ফেনীর দাগনভূঞাতে মাদক দিয়ে খামারি বাশার কে ফাঁসানোর চেষ্টা চক্রান্ত
নিজস্ব সংবাদদাতা
২২ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, 11:30 PM

নিজস্ব সংবাদদাতা
২২ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, 11:30 PM

ফেনীর দাগনভূঞাতে মাদক দিয়ে খামারি বাশার কে ফাঁসানোর চেষ্টা চক্রান্ত
নিউজ ডেস্ক:- ফেনীর দাগনভূঞাতে বাংলা ও বিদেশী মদ খামারির মালিককে ফাঁসানোর চেষ্টার কথা বলেছেন খামারি আবুল বাশার।
বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টম্বর) রাত আনুমানিক ১০ টার দিকে বাদশা ডৈইরী ফার্মে এঘটনা ঘটে।
অভিযোগেকারী বাশার বলেন, আমি বিএনপি করি। দীর্ঘদিন আমি নির্যাতিত আওয়ামী লীগের আমলে। কিছু আওয়ামী লীগের দালাল বিএনপিতে ঢুকে বিএনপি'র লোকজন দিয়ে দলীয় কোন্দল সৃষ্টি করছে যাতে করে দালাল ঠিকভাবে রাজ করতে পারে ধান্দা করতে পারে। তার আওয়ামী লীগের আমলে তার কিছু পরিচিত পুলিশ আছে, ওই পুলিশ দিয়ে আমাদের এলাকায় মিথ্যা তথ্য দিয়ে বাংলাদেশের সুনামধন্য সেনাবাহিনীকে হয়রানি করিয়েছে তার ব্যক্তিগত স্বার্থের জন্য। সেনাবাহিনী অভিযান করবে কুখ্যাত অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীদের জন্য যারা ছাত্র আন্দোলনে গণহত্যা চালিয়েছে। অথচ দালালের চক্রে আমাকে দিয়ে অভিযান করাইয়া কিছু কুখ্যাত সন্ত্রাসীদের পালানোর সুযোগ করে দিয়েছে। মানুষের রিজিক যেখান থেকে আসে সে জায়গাটা সবসময় পবিত্র থাকে। সবার একটা ব্যবসা প্রতিষ্ঠান আছে কেউ কখনো তার নিজের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে সঠিক জ্ঞানে অপবিত্র কোনো কিছুই করবে না । আমি দীর্ঘদিন খামারের ব্যবসার সাথে জড়িত । অথচ দালাল চক্রের কিছু সদস্য আমার খামারের বাউন্ডারি দিয়ে উপর দিয়ে বিভিন্ন মাদকদ্রব্য রেখে আসছিল আমাকে ফাঁসানোর জন্য।
কারন আমাকে দমন করলে দালাল এলাকায় রাজ করতে পারবে। দালালের কারণে আজকে আমি সাজানো নাটক আটকে গেছি। আমি চাই বাংলাদেশ সেনাবাহিনী সুষ্ঠুভাবে তদন্ত করে এটার পিছনে যেসব পুলিশ সদস্য দালালকে সাহায্য করছে তাদেরকে আইনের আওতায় আনা হোক জনগণের সামনে আনা হোক। দালাল সে কোন দলের না সব সময় সুবিধাবাদী। এই দালাল আওয়ামী লীগের অনেক কুখ্যাত সন্ত্রাসীকে মামলা থেকে বাঁচিয়ে দিয়েছে।
আমি জনগণের কাছে বিচার দিলাম।
বাশার আরও বলেন,আমার এলাকার এক বিএনপির নেতা উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে যুবদলের দুই সদস্য মামুন ও রিয়াজকে দিয়ে আমার খামারে মাদক রেখে যায়। আমি আমার বউয়ের বড় ভাইকে প্রবাসের উদ্দেশ্য বিদায় দিতে ঢাকায় আসি এই সুযোগ কাজে লাগিয়েছে। অথচ সে নিজে মাদকসেবী ও নারীলোভী এলাকার মানুষ জানে ভয় মুখ খোলে না। কারণ সে থানার দালালি করে মানুষকে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করে। তিনি বলেন, খামারে দেখাশুনা করার জন্য আমার এক লোক ছিল। তার নানী মারা যায় সেজন্য সে নানীর বাড়িতে যায় এই সুযোগে তারা মাদক রেখে আসে এবং ওই বিএনপির নেতা পুলিশের মাধ্যমে থানায় খবর দেয়, সেনাবাহিনী ও পুলিশ প্রথমে আমার ঘর তল্লাশি করে, ঘরে কিছু না পেয়ে তারা আমার বোনকে জিজ্ঞেস করে তোর ভাইয়ের খামার কোথায়, তারপর আমার বড় বোন আমার ছোট ভাগিনা সেনাবাহিনীকে খামারে নিয়ে যায়। সেনাবাহিনী খামারে ডুকেই এসব দেখতে পায়। সাম্প্রতিকালে দাগনভূঞাতে স্মরণকালে বন্যায় ক্ষতিগ্রহস্ত হওয়া সরকারিভাবে প্রত্যেক ওয়ার্ডে চাউলের ডিলার নিযুক্তকে কেন্দ্র করে বাশার ও তার বন্ধু শাহপরানের সাথে ওই নেতার কথা কাড়াকাড়ি হয়। সে তাদের চাউলের ডিলার নিতে তো দেয়নি বরং উল্টা তাদের মাদক দিয়ে ফাঁসিয়ে দেয়।
এ ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকেও ছড়িয়ে পরে। ওই নিরীহ খামারি পারিবারি সামাজিকভাবে করার জন্য এই চক্রান্ত করেছে বলে এলাকার নানা শ্রেণির মানুষের দাবি। এলাকাবাসী বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর নিকট দাবি জানাচ্ছে পূর্ণ তদন্তের জন্য, যাতে কোন নিরাপদ মানুষের জীবনের কোন ক্ষতি না হয়। হয়রানির বিষয়টি পূর্ণতদন্ত করে দোষী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান বিক্ষুদ্ধ এলাকাবাসী।
ভূক্তভোগী ওই খামারে মালিক আবুল বাশার জানান, উদ্দেশ্যমূলকভাবে ওই নেতা মাদক ও ককটেল দিয়ে তাকে হয়রানি করছে।
এদিকে বাশারে পরিবারে তার বৃদ্ধ অসুস্থ মা সন্তানের নামে ষড়যন্ত্রমূলক কাজের কারন আরও অসুস্থ হয়ে গেছে। বাশারের বড় ভাই নাছের দাগনভূঞাতে সুনামের সাথে ইমারত নির্মান কাজের সাথে জড়িত। তার এক ভাই ওমান প্রবাসী, ছোট ভাই এ কে আজাদ দীর্ঘদিন সুনামের সাথে ফেনীতে সাংবাদিকতার সাথে জড়িত ছিল, সে এখন পরিবার নিয়ে লন্ডন থাকে, সেখানেও সাংবাদিকতা করে। তারা বিপদে আপদে এলাকার মানুষের পাশে থেকে কাজ করে যাচ্ছে। আজকে এলাকার রাজনৈতিক প্রতিহিংসা পরায়ণ হয়ে একটি পরিবারকে ধ্বংস করার চেষ্টা করছে কতিপয় দালাল চক্র। তার পরিবার আজ আতংকে দিন পার করছে।দাগনভুইয়া সেনাবাহিনী কেম্পের দৃষ্টি আকর্ষণ ও সহযোগিতা কামনা করছি দয়া করে।