নিজস্ব সংবাদদাতা
১৪ অক্টোবর, ২০২৪, 7:29 PM
পটিয়া সরকারি হাসপাতালে কর্মচারীকে মারধর, মুছলেকা দিয়ে ছাড় পেলেন জাসাস নেতা নাছির
পটিয়া, (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি:- চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলা হাসপাতালে ঢুকে কর্মচারীর গায়ে হাত তোলার অভিযোগে জাতীয়তাবাদী সামাজিক সাংস্কৃতিক সংস্থা (জাসাস)'র চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলার সদস্য সচিব নাছির উদ্দীনকে আটক করেছে পুলিশ।
গতকাল রোববার দিবাগত রাত ১২ টায় এই ঘটনা ঘটে। পরে আজ দুপুরে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ থানা ও নাছিরের মধ্যে সমঝোতা হওয়ায় তাকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে।
নাছির উদ্দিন এই প্রতিবেদককে জানিয়েছেন, তার চাচা হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে গিয়ে মারা গেছেন শুনে তিনি গভীর রাতে হাসপাতালে যান। সেখানে কোন ডাক্তার না থাকায় একজন সিকিউরিটি গার্ডকে দেখে তিনি মেজাজ ধরে রাখতে পারেননি। পরে তাকে থানায় যেতে বলায় তিনি থানায় যান এবং গতকাল সোমবার দুপুরে থানা থেকে বাড়িতে চলে যান।
এর আগে সকালে সিভিল সার্জন পটিয়া হাসপাতালে পরিদর্শনে আসেন। তিনি এই অপ্রীতিকর ঘটনা যাতে আর না ঘটে সেজন্য ডাক্তার, নার্স ও রোগীদের মাঝে সমন্বয় সাধরেন পরামর্শ দেন। উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা: নাছিমা বেগম গণমাধ্যমের সাথে কথা বলতে অপারগতা প্রকাশ করেন।
নাছির পটিয়া পৌরসভা ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। রবিবার রাত ১১টার দিকে হাসপাতালে রোগী দেখতে গিয়ে সেবা দিতে বিলম্ব হওয়ার অজুহাতে প্রথম দায়িত্বরত ডাক্তার তারেকুল ইসলামকে মারধর করতে তেড়ে যায়। এসময় সিকিউরিটি রিইন্টু কুমার দে (৩৭) দৌড়ে এলে তাকে চড়-থাপ্পড় মারেন।
রিইন্টু কর্ণফুলী উপজেলার চিত্তরঞ্জন দের পুত্র। হাসপাতালে ঢুকে সিকিউরিটিকে মারধর ও ডাক্তারকে মারতে তেড়ে যাওয়ার খবর পেয়ে পটিয়া থানা পুলিশ ছুটে যায় এবং ঘটনাস্থল থেকে সাবেক ছাত্রদল নেতা নাছিরকে আটক করে পুলিশ থানায় নিয়ে যায়।
জানা গেছে, পটিয়া পৌরসভার ৪ নং ওয়ার্ডের আবুল কাশেম নামের এক বৃদ্ধ পটিয়া হাসপাতালে ভর্তি হন। দায়িত্বরত চিকিৎসক রোগীকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে রেফার করেন। এর মধ্যে জাসাস নেতা নাছির উদ্দীন গিয়ে চিকিৎসা দিতে বিলম্ব কেন ডাক্তারকে কৈফিয়ত চান এবং ক্ষুপ্ত হয়ে মারতে তেড়ে যান৷ এসময় হাসপাতালের সিকিউরিটি রিইন্টুকে চড়-থাপ্পড় মারেন এবং নার্সদের ফাইল ছুড়ে মারেন এই জাসস নেতা।
রাতেই চট্টগ্রাম সিভিল সার্জনকে বিষয়টি অবহিত করা হয়েছে। পরে পুলিশ হাসপাতাল থেকেই জাসাস নেতা নাছিরকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।
পটিয়া থানার ওসি জায়েদুল নুর ঘটনা স্বীকার করে বলেন, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ কোন অভিযোগ না দেয়ায় তাকে মুছলেকা দিয়ে ছেড়ে দেয়া হয়েছে।