ঢাকা ১৯ অক্টোবর, ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম
ক্রিকেটে নতুন যুগের সূচনা: আবির্ভাব হলো টেস্ট টোয়েন্টি দক্ষিণ ভূর্ষি শীতলা মন্দির পরিচালনা কমিটির সভাপতি কাঞ্চন নাথ, সম্পাদক সুমন দেবনাথ “টাইফয়েড এখনো মারাত্মক জনস্বাস্থ্য সমস্যা"—সিভিল সার্জন ডা. জাহাঙ্গীর আলম “টাইফয়েড এখনো মারাত্মক জনস্বাস্থ্য সমস্যা"—সিভিল সার্জন ডা. জাহাঙ্গীর আলম নোবিপ্রবি ক্যাম্পাসে উত্তেজনা: ছাত্রদল কমিটিতে ‘শিবির সংশ্লিষ্টতার' অভিযোগ পটিয়ায় টাইফয়েড টিকাদান ক্যাম্পেইন সফল করতে সমন্বয় সভা পটিয়ায় ভূমি অফিসে দালালবিরোধী অভিযান, এক যুবকের সাজা ডেঙ্গুতে আরও ৯ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ১০৪২ পটিয়ায় একই দিনে অজ্ঞান পার্টির প্রতারণা ও দরজা কেটে ১৫ লাখ টাকার মালামাল চুরি অজ্ঞান পার্টির খপ্পরে স্বর্ণালংকার- নগদ টাকা হারালেন বৃদ্ধা

পটিয়ায় মোটা আমিন এর নেতৃত্বে চলছে পাহাড়ি কাঠ পাচার_নৈপথ্যে বন কর্মকর্তা

#

নিজস্ব সংবাদদাতা

১৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪,  4:43 PM

news image

পটিয়া (চট্টগ্রাম): চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলার কেলিশহর ভান্ডালজুরী পাহাড়ী বনাঞ্চল থেকে ব্যক্তি মালিকানাধীন বাগানের জোত পারমিটের আড়ালে অশ্রেণিভুক্ত ও সংরক্ষিত সরকারি বনের গাছ কেটে মোটা আমিনের নেতৃত্বে পাচার করছে একটি প্রভাবশালী চক্র।

স্থানীয়দের অভিযোগ, বন বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের যোগসাজসে একটি প্রভাবশালী চক্র এই অপকর্মে জড়িত।

ইতিমধ্যে চক্রটি ওই বনের সেগুন, গর্জন, আকাশী সহ বিভিন্ন প্রজাতীর বিপুল পরিমাণ গাছ কেটে পাচার করে দিয়েছে।  

 অনুসন্ধানে জানা যায়, কাঠ পাচারকারী চক্র দুর্গম পাহাড় কেটে ট্রাক চলাচলের জন্য নিজেরাই গোপন রাস্তা নির্মাণ করেছেন। ওই রাস্তায় ট্রাকে করে বনের মাতৃগাছগুলো কেটে নিয়ে আসছে লোকালয়ে। এরপর বাগানের জোত পারমিট দেখিয়ে সেসব পাচার করছে। প্রায় প্রতিদিন প্রাকৃতিক ও সংরক্ষিত বনে অবৈধ ভাবে গাছ কাটা ও পাচার চলছে। শুষ্ক মৌসুম আসলে তা বেড়ে দ্বিগুণ হয়। পটিয়া উপজেলার হাঈদগাও-কেলিশহর ইউনিয়নে অবস্থিত পাহাড় থেকে কয়েক বছর ধরে কুমিল্লার জেলার বাসিন্দা মোটা আমিনের নেতৃত্বে সংরক্ষিত বনের কয়েক কোটি টাকার সেগুন গাছ কেটে পাচার করে দিয়েছে একটি স্থানীয় চক্র। আর তাদের গাছ কাঁটার অনুমতি ও রোড ক্লিয়ারেন্স করে দেন বন বিভাগের কিছু কর্মকর্তা।

হাঈদগাও এলাকার মহিউদ্দিন ও ভিলেজার্স জাহাঙ্গীর আলম নামের এক লোক। বর্তমান যে সংরক্ষিত বন থেকে গাছ কাটা হচ্ছে তার জন্য মহিউদ্দিন ও জাহাঙ্গীর আলমের মাধ্যমে ২৫ লক্ষ টাকা নিয়েছে অসাধু বন কর্মকর্তা এমন তথ্য ও মিলেছে এই প্রতিবেদকের অনুসন্ধানে।

দিনের পর দিন টাকার বিনিময়ে অসাধু বন কর্মকর্তাদের সহায়তায় ও ভূয়া কাগজপত্রের মাধ্যমে উপজেলার বিভিন্ন পাহাড় থেকে প্রতিনিয়ত এ কাঠ পাচার করে আসছে সংঘবদ্ধ চক্রটি। প্রতিদিন জোত পারমিটের নামে হাজার হাজার ঘনফুট সেগুন কাঠ প্রকাশ্যে পাচার করে আসলেও বনবিভাগ কোন ধরনের ব্যবস্থা না নেওয়ায় স্থানীয়দের মাঝে চরম ক্ষোভ করছে।


স্থানীয়রা জানান, গত কয়েক বছর ধরে উপজেলার হাঈদগাঁও, কেলিশহর, খরনা ইউনিয়ন ও পার্শ্ববর্তী বোয়ালখালী, চন্দনাইশ উপজেলার কিছু প্রভাবশালী কাঠ ব্যবসায়ী অসাধু বন কর্মকর্তাদের সহায়তায় গাছ পাচারের সঙ্গে জড়িত। কেউ তাদের বিরুদ্ধে মুখ খুললে বিভিন্নভাবে হয়রানির শিকার হয়।


শুক্রবার কেলিশহর ভান্ডালজুরি পাহাড়ী এলাকায় সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, একটি সংরক্ষিত বন থেকে সেগুন গাছ কেটে ট্রাক ভর্তি করছে শ্রমিকরা। শ্রমিকরা জানান, আমিন, তার ভাই সাজু এ কাঠ কেটে বিভিন্ন জায়গায় সরবরাহ করছে। 


এ বিষয়ে পরিবেশবিদ ড. মুহাম্মদ ইদ্রিস আলী বলেন, 'গাছ বাঁচলে বাঁচবে মানুষ'। বর্তমান সময়ে বনভূমি উজাড়ের ফলে এ পরিবেশ ও জনজীবন বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে। কিছু অসাধু লোক সংরক্ষিত বনাঞ্চল নিধন করে ফেলছে। যারা এই কাজে সম্পৃক্ত তাদেরকে যদি আইনের আওতায় এনে বৃক্ষ নিধন বন্ধ করা না হয় তাহলে সামনে ভয়াবহ প্রাকৃতিক সমস্যার সম্মুখিন হতে হবে আমাদের।

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে পটিয়া বন বিভাগের রেঞ্জ কর্মকর্তা নুরে আলম হাফিজ বলেন, সংরক্ষিত বন থেকে গাছ কাটার বিষয়ে আমি কিছুই জানিনা। সরকারী এবং সংরক্ষিত কোন বনাঞ্চল কেলিশহরে আমাদের নেই।

এবিষয়ে চট্টগ্রাম বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, অত্যন্ত স্বচ্ছ প্রক্রিয়ায় জোত পারমিট অনুমোদন দেওয়া হয়। পারমিটের বাইরে গাছ কাটার ও পরিবহনের কোনো সুযোগ নেই। আমাদের অফিসের কোন কর্মকর্তা অবৈধ কাঠ পাচারে জড়িত থাকলে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নিব।

logo

প্রধান সম্পাদক : হেফাজুল করিম রকিব

সম্পাদক : নূরুন্নবী আলী