পিএমখালীতে প্রবাসীর বাড়িতে লুটপাট, ভাংচুর ও হামলায় আহত ৫
০৬ এপ্রিল, ২০২৩, 4:15 AM

NL24 News
০৬ এপ্রিল, ২০২৩, 4:15 AM

পিএমখালীতে প্রবাসীর বাড়িতে লুটপাট, ভাংচুর ও হামলায় আহত ৫
কক্সবাজার অফিস []
কক্সবাজার সদর উপজেলার পিএমখালীতে পরিকল্পিত ভাবে প্রবাসীর বাড়িভিটে দখলে নিতে ভাংচুর, লুটপাট, ডাকাতি, নারীর শ্লীলতাহানিসহ ও বেদড়ক মারধর করেছে সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা। তাদের তিনদফা সন্ত্রাসী হামলায় তিন মহিলাসহ ৫ জন আহত হয়।আহতদের কক্সবাজার সদর হাসপালে ভর্তি করা হয়েছে। আহতরা হচ্ছে বাদী ইয়াসমিন আক্তার (২৫), শাকের উল্লাহর স্ত্রী ছালেহা আক্তার (৪০), আবদুল করিমের পুত্র মোহাম্মদ নুর (৩৫),আবদুল করিমের পুত্র মোতাহের মিয়া (৩০) ও মনিরুল আলমের স্ত্রী রাজিয়া বেগম (৩৫)এ বিষয়ে থানায় মামলা করে উল্টো চরম নিরাপত্তাহীন হয়ে পড়েছে ভুক্তভোগী প্রবাসী পরিবার। প্রতিনিয়ত বাড়িঘর ছেড়ে দিয়ে মামলা তুলে নিতে হুমকি দেয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন আহত মোঃ নুর।
গত ৫ এপ্রিল বুধবার ওই বসতবাড়িতে লুটপাট, মারধরের বিচার ও জানমালের নিরাপত্তা চেয়ে নিজ বাড়িতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন নির্যাতিত প্রবাসী পরিবার।
সংবাদ সম্মেলনে মামলার বাদী পিএমখালী ঘাটকুলিয়া পাড়ার প্রবাসী জসিমের স্ত্রী ইয়াসমিন আক্তার( ২৫)জানিয়েছেন, স্থানীয় সন্ত্রাসী হামলার ১ নাম্বার আসামী জোবাইর,হামিদুল্লাহ,ছালামত উল্লাহ ও মোঃ আলমসহ ১২/১৫ জন সশস্ত্র সন্ত্রাসী গত ৩০ মার্চ রাত অনুমান ২ টা ১৫ মিনিটে ও ৩১ মার্চ দু'দফায় বসতবাড়ি ভাংচুর, লুটতরাজ চালিয়ে পাঁচ লক্ষ টাকা, ৫ ভরি স্বর্ণালংকার,পাঁচ বস্তা মরিচ,কাপড়চোপড় ও ব্যবহারের মালামাল ভর্তি বিদেশ থেকে পাঠানো কালো সুটকেসস ও নগদটাকাসহ ১৫/২০ লক্ষ টাকার মূল্যবান মালামাল ডাকাতি করে নিয়ে যায়।এ সময় আমি ও আমার জাঁসহ মহিলাদের শ্লীলতাহানি করে এবং বেদড়ক মারধর করে।আমাদের শোরচিৎকার শুনে প্রতিবেশীরা এগিয়ে আসার চেষ্টা করলে ফাঁকা গুলি বর্ষণ করে লোকজনকে ছত্রভঙ্গ করে সন্ত্রাসীরা।স্থানীয়রা ৯৯৯ নাম্বারে ফোন করলে ২ ঘন্টাপর আসে পুলিশ। কিন্তু পুলিশ উল্টো আমার শ্বাশুড়ি, দেবরসহ তিনকে ধরে থানায় নিয়ে যায়।এতে করে আসামীরা আরো বেপরোয়া হয়ে সম্পুর্ন আমাদের নতুনবাড়িটি প্রকাশ্যে ভাংচুর করে ২ শতাধিক ফলজ বৃক্ষ ও ঘেরা ভেড়া ভাংচুর করে আমাদেরকে বসত বাড়ি ছেড়ে চলে যেতে বলে।
এসব সন্ত্রাসীদের প্রত্যকের হাতে ছিল লোহাররড়,হাতুড়ি, লম্বা দা কিরিচ ও বেআইনি অস্ত্র বা বন্দুক। সর্বশেষ ১ এপ্রিল ইয়াসমিন আক্তারসহ নিকট আত্মীয়স্বজন মিলে বাড়ি থেকে বের হয়ে দলবদ্ধ হয়ে থানায় যাবার পথে বাড়ির পার্শ্বের রাস্তায় উঠলে বিকাল সাড়ে চারটার দিকে সন্ত্রাসীরা তৃতীয়দফা হামলা করে।অস্ত্রের মূখে ছিনিয়ে নিয়ে যায় দামী মোবাইল ফোন,গলার স্বর্ণের চেইন ও লক্ষাধিক নগদ টাকা।এ ছাড়া তাদের উপর হত্যার উদ্দ্যশ্যে বর্বরোচিত হামলা চালিয়ে আবার ও আহত করে।
শেষমেষ স্থানীয়দের সহযোগিতার হাসপাতাল পরে থানায় উপস্থিত হয়ে আহত ইয়াসমিন আক্তার বাদী হয়ে ১২ জনের নাম উল্লেখ করে ১৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে।প্রত্যক্ষদর্শীর বরাত দিয়ে স্থানীয় আরিফ উল্লাহ বলেন, আসামীগন প্রভাবশালী ও জঘন্য সন্ত্রাসী।প্রবাসী জসিমের বাড়িভিটে দখলে নিয়ে তাদের জিম্মি করে মোটা অংকের চাঁদা দাবী করাই হচ্ছে তাদের উদ্দেশ্য। সংবাদ সম্মেলনে ইয়াসমিন ও তার পরিবারের সদস্যদের দাবী তারা সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের সহযোগিতা চান। এবং জানমালের নিরাপত্তা চেয়েছেন।কারণ সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে মামলা করার পর আরো চরম নিরাপত্তাহীন হয়ে পড়েছেন তারা।
এ দিকে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আশরাফুল ইসলাম বলেন, আমরা ৯৯৯ এ কল পেয়ে পিএমখালী ঘাটকুলিয়া পাড়ায় গিয়েছিলাম।সন্ত্রাসীদের তান্ডব পুলিশের দৃষ্টিগোচর হয়েছে। পুলিশ তাদের বিরুদ্ধে যথা সময়ে আইনী ব্যবস্থা গ্রহনে তৎপর রয়েছে। কক্সবাজার সদর মডেল থানার ওসি (তদন্ত) নাজমুল হক বলেন, জমি বিরোধকে কেন্দ্র করে দু পক্ষের অভিযোগ পাল্টা অভিযোগ আছে।তারপর ও পুলিশের পক্ষ থেকে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ রক্ষায় নিয়মিত পুলিশ টহল বাড়ানো হয়েছে। সন্ত্রাসীসহ বিভিন্ন মামলার আসামী গ্রেফতারে পুলিশী অভিযান অব্যাহত থাকবে।