পটিয়ায় পাহাড়ি সন্ত্রাসীদের খোঁজে যৌথ অভিযান
নিজস্ব সংবাদদাতা
১৯ এপ্রিল, ২০২২, 3:22 AM

নিজস্ব সংবাদদাতা
১৯ এপ্রিল, ২০২২, 3:22 AM

পটিয়ায় পাহাড়ি সন্ত্রাসীদের খোঁজে যৌথ অভিযান
মোরশেদ আলমঃ- চট্টগ্রামের পটিয়ায় পাহাড়ী সন্ত্রাসীরা একাদিক অপহরণের ঘটনা ঘটিয়ে মুক্তিপণ আদায় করার ঘটনা ইতোমধ্যে ঘটেছে। গত ১২ এপ্রিল ১৪ জন লেবু বাগান মালিক-শ্রমিক অপহৃত হওয়ার পর পাহাড়ি সন্ত্রাসীর গ্রুপের আস্তানার খোঁজে পাহাড়ে যৌথ অভিযান চালিয়েছে সেনাবাহিনী, র্যাব ও পুলিশ।
সোমবার (১৮ এপ্রিল) সকাল থেকে দিনভর উপজেলার কেলিশহর ইউনিয়নের মৌলভীবাজার হয়ে গহীন পাহাড়ে এ যৌথ অভিযান পরিচালনা করা হয়।
একই সময়ে পটিয়া সীমান্তের পার্বত্য চট্টগ্রাম বান্দরবানের সেনা বাহিনীর ডলুপাড়া ক্যাম্পের একটি টিম অভিযান চালায়। কিন্তু সন্ত্রাসি গ্রুপগুলোকে খুঁজে পায়নি।
বান্দরবান সীমান্তে অভিযানে নেতৃত্ব দিয়েছেন সেনাবাহিনীর ডলুপাড়া ক্যাম্পের মেজর মোহাম্মদ তাহমিদ ও পটিয়া সীমান্তে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম) কবির আহমদ, র্যাব-৭ এর পরিদর্শক নূরে আলম, পটিয়া সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তারিক রহমান ও পটিয়া থানার ওসি রেজাউল করিম মজুমদার।
অভিযানে সন্ত্রাসীদের খোঁজে গহীন পাহাড়ের চিতাখোলা, চিল্লাইছড়ি, ধামাইখাল, ভান্ডালজুরি খাল, চান মিঞার খামার, ভান্ডালজুড়ি খালের মুখ, পুলিক পেট, দামাই ছড়ির মুখ, সাবেক সিটি মেয়র মনজুর আলমের খামার ও ভাঙ্গাছড়ি এলাকায় অভিযান চালালেও কোন আস্তানা খুঁজে না পেয়ে দিনশেষে নিষ্পল হয়ে ফিরতে হয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, পটিয়া, বোয়ালখালী, চন্দনাইশ ও রাঙ্গুনিয়া পাহাড়ের নিয়ন্ত্রণ করছে পাহাড়ি ৩ সন্ত্রাসি গ্রুপ। তিনটি গ্রুপের মধ্যে দুটি গ্রুপের নির্দিষ্ট পোষাক থাকলেও একটি গ্রুপের নির্দিষ্ট কোনো পোষাক নেই। তবে তিনটি গ্রুপের কাছেই রয়েছে ভারী অস্ত্র। গত দুই বছর ধরে একটি চাকমা সন্ত্রাসি গ্রুপ পাহাড়ের নিয়ন্ত্রণ করলেও এখন দুটি চাকমা গ্রুপ ও একটি শরফভাটা এলাকার বিভিন্ন সন্ত্রাসিদের সমন্বয়ে গঠিত সন্ত্রাসি গ্রুপ পাহাড় চষে বেড়াচ্ছে। এদের মধ্যে চাকমা দুটি গ্রুপের মধ্যে একটি গ্রুপ জলপাই কালারের পোষাক ও অন্যটি দেশীয় একটি বাহিনীর সাথে মিল রেখে পোষাক ও ওয়াকিটকি ব্যবহার করে বলে জানা গেছে।
স্থানীয়রা জানান, পাহাড়ে শত শত কৃষক চাষাবাদ করলেও অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীদের ভয়ে তারা আতংকে থাকেন। এসব সন্ত্রাসীদের সঙ্গে স্থানীয় কিছু মদব্যবসায়ীর সাথে যোগাযোগ রয়েছে। মদ ব্যবসায়ীরা মদের ব্যবসা সচল রাখতে স্থানীয় কয়েকজন লোক সন্ত্রাসী গ্রুপ গুলোকে লেবু চাষী ও বন মালিকদের তথ্য দিয়ে আসছে।
এবিষয়ে পটিয়া থানার ওসি রেজাউল করিম মজুমদার জানান, পটিয়ার হাইদগাও, কেলিশহর ও খরনা ইউনিয়ন পাহাড় বেষ্টিত হওয়ায় স্থানীয় একটি মাদক সিন্ডিকেট পাহাড়ি সন্ত্রাসী গ্রুপগুলোকে তথ্য দিচ্ছে।
তিনি জানান, এলাকার কৃষক ও সাধারণ লোকজনকে অপহরণ এবং মুক্তিপণ আদায়ের বিষয়টির সত্যতা পাওয়া গেছে। যার কারণে র্যাব, পুলিশ ও পটিয়া সীমান্তের বান্দরবানের ডলু ক্যাম্পের সেনাবাহিনীর টিম একই সময়ে যৌথভাবে অভিযান পরিচালনা করেছে। প্রথমদিনে সন্ত্রাসীদের আস্তানা খুঁজে পায়নি। সন্ত্রাসী নির্মুলে অভিযান চলমান থাকবে বলে তিনি জানান।