পটিয়ায় সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যানেরসহ ৫ জনের বিরেুদ্ধে হত্যাচেষ্টার অভিযোগ
নিজস্ব সংবাদদাতা
১৫ জুলাই, ২০২২, 11:52 AM

নিজস্ব সংবাদদাতা
১৫ জুলাই, ২০২২, 11:52 AM

পটিয়ায় সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যানেরসহ ৫ জনের বিরেুদ্ধে হত্যাচেষ্টার অভিযোগ
পটিয়া প্রতিনিধি: পটিয়ার সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও দক্ষিণ জেলা বিএনপি নেতা ইদ্রিস মিয়াসহ ৫জনের বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ ও স্থানীয় সূত্রে জানাযায়, জায়গা নিয়ে বিরোধের জের ধরে গত মঙ্গলবার সারাদিন উপজেলার দক্ষিণ ছনহরা সিকদার বাড়ি এলাকায় পারিবারিক আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপের মধ্যে বহিরাগত ভাড়া করা লোকজন দিয়ে গোলাগুলি সন্ত্রাসী হামলা ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ঘটনা ঘটেছে। এতে বহিরাগত সন্ত্রাসীদের হামলায় ধারালো বেনেটের আঘাতে আলী আজগর সোহেল(৪০), মঞ্জুরুল আলম (৪৫) নামের দুই জনকে গুরুতর আহত অবস্থায় প্রথমে পটিয়া হাসপাতলে ভর্তি করা হলে কতর্যবরত ডাক্তার তারা দুইজনকেই চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করে। আহতরা বর্তমানে তারা সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থীয় রয়েছে। হামলার ঘটনায় গত বুধবার রাতে আহত মো: জসিম উদ্দিনের স্ত্রী হাসিনা আকতার বাদী হয়ে সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মো: ইদ্রিস মিয়া, সাইফুল ইসলাম সুমন, মফজল আহম্মদ, মাসুদুল ইসলাম রিপন ও মো: আনোয়ারসহ বেশ কিছু অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিকে অভিযুক্ত করে পটিয়া থানায় অভিযোগ করেন। অভিযোগ সূত্রে জানাযায়, ইদ্রিমস মিয়াসহ মাদ্রাসা কতর্ৃপক্ষের সাথে বেশ কিছুদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। যা আদালতে বিচারাধীন রয়েছে। বিরোধীয় এ জায়গায় ১৫/২০ জনের বহিরাগত একদল সন্ত্রাসী এনে পাকা স্থাপনা নির্মাণ করতে গেলে উভয় পক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে ৩ রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুড়ে আতংক সৃষ্টি করে বাদী পক্ষের লোকজনকে মারধর ধরে। এসময় ধারালো বেনটের আঘাতে আলী আজগর সোহেল ও মঞ্জুরুল আলমের পিটে আঘাত করলে তারা রক্তাক্ত জখম হয়। আহতদের উদ্ধার করে পটিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসার পর তাদের চমেক হাসপাতালে প্রেরণ করে। এ ঘটনায় উভয় পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা ও এলাকায় আতংক বিরাজ করছে। এ বিষয়ে পটিয়া থানার ওসি (তদন্ত) রাশেদুল ইসলাম জানান, ইদ্রিস মিয়াসহ ছনহরায় মারামারির ঘটনায় ৫ জনের বিরেুদ্ধে অভিযোগ হাতে পেয়েছি। তবে ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন করেন। ঘটনাটি আরো তদন্ত করে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। এ বিষয়ে সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ইদ্রিস মিয়া বলেন, মাদ্রাসার জায়গা জোর পূর্বক দখল করতে এসে আমার ভাইপোসহ এলাকাবাসী বাঁধা দিলে তাদের উপর হামলা চালায় সন্ত্রাসীরা। এ ঘটনায় কয়েকজন সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করা হয়েছে। মাদ্রাসাটির প্রতিষ্ঠাতা আমি এবং মাদ্রাসার জায়গাও আমার, ঘটনায় জড়িত কয়েকজনকে পুলিশ আটকও করেছে।