ঢাকা ১৭ অক্টোবর, ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম
দক্ষিণ ভূর্ষি শীতলা মন্দির পরিচালনা কমিটির সভাপতি কাঞ্চন নাথ, সম্পাদক সুমন দেবনাথ “টাইফয়েড এখনো মারাত্মক জনস্বাস্থ্য সমস্যা"—সিভিল সার্জন ডা. জাহাঙ্গীর আলম “টাইফয়েড এখনো মারাত্মক জনস্বাস্থ্য সমস্যা"—সিভিল সার্জন ডা. জাহাঙ্গীর আলম নোবিপ্রবি ক্যাম্পাসে উত্তেজনা: ছাত্রদল কমিটিতে ‘শিবির সংশ্লিষ্টতার' অভিযোগ পটিয়ায় টাইফয়েড টিকাদান ক্যাম্পেইন সফল করতে সমন্বয় সভা পটিয়ায় ভূমি অফিসে দালালবিরোধী অভিযান, এক যুবকের সাজা ডেঙ্গুতে আরও ৯ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ১০৪২ পটিয়ায় একই দিনে অজ্ঞান পার্টির প্রতারণা ও দরজা কেটে ১৫ লাখ টাকার মালামাল চুরি অজ্ঞান পার্টির খপ্পরে স্বর্ণালংকার- নগদ টাকা হারালেন বৃদ্ধা পটিয়ায় ২৪ ঘণ্টায় দুই চুরি, এক আত্মহত্যা : চরম উৎকন্ঠায় স্থানীয়রা

প্রকাশ্যে ঘুরছে আসামিরা, খুঁজছে পুলিশ

#

নিজস্ব সংবাদদাতা

৩১ জুলাই, ২০২২,  1:54 PM

news image

ময়মনসিংহ ব্যুরোঃ নেত্রকোনার পূর্বধলায় প্রতিপক্ষের হাত থেকে ছেলেকে বাঁচাতে চাওয়ায় ইসলাম উদ্দিন (৫৬) নামে এক ইউপি সদস্যকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করা হয়েছে। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেছে।

পূর্বধলা সদরের মহিলা কলেজ এলাকায় শুক্রবার সন্ধ্যায় এ ঘটনা ঘটে।

ইসলাম উদ্দিন পূর্বধলা সদর ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য।

মামলার আসামিরা হলেন- মাহবুব (২৫), প্রিতম মিয়া (২২), মো. রুমী মিয়া (১৮), আকাশ মিয়া (২৩), মো. নজরুল (৫০), মোছা. আছমা আক্তার (৪০)। তারা পূর্বধলা সদরের বানেরকান্দা এলাকার বাসিন্দা।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পূর্বধলা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাইফুল ইসলাম।

মামলার বরাত দিয়ে তিনি বলেন, শুক্রবার বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে ইসলাম উদ্দিনের ছেলে মাহমুদুল হাসান মেহেদী পূর্বধলা সদরের তিন রাস্তার মোড় পর্যন্ত আসতেই দেশীয় অস্ত্র নিয়ে প্রতিপক্ষের লোকজন হামলা করে আহত করে। এমতাবস্থায় প্রাণে বাঁচাতে দৌড়ে তাদের বাড়িতে গেলে প্রতিপক্ষ বাড়িতে ভাঙচুর চালায়। এসময় মেহেদীর বাবা ইউপি সদস্য ইসলাম উদ্দিন তাদেরকে ফেরাতে গেলে লোহার রড দিয়ে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে গুরুতর আহত করা হয়। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও পরে চিকিৎসকের পরামর্শে উন্নত চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে।

ইসলাম উদ্দিনের স্রী নুরজাহান বেগম কান্নাজড়িত কন্ঠে বলেন, আসামিরা সন্ত্রাসী কায়দায় আমার স্বামীকে লোহার রড দিয়ে পিটিয়েছে। তিনি হাসপাতালে জীবন মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে আছেন। আমার স্বামীকে এলোপাতাড়ি পেটানোর সময় বাঁধা দিয়েছিলাম। এতে আরও ক্ষীপ্ত হয়ে আমার চুলের মুঠি ধরে ইচ্ছেমতো কিল-ঘুষি দেয়। এসময় আমার গলায় থাকা এক ভরি ওজনের চেইন ছিড়ে নিয়ে যায়।

তিনি বলেন, মামলা করার পর থেকেই আসামিরা বিভিন্নভাবে আমাদেরকে ভয়ভীতি দেখাচ্ছেন। এরা আবার আমাদের উপর হামলা করতে পারে। আমরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। এদেরকে দ্রুত গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানাচ্ছি।

ইসলাম উদ্দিনের মেয়ে আফরু ইসলাম বলেন, আসামিরা বুক ফুলিয়ে এলাকায় প্রকাশ্যে ঘুরাফেরা করছে। কিন্তু পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার করছেনা। এতে সুষ্ঠু বিচার পাওয়া নিয়ে আমাদের মনে সন্দেহ সৃষ্টি হয়েছে। এদেরকে দ্রুত গ্রেপ্তার না করলে যেকোনো সময় আসামিরা অপ্রতিকর ঘটনা সৃষ্টি করতে পারে।

ওসি মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, আসামিদের গ্রেপ্তার করতে নিয়মিত অভিযান চলছে। দ্রুত তাদের গ্রেপ্তার করে আদালতে সোপর্দ করা হবে।

logo

প্রধান সম্পাদক : হেফাজুল করিম রকিব

সম্পাদক : নূরুন্নবী আলী