ফরিদপুরে ইজিবাইক আটকে রাখার জেরে সংঘর্ষ, আহত ২০
০৪ এপ্রিল, ২০২২, 2:22 PM

NL24 News
০৪ এপ্রিল, ২০২২, 2:22 PM

ফরিদপুরে ইজিবাইক আটকে রাখার জেরে সংঘর্ষ, আহত ২০
নিজস্ব প্রতিনিধি : ফরিদপুরের সালথায় দুই পক্ষের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। দেশীয় অস্ত্র ঢাল ফেরত না দেওয়ায় এক ব্যক্তির ইজিবাইক আটকে রাখার জের ধরে এ সংঘর্ষ হয়েছে ।
ভাঙচুর করা হয়েছে বেশ কয়েকটি বসত বাড়িঘর ও দোকান। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ২০ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। আহতদের মধ্যে অন্তত ১০ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। রবিবার রাতে উপজেলার গট্টি ইউনিয়নে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
খবর পেয়ে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে শর্টগানের গুলি, টিয়ারশেল ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
স্থানীয় গ্রামবাসী ও থানা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গেল ইউপি নির্বাচন শেষ হওয়াব পর থেকে গট্টি ইউনিয়নে বর্তমান চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান লাভলু ও সাবেক চেয়ারম্যান রেজাউর রহমান চয়ন গ্রুপের মধ্যে চরম বিরোধ চলছে। বিরোধের জেরে ইউনিয়নের মাদ্রাসা গট্টি, বালিয়া গট্টি, বাসুয়ারকান্দী ও কানাইড় গ্রামে কয়েকবার সংঘর্ষ হয়। এতে ইউনিয়নের পরিস্থিতি আরও উত্তেজিত হয়ে উঠে।
প্রত্যক্ষদর্শী কয়েকজন জানান, চলমান উত্তেজনার মধ্যে কয়দিন আগে কানাইড় গ্রামের সাবেক ইউপি সদস্য কুদ্দুছ মাতুব্বরের সমর্থক রেজাউল মাতুব্বর প্রতিপক্ষের বর্তমান ইউপি সদস্য পারভেজ মাতুব্বরের দলে যোগদান করেন। দল থেকে চলে যাওয়া রেজাউলের কাছে কুদ্দুছ মাতুব্বরের দেশীয় অস্ত্র ৩টি ঢাল ছিল।
ওই ঢাল ফেরত চায় কুদ্দুছ। কিন্তু ঢাল ফেরত দেয়নি রেজাউল। বিষয়টি নিয়ে ২-৩ দিন ধরে দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা চলছিল। রবিরার সন্ধ্যায় কুদ্দুছ মাতুব্বরের দলনেতা নুরু মাতুব্বরর ও তার সমর্থকরা মাদ্রাসা গট্টি মোড় থেকে রেজাউলের ব্যাটারী চালিত ইজিবাইক রেখে দেয়। তারা রেজাউলকে ঢাল ফেরত দিয়ে ইজিবাইক নিয়ে যেতে বলে। পরে পুলিশ গিয়ে ইজিবাইক উদ্ধার করে তাকে ফেরত দেয়।
তারপরেও কানাইড় ও মাদ্রাসা গট্টির উভয় পক্ষের সমর্থকরা দেশীয় অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। রবিবার রাত ১০ টা থেকে শুরু করে রাত ২টা পর্যন্ত দফায় দফায় চলে এ সংঘর্ষ। সংঘর্ষচলকালে উভয় পক্ষের অন্তত ৭-৮টি বসতঘর ও ১টি দোকান ভাঙচুর-লুটপাট করা হয়। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ২০ জন আহত হয়। আহতদের মধ্যে অন্তত ১০ জনকে ফরিদপুর শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বাকিদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
সালথা থানার ওসি মো. আশিকুজ্জামান বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ২৩ রাউন্ড শর্টগানের গুলি, ৩টি টিয়ারসেল ও ১টি সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রণে আনে। ওই এলাকার পরিবেশ শান্ত রাখতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।