নিজস্ব সংবাদদাতা
১৬ ডিসেম্বর, ২০২১, 7:52 PM
পটিয়ায় নির্বাচনী ক্যাম্পে ভাংচুর, অগ্নিসংযোগ এলাকায় উত্তেজনা
চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলার ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে পৃথক দুই স্থানে নির্বাচনী ক্যাম্পে হামলা, ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
বৃহস্পতিবার(১৬ ডিসেম্বর) দুপুরে উপজেলার আশিয়া ইউনিয়নে চশমা প্রতীকের স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী মাষ্টার শাহজাহানের নির্বাচনী ক্যাম্পে হামলা ও ভাংচুর করা হয়। এর আগে গত বুধবার রাতে উপজেলার কাশিয়াইশ ইউনিয়নের আনারস প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী মুহাম্মদ কাইছের ভান্ডারগাও নির্বাচনী ক্যাম্প অগ্নিসংযোগ করা হয়। আশিয়া ও কাশিয়াইশ ইউনিয়নের স্বতন্ত্র দুই প্রার্থী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, পটিয়া থানা, উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটার্নিং কর্মকর্তার নিকট লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। উভয় স্থানে পটিয়া থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তদন্ত করছে। এ ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা দেখা দিয়েছে।
আশিয়া ইউনিয়নের চশমা প্রতীকের স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী মাষ্ঠার মুহাম্মদ শাহজাহান লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করে জানান, বৃহস্পতিবার দুপুরে ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ডের বাথুয়া গ্রামের আমার নির্বাচনী অফিসে হামলা ও ভাংচুর করে। নৌকা প্রতীকের প্রার্থী ও বর্তমান চেয়ারম্যান এম এ হাশেম তার দলীয় শতাধিক কর্মী সমর্থকদের নিয়ে প্রকাশ্যে এ হামলা করে। তারা প্রতিনিয়ত আমার কর্মী সমর্থকদের হুমকি দমকি দিয়ে আসছে।
অভিযোগ অস্বীকার করে আশিয়া ইউনিয়নের নৌকা প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী ও বর্তমান চেয়ারম্যান এম এ হাশেম জানিয়েছেন, মূলত আমার প্রতিপক্ষ প্রার্থী একজন স্কুলের শিক্ষক। আমরা তার স্কুলে প্রচারনা চালাতে গেলে তিনি তার স্কুলের পিয়ন দিয়ে শিক্ষার্থীদের সরিয়ে দেয়। এ নিয়ে বাকবিতন্ডা হয়। আমার কর্মী সমর্থক কেউ তার নির্বাচনী ক্যাম্প ভাংচুর করেনি।
অপরদিকে, কাশিয়াইশ ইউনিয়নের আনারস প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী মুহাম্মদ কাইছ জানান, স্থানীয় জনগন ও আমার কর্মী সমর্থকদের উতসাহ ও স্ব উদ্যোগে গনসংযোগ, প্রচার প্রচারনা দেখে প্রতিপক্ষ নৌকা প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী এম এ কাশেম ইর্ষান্বিত হয়ে তার সন্ত্রাসী বাহিনী আমার নির্বাচনী ক্যাম্প জ¦ালিয়ে দিয়েছেন।
তবে কাশিয়াইশ ইউনিয়নের নৌকা প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী ও বর্তমান চেয়ারম্যান আবুল কাশেম জানিয়েছেন, এটি একটি ডাহা মিথ্যা কথা। গত ৫ বার আমার ইউনিয়নের জনগন আমাকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করে চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেছি। মূলত কাইছ তার কার্যালয়ে নিজেই অগ্নিসংযোগ করে নির্বাচনী পরিবেশ বানচাল করতে চাচ্ছে।
উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আরাফাত আল হোসাইনী জানান, দুই ইউনিয়নে পৃথক দুই ঘটনায় অগ্নিসংযোগ ও হামলার অভিযোগ পাওয়া গেছে। আমরা বিষয়টি গুরুত্বসহকারে নিয়ে খতিয়ে দেখছি।
পটিয়া থানার ওসি রেজাউল করিম মজুমদার বলেন, আমরা লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। নির্বাচনী পরিবেশ কিংবা আইনশৃঙ্খলার যাতে কোন ধরনের ব্যথয় না ঘটে পুলিশ সার্বক্ষনিক টহলে রয়েছে।