পটিয়ায় ১২ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়ে অবরোধ স্থগিত
নিজস্ব সংবাদদাতা
০২ জুলাই, ২০২৫, 10:12 PM

নিজস্ব সংবাদদাতা
০২ জুলাই, ২০২৫, 10:12 PM

পটিয়ায় ১২ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়ে অবরোধ স্থগিত
মোরশেদ আলম, পটিয়া: চট্টগ্রামের পটিয়ায় পুলিশের লাঠিচার্জের প্রতিবাদে উত্তাল আন্দোলনের মধ্যে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক আট ঘণ্টা অবরোধের পর ১২ ঘণ্টার সময়সীমা বেঁধে কর্মসূচি সাময়িক স্থগিত করেছেন আন্দোলনকারীরা। এর মধ্য দিয়ে প্রশাসনের ওপর চাপ আরও বেড়েছে, কারণ ছাত্রদের হুঁশিয়ারি—সময়ে ব্যবস্থা না নিলে এবার সারাদেশে অবরোধ!
ঘটনার সূত্রপাত ঘটে মঙ্গলবার (১ জুলাই) রাত পৌনে ১০টায়, জুলাই দিবস উপলক্ষে আয়োজিত মোমবাতি প্রজ্বলন কর্মসূচি শেষে শান্তিপূর্ণ স্লোগান চলাকালে। হঠাৎ করেই পুলিশ লাঠিচার্জ করলে অন্তত ১২ জন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আহত হন। গুরুতর আহতদের মধ্যে আশরাফুল ইসলাম তৌকির (২১) ও সাইফুল ইসলাম (১৭) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
পরবর্তীতে রাত ১১টার দিকে দ্বিতীয় দফায় সংবাদ সম্মেলনের সময় ফের লাঠিচার্জ চালানো হয়। এতে রিদুয়ান সিদ্দিকী ও সাইফুল ইসলামসহ আরও অন্তত ৬–৭ জন আহত হন। সব মিলিয়ে আহতের সংখ্যা দাঁড়ায় ২৫ জনে।
এ ঘটনায় ক্ষোভে ফেটে পড়ে ছাত্ররা। বুধবার সকাল থেকেই চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের পটিয়া অংশে অবরোধ শুরু করেন তারা। কয়েক হাজার আন্দোলনকারীর অংশগ্রহণে অবরোধে আটকে পড়ে শতাধিক যানবাহন। রাস্তায় দুর্ভোগে পড়েন স্কুল-কলেজের পরীক্ষার্থী, রোগী ও সাধারণ যাত্রীরা।
এ সময় পুলিশের আরও এক দফা লাঠিচার্জে বৈষম্যবিরোধী সংগঠনের এক নারী সংগঠক নুসরাত আক্তার আহত হন।
পরে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফারহানুর রহমান, সহকারী কমিশনার (ভূমি) প্লাবণ কুমার বিশ্বাস ও পটিয়া সেনা ক্যাম্পের মেজর তানজিল নূর। তারা আন্দোলনকারীদের সঙ্গে আলোচনায় বসেন এবং দাবি আদায়ের বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগের আশ্বাস দেন।
আলোচনার পর আন্দোলনকারীরা ১২ ঘণ্টার সময়সীমা বেঁধে আপাতত অবরোধ স্থগিত করার ঘোষণা দেন। তবে তারা স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দেন—ওসি আবু জায়েদ, সার্কেল এসপি আরিফ ও সেকেন্ড অফিসার আসাদের অপসারণসহ দোষীদের শাস্তি নিশ্চিত না হলে আন্দোলন আরও কঠোর হবে।
আন্দোলনকারীরা হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, “আমরা ১২ ঘণ্টা সময় দিলাম। এর মধ্যে দাবি মানা না হলে শুধু পটিয়া নয়, গোটা চট্টগ্রাম, এমনকি সারা দেশ অচল করে দেবো।”
এদিকে হঠাৎ অবরোধ ও ছাত্রদের ক্ষোভ প্রশাসনের ওপর বড় চাপ তৈরি করেছে বলে মনে করছেন স্থানীয়রা। নিরাপত্তা সংস্থাগুলোও বাড়তি সতর্ক অবস্থানে আছে।