ঢাকা ২১ অক্টোবর, ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম
ক্রিকেটে নতুন যুগের সূচনা: আবির্ভাব হলো টেস্ট টোয়েন্টি দক্ষিণ ভূর্ষি শীতলা মন্দির পরিচালনা কমিটির সভাপতি কাঞ্চন নাথ, সম্পাদক সুমন দেবনাথ “টাইফয়েড এখনো মারাত্মক জনস্বাস্থ্য সমস্যা"—সিভিল সার্জন ডা. জাহাঙ্গীর আলম “টাইফয়েড এখনো মারাত্মক জনস্বাস্থ্য সমস্যা"—সিভিল সার্জন ডা. জাহাঙ্গীর আলম নোবিপ্রবি ক্যাম্পাসে উত্তেজনা: ছাত্রদল কমিটিতে ‘শিবির সংশ্লিষ্টতার' অভিযোগ পটিয়ায় টাইফয়েড টিকাদান ক্যাম্পেইন সফল করতে সমন্বয় সভা পটিয়ায় ভূমি অফিসে দালালবিরোধী অভিযান, এক যুবকের সাজা ডেঙ্গুতে আরও ৯ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ১০৪২ পটিয়ায় একই দিনে অজ্ঞান পার্টির প্রতারণা ও দরজা কেটে ১৫ লাখ টাকার মালামাল চুরি অজ্ঞান পার্টির খপ্পরে স্বর্ণালংকার- নগদ টাকা হারালেন বৃদ্ধা

পটিয়ায় পাহাড়ি সন্ত্রাসীদের প্রধান সোর্স একরাম ওরপে খুলু গ্রেফতার-অস্ত্র, মাদক, মারামারি সহ আছে একাধিক মামলা

#

নিজস্ব সংবাদদাতা

১৮ মার্চ, ২০২৩,  7:37 PM

news image

মোরশেদ আলম, পটিয়া (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি:-পটিয়া পুলিশের বিশেষ অভিযানে শান্তিবাহিনী (জেএসএস) কমান্ডার ভাংচি মারমার পুত্র ওথায়প্রু মারমার প্রধান সহকারী, অস্ত্র মামলার ১০ বছরের সাজাপ্রাপ্ত আসামী পটিয়া সহ জেলায় মদ সরবরাহকারীর মূল হোতা মো. একরাম ওরপে খুল(৩৭) অবশেষে ধরা পরেছে পুলিশের হাতে। শুক্রবার রাতে উপজেলার হাইদগঁাও ইউনিয়নের সাদেক সওদাগরের বাড়ি এলাকায় একটি মাহফিল চলাকালীন সময়ে পটিয়া থানার এসআই মনোয়ার হোসেনের নেতৃত্বে তাকে গ্রেফতার করা হয়। সে উপজেলার হাইদগাঁও ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ড এলাকার আবুল কাসেমের পুত্র।

স্থানীয়রা জানান, হাঈদগঁাও মাহদাবাদ এলাকার ইকরাম ওরফে খুলু দীর্ঘদিন ধরে পাহাড়ি সন্ত্রাসীদের সোর্স হিসেবে কাজ করে আসছিল। স্থানীয় বন মালিক ও ভিত্তশালীদের তথ্য পাঁচার করে তাদের থেকে মুক্তিপণ আদায়ে সহযোগিতা করে আসছিল। এছাড়াও সে উপজেলার বিভিন্ন জায়গায় মদ সরবরাহ ও অস্ত্র সরবরাহ করে আসছিল। নিজের আধিপত্য বিস্তার করে উপজেলায় মাদকের সর্গরাজ্য গড়ে তুলেছেন। ফলে এলাকার উঠতি বয়সের ছাত্র ও তরুণ যুবসমাজ ধ্বংসের দিকে ধাবিত হচ্ছে।

অনুসন্ধানে জানা যায়, রাঙ্গুনিয়া, বোয়ালখালী ও পটিয়া উপজেলায় ১শ সদস্যের বড় মাদক সিন্ডিকেট রয়েছে ইকরাম এর। দীর্ঘদিন পুলিশের চোখ ফাঁকি দিয়ে মাদক কারবারিদের ট্রানজিট নিরাপদ পয়েন্ট হিসাবে ব্যবহার করছে পটিয়ার কেলিশহর ও হাঈদগঁাও পূর্ব অঞ্চলের পাহাড়ী এলাকা। প্রতিদিন সে মদ ব্যবসা করে ১ থেকে ২ লাখ টাকা আয় করেন। তার অবৈধ কর্মকান্ডের সাথে  স্থানীয় চোকিদার, মেম্বার ও প্রভাবশালী কিছু নেতাদের যোগসাজস আছে বলে জানা গেছে। এছাড়াও পাহাড়ি এলাকায় গত কয়েকবছর কৃষকদের অপহরণের ঘটনায়ও তার নাম উঠে এসেছে।

এ বিষয়ে পটিয়া থানার এস.আই মনোয়ার হোসেন জানান, একরামের বিরুদ্ধে স্থানীয়রা বিভিন্ন সময় থানায় অভিযোগ করে। আমি তাকে দীর্ঘদিন ধরে গ্রেফতার করার জন্য অভিযানে পরিচালনা করলেও তাকে ধরতে ব্যার্থ হয়। সর্বশেষ শুক্রবার রাতে গোপণ সংবাদের ভিত্তিতে রুদ্ধশ্বাস ২ঘন্টার অভিযান শেষে তাকে আমরা গ্রেফতার করি। তার বিরুদ্ধে অস্ত্র মামলায় ১০ বছরের সাজা আছে। এছাড়াও মাদক মামলা, মারামারি সহ অগ্নিসংযোগের একাধিক মামলা রয়েছে। তিনি আরো জানান, একরাম প্রাথমিকভাবে স্বীকার করেছে তার মদের ডিলার আছে। পাহাড়ি সন্ত্রাসীদের সোর্স হিসেবে সে দীর্ঘদিন ধরে কাজ করে আসছে। অস্ত্র, গোলা বারদ সহ দেশীয় অস্ত্র আছে তার কাছে। আমরা তাকে আদালতে পাঠিয়েছি। রিমান্ডে আনার জন্য আদালতে আবেদন করব এবং তার সাথে যারা জড়িত তাদেরকেও আইনের আওতায় আনা হবে।

logo

প্রধান সম্পাদক : হেফাজুল করিম রকিব

সম্পাদক : নূরুন্নবী আলী