পটিয়ায় প্রধান শিক্ষকের রুমে তালা
নিজস্ব সংবাদদাতা
০৮ মে, ২০২৩, 10:12 AM

নিজস্ব সংবাদদাতা
০৮ মে, ২০২৩, 10:12 AM

পটিয়ায় প্রধান শিক্ষকের রুমে তালা
পটিয়া প্রতিনিধি: পটিয়ায় উপজেলার হাইদগাঁও উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের রুমে তালা ঝুলিয়ে দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। গতকাল রবিবার সকালে প্রধান শিক্ষক প্রতিদিনের ন্যায় স্কুলে গেলে দেখতে পায় তার রুমে তালা ঝুলানো। পরে পিয়ন এবং অন্যন্য শিক্ষকদের কে তালা মারছে জানতে চাইলে তারা প্রধান শিক্ষককে জানায় স্কুলের সহকারী প্রধান শিক্ষক শ্যামল কান্তি দে নেতৃত্বে তালা ঝুলিয়ে দেওয়ার অভিযোগ করেন প্রধান শিক্ষক নুরুল ইসলাম শরীফ। তিনি স্কুল পরিচালনা কমিটির সভাপতি হামিদ আলি ও সহকারী প্রধান শিক্ষক শ্যামল দে বিরুদ্ধে জোর পূর্বক পদত্যাগ ও স্কুল থেকে বের করে দেওয়ার হুমকি এবং নিজের নিরাপত্তা ও স্কুলের নিরাপত্তের স্বার্থে পটিয়া থানায় একটি জিডি করেন প্রধান শিক্ষক নুরুল ইসলাম শরীফ। জিডিতে উল্লেখ করেছেন তার থেকে স্কুলের চেক বই, রেজুলেশন খাতা, নোটিশ খাতা জোরপূর্বক কেড়ে নিয়ে যায় এবং মিথ্যা বানোয়াট তথ্য প্রচার করে বিভিন্ন ক্ষেত্রে অপমান নাজেহাল করার পায়তারা চালাচ্ছে। প্রধান শিক্ষকের রুমে তালা ঝুলানো এবং অর্থ আত্নসাতের বিষয়ে জানতে স্কুল পরিচালনা কমিটির সভাপতি হামিদ আলির সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তিনি দেশের বাহিরে অবস্থান করায় তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি। এই বিষয়ে স্কুলের সহকারী প্রধান শিক্ষক শ্যামল কান্তি দে জানান, প্রধান শিক্ষক ৩০ লাখ টাকা বিদ্যালয়ের আত্বসাৎ ও বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নিতির অভিযোগ রয়েছে বলে জানান এছাড়া বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটি প্রধান শিক্ষককে তিনবার কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছেন কিন্তু তিনি দুইবার জবার দিয়েছেন ৩য়বার তিনি জবাব দেননি। তাই পরিচালনা কমিটি আমাকে গত ৩রা মে আমাকে দায়িত্ব দিয়ে প্রধান শিক্ষক নুরুল ইসলামকে দায়িত্ব থেকে সাময়িক বরখাস্ত করেছেন।
প্রধান শিক্ষক নুরুল ইসলাম শরীফ বলেন, আমার বিরুদ্ধে যে অর্থ আত্নসাতের অভিযোগ করেছেন সেখানে ১২ লাখ টাকা কিভাবে খরচ হয়েছে তা জানতে চেয়েছেন পরিচালনা কমিটি, আমি পরিচালনা কমিটি নোটিশের জবাবে টাকা খরচের ভাউচার সহ তাদের প্রেরণ করেছি, সভাপতি যখন স্কুলে চেক বই নিয়ে যায় তখন শিক্ষদের বেতন ,স্কুলের বিদ্যুৎ বিল,স্কুলের মডেল টেস্ট খরচ, অর্ধবার্ষিকী পরিক্ষার খরচ দিতে ৮ লাখ টাকা খরচ করেছি এখানে আত্নসাৎ কোথায় হলো।
এই বিষয়ে পটিয়া মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা রমা কান্ত মজুমদারে বলেন, প্রধান শিক্ষকের রুমে তালা ঝুলিয়ে দেওয়ার বিষয়টি অসৌজন্যমূলক। এটা করা ঠিক হয়নি। আমাকে এ বিষয়ে জানিয়েছেন। তবে পরিচালনা কমিটি যখন প্রধান শিক্ষককে সাময়িক বরখাস্ত করেছেন তিনি কয়েকদিন স্কুলে না গিয়ে উচ্চ পযার্য়ে আপিল করতে পারতেন তাহলে আর রুমে তালা ঝুলানোর বিষয়টি আসতো না।