পটিয়ায় প্রশাসনের নাম ভাঙ্গিয়ে ঘরের প্রাচীর ভাঙচুর_থানায় অভিযোগ
নিজস্ব সংবাদদাতা
২০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, 3:51 PM

নিজস্ব সংবাদদাতা
২০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, 3:51 PM

পটিয়ায় প্রশাসনের নাম ভাঙ্গিয়ে ঘরের প্রাচীর ভাঙচুর_থানায় অভিযোগ
পটিয়া (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি :- চট্টগ্রামের পটিয়ায় প্রশাসনের নাম ব্যবহার করে এক অসহায় পরিবারের নির্মাণাধীন ঘরের সীমানা প্রাচীর ভাঙচুরের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
গত মঙ্গলবার উপজেলার শোভনদন্ডী ইউনিয়নের রশিদাবাদ ২নং ওয়ার্ড আজগর আলী চৌধুরী বাড়ি এলাকার মোহাম্মদ হাবিবুল্লাহ এর বাড়িতে এই ঘটনা ঘটে।
এই ঘটনায় ভুক্তভোগী হাবিবুল্লাহ থানায় ৯জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত আরো ৭ থেকে ৮জনকে অভিযুক্ত করে লিখিত অভিযোগ করেছেন।
অভিযুক্তরা হলেন, একই এলাকার মোঃ নাছির, মোঃ এমদাদুল্লাহ, মোঃ হাসান, মোঃ শহিদুল্লাহ, আবদুস সালাম, রেজাউল করিম, মোঃ কমু, মোঃ মোরশেদ এবং সাবেক হুইপ সামশুলের ভাই ফয়জুল হক চৌধুরী মহব্বত।
সরেজমীন গিয়ে ও মামলার বিবরণ সূত্রে জানা যায়, ভুক্তভোগীর মৌরশী সম্পত্তির উপর ঘরের কাজ শুরু করলে অভিযুক্তরা বিভিন্নভাবে ভুক্তভোগী পরিবারকে ভয়ভীতি প্রদর্শন করে কাজ বন্ধ রাখার নির্দেশ দেন। এনিয়ে স্থানীয় ও থানা পর্যায়ে বৈঠকের সুরাহা না হওয়ায় বিষয়টি আদালত পর্যন্ত গডায়। আদালত ভুক্তভোগীর সব ডকুমেন্টস পর্যালোচনা করে সঠিক পাওয়ায় ভুক্তভোগীর পক্ষে রায় দেন। এরপরও বিভিন্ন সময় হত্যার হুমকি, মারধর সহ অমানবিক নির্যাতন চালিয়ে আসছিল। সর্বশেষ ১৭ সেপ্টেম্বর অভিযুক্তরা সীমানা প্রাচীর ভাঙচুর করে ক্ষয়ক্ষতি সাধন করেন।
ভুক্তভোগী হাবিবুল্লাহ জানান, সাবেক হুইপ এর ভাই মহব্বত তার ভাই ক্ষমতায় থাকাকালীন অনেক নির্যাতন মামলা মোকাদ্দমা দিয়ে হয়রানী করে আসছিল। নিজের জায়গায় ঘর করতে যাওয়ায় তাদের ধারা অনেক নির্যাতন হয়রানির শিকার হয়েছি। সর্বশেষ সেনাবাহিনীর কথা বলে আমাদের প্রাচীর গুরিয়ে দেন। আমি এই অমানুষদের থেকে পরিত্রান চাই।
অভিযুক্ত শহিদুল্লাহ এর কাছে এই বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, সেনাবাহিনীর কর্মকর্তারা তাদের এই প্রাচীর ভাঙতে বলেছে তাই তারা এটা ভাঙচুর করেছেন।
এই বিষয়ে জানতে চাইলে, পটিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জায়েদ নূর জানান, ভুক্তভোগীর সীমানা প্রাচীর ভাঙচুর করার বিষয়ে ৯৯৯ এ কল দেওয়া হলে এসআই নূর মোহাম্মদ ঘটনাস্থল গিয়ে সরেজমীন তদন্ত করে আসে। আমরা এই ঘটনায় যারা জড়িত তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করব।