ঢাকা ১৮ অক্টোবর, ২০২৪
সংবাদ শিরোনাম
ছুটি বাড়ল দুই ঈদ ও দুর্গাপূজার রাষ্ট্র সংস্কারে আরও ৪ কমিশন গঠন করল সরকার বিশ্বে ১১০ কোটি মানুষ চরম দারিদ্র্যে বসবাস করছে অভিবাসন নিয়ে প্রশ্ন করতেই সঞ্চালকের সঙ্গে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় কমলার ধর্ষণের অভিযোগে এমবাপ্পের পাশে রিয়াল ভারত ‘ভয়াবহ ভুল’ করেছে, বললেন ট্রুডো গণহত্যার অভিযোগে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি মিথ্যা মামলা থেকে খালাস পেলেন সাংবাদিক মিনহাজ মানুষ বলতে শুরু করেছে ‘আগে কি সুন্দর দিন কাটাইতাম’: আওয়ামী লীগ ১১ বছর পর খালাস পেলেন সাংবাদিক রবিউল

বর্ষায় পানিবাহিত রোগ এড়াতে যা করতে হবে

#

নিজস্ব সংবাদদাতা

০৭ জুলাই, ২০২৪,  3:43 PM

news image
ছবি: সংগৃহীত

বর্ষা এলেই পেটের সংক্রমণ নিয়ে ভাবনা থাকে সবার। বৃষ্টি শুরু হয়ে যাওয়ায় জলবাহিত অসুখের প্রকোপ অনেক বেড়ে যায়। বৃষ্টির পানি অনেক সময় আন্ত্রিক অর্থাৎ ডায়রিয়ার মতো রোগ ছড়ায়। বিশেষত গ্রামাঞ্চলে এই সমস্যা প্রকট। পেট খারাপ, বমি, ডিহাইড্রেশনের মতো সমস্যায় ভুগছেন অনেকে। পানি ঠিকঠাক ফিল্টার করতে না পারাও একটি বড় সমস্যা। এছাড়া আরও কিছু জটিল বিষয়ে একটু মনোযোগ দেওয়া দরকার। পর্যবেক্ষণ ও তদারকিই এখানে আসল। 

ব্যাকটেরিয়ার প্রকোপ প্রথম ভাবনায়

পেটের রোগ এই সময়ের সবচেয়ে বড় সমস্যা। কারণ হলো ব্যাকটেরিয়ার প্রকোপ। ই-কোলাই ব্যাকটেরিয়া সচরাচর মলে থাকে। তাই মলের বা বাথরুমের পানি কোনো কারণে যদি সুপেয় পানির সংস্পর্শে আসে তখন বিপত্তি বাঁধে। টাইফয়েড, ক্লসটিডিয়াম, সিরেলা, সালমোনেলা থেকেও সংক্রমণ হয়। খাবার পানি থেকেই আপনার পানিবাহিত রোগ হবে এমন ধারণা ভুল। দূষিত পানিতে গোসল করলে, মুখ-হাত ধুলে হতে পারে। বিশেষত অনেকে বর্ষায় কোথাও ঘুরতে গেলে পুকুরে নামেন। বৃষ্টিতে ভেজেন। আবার সড়কে পানি জমলে তার ওপর দিয়ে হেঁটে আসার পর পরিচ্ছন্ন হন না। সুইমিং পুলের অপরিষ্কার পানিতে সাঁতার কাটার সময়েও কয়েক ফোঁটা মুখে ঢুকে গেলে সংক্রমণের আশঙ্কা থাকে।

সাবধান থাকা জরুরি

আপনার প্রস্রাব ঠিকমতো হচ্ছে কি-না দেখতে হবে। যদি না হয় তাহলে ওআরএস দিতে হবে। ওআরএস দেওয়ার পরে বমি হতে পারে। ভয় পাওয়ার কিছু নেই। মুখ ধুয়ে আবার ওআরএস দিতে হবে। শরীরে সোডিয়াম ক্লোরাইড, সোডিয়াম বাইকার্বোনেট, পটাশিয়াম ক্লোরাইড ঢুকলে ইলেকট্রোলাইটের ভারসাম্য বজায় থাকবে।

স্যালাইন কখন দেবেন

চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, পাঁচ বারের বেশি পাতলা মল হলে তখন স্যালাইনের ব্যবস্থা করতে হবে। পায়খানার সঙ্গে রক্ত বেরুলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ‘স্টুল কালচার’ করাতে হবে।

খাবারে নজর দিন

খাওয়াদাওয়ায় বেশি নজর দিতে হবে এই সময়ে। রাস্তার স্ট্রিট ফুড এমনকি ভ্যাপসা গরমের রেহাই দেওয়া লস্যি খাওয়া যাবে না। কাঁচা শাকসবজি খাবেন না, কারণ ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণের ঝুঁকি থাকবে। এই সময়ে কোনও অনুষ্ঠান বাড়িতে গেলে সালাদ এড়িয়ে চলাই ভালো। বরং, বাড়িতে বানিয়ে খান। বাইরে থেকে ফল কিনে এনে খেলে, তা ভালো করে ধুয়ে নিন। শাকসবজি ভালো করে সেদ্ধ করে রান্না করুন। শিশুদের শরীরে পটাশিয়াম দ্রুত কমে যায়। তাই লেবুর রস, কলা, স্যুপ জাতীয় খাবার, পেঁপে দিতে হবে। ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার বেশি খেতে হবে। এতে শরীরে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট ঢুকবে, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়বে। লেবু জাতীয় ফল, পেয়ারা বেশি করে খান। খাবারে ওমেগা-থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড থাকলে ভালো। রেড মিটের বদলে মাছ, ডিম, মুরগির মাংস খেতে পারেন।

logo

সম্পাদক : হেফাজুল করিম রকিব

নির্বাহী সম্পাদক : শাহ এম রহমান বেলাল