিজস্ব সংবাদদাতা
১০ অক্টোবর, ২০২৫, 5:19 PM

নিজস্ব সংবাদদাতা
১০ অক্টোবর, ২০২৫, 5:19 PM

নোবিপ্রবি ক্যাম্পাসে উত্তেজনা: ছাত্রদল কমিটিতে ‘শিবির সংশ্লিষ্টতার' অভিযোগ
ডেস্ক রিপোর্ট:- নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (নোবিপ্রবি) ক্যাম্পাসে বর্তমানে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। আসন্ন বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের কমিটিকে ঘিরে এই অস্থিরতা সৃষ্টি হয়েছে।
বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছেন ফিশারিজ অ্যান্ড মেরিন সায়েন্স বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী হাসিবুল হোসেন। সম্প্রতি তিনি নোবিপ্রবি ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী হিসেবে আলোচনায় আসেন। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ের একাধিক শিক্ষার্থী অভিযোগ করেছেন যে, হাসিবুল ইসলামী ছাত্রশিবিরের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট। তাদের দাবি, এ বিষয়ে প্রমাণভিত্তিক তথ্য ছড়িয়ে পড়ায় ছাত্রদলের কমিটি গঠন প্রক্রিয়া বিশৃঙ্খল হয়ে উঠেছে।
নোয়াখালী-৪ আসনের সদর উপজেলার সোনাপুরে অবস্থিত এই বিশ্ববিদ্যালয়টি মূলত ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সংসদের সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দিন নাছিরের এলাকায় অবস্থিত। অভিযোগ রয়েছে, ইসলামী ছাত্রশিবির ইচ্ছাকৃতভাবে নোবিপ্রবি ছাত্রদলের কমিটি গঠনের সময় নিজেদের বাছাইকৃত কর্মীকে শীর্ষ পদে বসানোর চেষ্টা করছে। এর মাধ্যমে তারা কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দিন নাছিরকে বিতর্কিত করার পাশাপাশি নোবিপ্রবি ছাত্রদলকে দুর্বল ও অস্থিতিশীল করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিক্ষার্থী জানান, “কেন্দ্রীয় ছাত্রদলকে বিতর্কিত করার উদ্দেশ্যে নোবিপ্রবি ছাত্রশিবির পরিকল্পিতভাবে এই অপতৎপরতায় লিপ্ত হয়েছে।”
অন্য এক শিক্ষার্থী অভিযোগ করে বলে, “বিগত ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকারের আমলে যারা বিভিন্ন সুবিধা নিয়ে গোপনে শিবির করেছে, পরিবর্তিত সময়ে তারাই আবার ছাত্রদলে অনুপ্রবেশের চেষ্টা চালাচ্ছে। তাদের ছাত্রদল হিসেবে গ্রহণ করার কোনো সুযোগ নেই। হাসিবুল পরিকল্পিতভাবে জেলার নেতাদের বিভ্রান্ত করে ছাত্রদলে প্রবেশ করতে চাইছে এবং শীর্ষ পদ দখলের চেষ্টাও করছে।” এমনকি ২০২৩ সালে নোবিপ্রবি ছাত্রলীগের কর্মী সম্মেলন নিয়েও তার বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে। সে সময় সভাপতি পদপ্রার্থী মোহাইমেনুল ইসলাম নুহাশের কর্মী মিছিলে সর্বোচ্চ উপস্থিতি নিশ্চিত করতে বিভিন্ন মেস থেকে শিক্ষার্থীদের ভয়ভীতি ও চাপের মুখে উপস্থিত থাকতে বাধ্য করে ছিল। যদিও সে এই প্রোগ্রামে উপস্থিত ছিল না, শিক্ষার্থী সরবরাহের দায়িত্ব ছিলো গোপনে।
এ বিষয়ে শিক্ষার্থীদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেলেও ছাত্রদলের একাধিক নেতাকর্মী স্পষ্ট জানিয়েছেন, তারা কোনোভাবেই বিতর্কিত ব্যক্তিকে কমিটির নেতৃত্বে চান না। এ অবস্থায় তারা কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের কাছে দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন।