বাঁশখালীতে জমি দখলে নিয়ে চাঁদাবাজি! অতঃপর কোর্টে মামলা
নিজস্ব সংবাদদাতা
৩১ জুলাই, ২০২২, 6:22 PM

নিজস্ব সংবাদদাতা
৩১ জুলাই, ২০২২, 6:22 PM

বাঁশখালীতে জমি দখলে নিয়ে চাঁদাবাজি! অতঃপর কোর্টে মামলা
বাঁশখালী প্রতিনিধি: চট্টগ্রাম বাঁশখালী’র চাম্বল ইউনিয়নের পশ্চিম চাম্বল ৩নং ওয়ার্ডে মুন্সীখীল এলাকায় জোর পূর্বক জমি দখল করে। প্রতিপক্ষ বাধা দিলে বিশাল অংকের চাঁদা দাবি করে একদল ভূমিদস্যু। অত:পর আদালতে চাঁদাবাজি মামলা করল ভুক্তভোগী পরিবার।
ভুক্তভোগী একই এলাকার মৃত রফিক আহমেদ এর পুত্র দিদার বলেন, এটা আমাদের বাপ-দাদা’র ওয়ারিশ মতে আমরা মালিক হই। তাদের একটা শত বছরের পূরানো একটি চলাচলের পথ থাকার পরে ও আমাদের নাল জমির উপর মাঠি ভরাট করে জমি দখলে নেয়, ঔ পথে আমরা বাধা দিলে আমাদের থেকে চাঁদাদাবি করতেছে, নাইলে আমাদের জীবন নাশের হুমকি দিচ্ছে প্রতিনিয়ত। এই বিষয়ে বাঁশখালী থানায় দফায় দফায় মহিলা এস আই জেসমিন এর বৈটক হলে ও মিলেনি কোন ধরনের সমাধান,পরে সব কাগজ পত্র দেখে তিনি আমাকে কোর্টে মামলা করার পরামর্শ দেন।
তাই আমি সাত চাঁদাবাজের বিরুদ্ধে বাঁশখালী ’র সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি মামলা করি। আমার মামলা নাম্নার হচ্ছে সি আর ৮০৬/২০২২, এটি বর্তমানে মাননীয় আদালত বাঁশখালী উপজেলা সমাজ সেবা কর্মকতা বরাবর তদন্তের বার দেন। আমি আশা করছি সটিক বিচার পাবো।
অভিযুক্ত জাহাঙ্গীর আলম এর বাড়িতে গেলে তাকে পাওয়া যায়নি, পরে মুটোফোনে তিনি জানায়, আমি কেন চাঁদাবাজি করবো? তারা আমার বিরুদ্ধে আদালতে একটি চাঁদাবাজী মামলা করল আমি ও একটি মামলা করেছি। উভয় পক্ষের মামলা সুষ্ট তদন্ত করে আইনগত প্রতিকার দিবে আদালত।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে আমাদের এলাকায় শান্তি বিনষ্ট করার জন্য জাহাঙ্গীর আলম এবং তার বাহিনীসহ বিভিন্ন সময় বিভিন্নভাবে এলাকার ত্রাস সৃষ্টি করে যাচ্ছে। মাঝে মাঝে জমি দখল করে, পরে উক্ত জমিতে বাধা দিতে আসলে মোটা অংকের চাঁদা দাবী করে।
ইউপি সদস্য ফজল কাদের বলেন, উভয় পক্ষ আমার আত্মীয়। আমি উভয়পক্ষের সাথে দফায় দফায় কয়েকবার বসেছি এ বিষয় নিয়ে জাহাঙ্গীর আলম যে বিষয়টা দাবি করতেছে এটা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন, কারণ এই খতিয়ানের ওয়ারিশদার আমরাও আছি। একটা চলাচলের পথ থাকা সত্ত্বেও দুই একটি পরিবারের জন্য আরেক জনের জমি দখল কি ভাবে করে। এখন নির্বাচনের সময় আমি কোন পক্ষে কিছু বলতে পারবো না।
অভিযুক্ত বিষয় নিয়ে বাঁশখালীর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে দুইটি পাল্টাপাল্টি মামলা হয়, একটি মামলা তদন্তের জন্য দেন বাঁশখালী উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা বরাবর এবং অন্যটি বাঁশখালী উপজেলা সমবায় কর্মকর্তা বরাবর।উভয় পক্ষ দাবি করেন সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে বেরিয়ে আসুক আসল অপরাধী।