পটিয়া বিএনপির দলীয় কোন্দল চরমে, ইদ্রিস মিয়ার বক্তব্য ঘিরে আবারো এনাম অনুসারীদের বিক্ষোভ
নিজস্ব সংবাদদাতা
১৩ জুন, ২০২৫, 8:08 PM

নিজস্ব সংবাদদাতা
১৩ জুন, ২০২৫, 8:08 PM

পটিয়া বিএনপির দলীয় কোন্দল চরমে, ইদ্রিস মিয়ার বক্তব্য ঘিরে আবারো এনাম অনুসারীদের বিক্ষোভ
পটিয়া (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি | চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ইদ্রিস মিয়ার কুরুচিপূর্ণ বক্তব্যের প্রতিবাদে দ্বিতীয় দিনের মতো বিক্ষোভ মিছিল করেছে বিএনপির একাংশ। শুক্রবার (১৩ জুন) বিকেলে পটিয়া বিএনপির দলীয় কার্যালয় থেকে বিক্ষোভ মিছিলটি শুরু হয়ে উপজেলার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে উপজেলা পরিষদ চত্বরে গিয়ে শেষ হয়। মিছিলটির আয়োজন করেন দক্ষিণ জেলা বিএনপির সদস্য এনামুল হক এনামের অনুসারীরা।
এর আগে বৃহস্পতিবার (১২ জুন) রাতেও প্রথম দফায় বিক্ষোভ মিছিল করে এনাম গ্রুপ। দুই দিনের এই ধারাবাহিক কর্মসূচিতে ইদ্রিস মিয়ার বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেন তারা।
বিক্ষোভকারীরা স্লোগানে বলেন, “আওয়ামী লীগের ঠিকানা পটিয়ায় হবে না— যারাই দালালি করুক, তাদের রেহাই নেই।”
মিছিল পরবর্তী সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তারা অভিযোগ করেন, দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ইদ্রিস মিয়া গত ১১ জুন বিকেলে সদস্য সংগ্রহ কর্মসূচির এক অনুষ্ঠানে দলের কিছু নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে অশোভন, কুরুচিপূর্ণ ও অপমানজনক বক্তব্য দেন। যা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে তৃণমূলে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়।
পটিয়া উপজেলা বিএনপির সাবেক সদস্য সচিব খোরশেদ আলম বলেন,“দলের ভেতরে অপমানজনক মন্তব্য সহ্য করার মতো মানসিকতা কারো নেই। ইদ্রিস মিয়া যেভাবে নেতা-কর্মীদের নিয়ে অশালীন বক্তব্য দিয়েছেন, তা দলীয় শৃঙ্খলার পরিপন্থী। এ কারণে তৃণমূল থেকে ব্যাপক ক্ষোভ তৈরি হয়েছে, যার প্রতিফলন আমরা এই দুই দিনের ধারাবাহিক বিক্ষোভে দেখছি।”
এদিকে, ইদ্রিস মিয়া ও এনামুল হক এনাম গ্রুপের মধ্যে দ্বন্দ্ব এখন প্রকাশ্য রূপ নিয়েছে। রাজনৈতিক বিশ্লেষক এবং স্থানীয় পর্যবেক্ষকদের মতে, এই বিরোধ শুধু নেতৃত্বের মধ্যে সীমাবদ্ধ না থেকে গোটা তৃণমূল বিএনপির মধ্যে বিভাজন সৃষ্টি করছে।
একজন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক যুবদল নেতা বলেন, “আমরা যখন আন্দোলনের প্রস্তুতি নিচ্ছি, তখন নেতাদের এ ধরনের দ্বন্দ্ব মাঠের কর্মীদের হতাশ করছে। তৃণমূলে ঐক্য না থাকলে রাজপথে সফলতা আসবে না।”
তৃণমূলের অনেকে মনে করছেন, এই ধরনের অভ্যন্তরীণ কোন্দল দলীয় ভাবমূর্তি এবং সাংগঠনিক শক্তিকে দুর্বল করছে। দ্রুত সাংগঠনিকভাবে হস্তক্ষেপ না হলে এই বিভাজন আরও গভীর হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন তারা।