পটিয়ায় পানিবন্ধি ৫০ হাজার মানুষ।। চরম দূর্ভোগে হতদরিদ্ররা
নিজস্ব সংবাদদাতা
০৭ আগস্ট, ২০২৩, 9:53 AM

নিজস্ব সংবাদদাতা
০৭ আগস্ট, ২০২৩, 9:53 AM

পটিয়ায় পানিবন্ধি ৫০ হাজার মানুষ।। চরম দূর্ভোগে হতদরিদ্ররা
মোরশেদ আলম, পটিয়া (চট্টগ্রাম):- চট্টগ্রামের পটিয়ায় কয়েকদিন ভারি বৃষ্টির কারনে পানিবন্ধি হয়ে পড়েছে ৫০ হাজার মানুষ। উপজেলার নিম্ন অঞ্চল অবিরাম বর্ষনে প্লাবিত হচ্ছে। এরমধ্যে উপজেলার ১৭টি ইউনিয়ন ও পৌর এলাকার গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি সড়ক পানিতে ডুবে গেছে। এতে করে সকল শ্রেনির মানুষ পানির মধ্যে চলাচল করতে গিয়ে চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। এছাড়াও সাধারণ কেটে খাওয়া মানুষরা খুবই মানবেতর জীবন যাপন করছে।
উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার ১৭টি ইউনিয়ন ও পৌর এলাকায় ১৪ হাজার পরিবার ক্ষয়ক্ষয়তির সম্মুখিন হতে পারে। এরমধ্যে, পৌর এলাকায় ৮’শ পরিবার, ইউনিয়ন পর্যায়ে কোলাগাও ৫৭৫ পরিবার, হাবিলাসদ্বীপ ৭৫০ পরিবার, কুসুমপুরা ৭২৫ পরিবার, জিরি ৯শ পরিবার, কাশিয়াইশ ৮১০ পরিবার, আশিয়া ৭৮০পরিবার, বড়লিয়া ৬৯০ পরিবার, জঙ্গলখাইন ৬৫০ পরিবার, ধলঘাট ৭শ পরিবার, কেলিশহর ৭শ পরিবার, দক্ষিণভূর্ষী ৪৫০ পরিবার, হাইদগাঁও ১১শ পরিবার, ভাটিখাইন ৪৮০ পরিবার, ছনহরা ৬২০ পরিবার, কচুয়াই ৭২৫ পরিবার, খরনা ৩৭০, শোভনদন্ডী ৪৮০ পরিবার বন্যা কবলিত।
সরেজমিন উপজেলার বিভিন্ন স্থান ঘুরে দেখা যায়, গত কয়েকদিনের অবিরাম বর্ষনে নিম্ন অঞ্চলের রাস্তা ঘাট, পুকুর, ফসলিজমি বৃষ্টির পানিতে তলিয়ে গেছে। বৃষ্টির পানিতে আটকা পড়ে অনেকেই অনাহারে দিন কাটাচ্ছে। দিন মজুররা কাজে যেতে না পারায় পরিবারের সদস্যদের মুখে দিতে পারছেন না আহার। এছাড়াও বিশুদ্ধ পানি পান করতে না পারায় মারাত্নক হারে পানিবাহিত রোগে আক্রান্ত হওয়ার শঙ্কায় পড়েছে এ অঞ্চলের মানুষরা।
পানিবন্ধি হয়ে পড়া কাশিয়াইশ ইউনিয়নের আব্দুল করিম জানান, ‘আই অবাজি দিনে আনি দিনে হেই’ ‘আর হন সম্বল নাই, “বন্যায় আটকা পরি আই ভাত হাইন ন পারির,” কোন আল্লার বান্দা যদি এক্কানা আরারে হেল্প গরলি আরা হাইত পাড়তাম (অর্থাৎ আমি দিনমজুর, আমার কোন অর্থ সম্বল নাই, আমি অসচ্ছল, ‘বন্যার কারনে আমি ভাত খেতে পারছিনা’। কোন মানুষ যদি আমাদের সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেই আমরা উপকৃত হতাম।
উপজেলার নিম্ন এলাকা আশিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবুল হাসেমের কাছে বন্যা কবলিত মানুষদের জন্য কোন ত্রান সামগ্রী দিয়েছেন কিনা তা জানতে চাইলে তিনি জানান, এখনো পর্যন্ত আমরা কাউকে কোন ধরনের ত্রান সামগ্রী বা সহযোগিতা করতে পারিনি। আমরা উপজেলা প্রশাসনের সাথে বৈঠকে বসে ত্রান সামগ্রী দেওয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
এই বিষয়ে পটিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আতিকুল মামুন জানান, বর্ন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের আমরা তালিকা প্রণয়ন করেছি। ইউনিয়ন ও পৌর পর্যায়ে চেয়ারম্যান মেম্বারদের সমন্বয়ে আমরা তাদের ত্রাণ সামগ্রী পৌছে দেওয়ার জন্য প্রস্তুতি গ্রহন করছি। ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের জন্য আশ্রয় কেন্দ্র, উদ্ধার টিম, আইন শৃঙ্খলা বাহিনী, সেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলোকে ইতোমধ্যে আমরা প্রস্তুত করেছি।