নিজস্ব সংবাদদাতা
৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, 7:00 PM
পটিয়ায় নবীকে নিয়ে অবমাননা- হামলা- ভাংচুর, আহত মেজরের স্ত্রী-সন্তান সহ ৪জন
পটিয়া (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি:- চট্টগ্রামের পটিয়ায় প্রিয়নবী হযরত মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে নিয়ে প্রার্থ বিশ্বাস নামের এক ছেলে কটুক্তি করার প্রতিবাদে মাদ্রাসার ছাত্রদের বিক্ষোভ কর্মসূচী, থানা ভাংচুর, সেনাবাহিনীর গাড়িতে হামলার ঘটনা ঘটেছে। এসময় বিক্ষুব্ধ উগ্রপন্থীদের হাতে মারধরের শিকার হয়ে গুরতর আহত হয়েছে পটিয়ায় দায়িত্বরত সেনাবাহিনীর মেজর তাইজের স্ত্রী-সন্তান, গাড়ি চালক সহ আরো ৪জন।
আহতদের মধ্যে মেজর পুত্র ফারহান আজমীরের(২৬) মাথায় ও পায়ে গুরতর জখম হয়। প্রত্যেকেই স্থানীয় একটি প্রাইভেট ক্লিনিকে চিকিৎসা নিয়েছেন। এছাড়াও মেজরের গাড়ি, ও পটিয়া থানার ইট-পাটকেল ছুড়ে গ্লাস ভাংচুর করা হয়। এদিকে প্রার্থ বিশ্বাসের বিরুদ্ধে পটিয়া থানায় একটি মামলা হওয়ার পরেই জেলা ডিবি পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। পরে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়।
জানা যায়, উপজেলার শোভনদন্ডী ইউনিয়নের কুরাঙ্গিরি গ্রামের পার্থ বিশ্বাস পিন্টু গত ২৯ সেপ্টেম্বর ফেসবুকে প্রিয়নবীকে নিয়ে কটুক্তি করে একটি পোস্ট দেন। এই পোস্ট মুহূর্তে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে নেটিজেনরা প্রতিবাদের ঝড় তোলেন। এর ধারাবাহিকতায় কটুক্তিকারী প্রার্থ বিশ্বাসকে গ্রেফতার ও তার শাস্তির প্রতিবাদে সোমবার সকাল থেকেই বিক্ষোভে ফুসে উঠে পটিয়া মাদ্রাসার ছাত্ররা। পটিয়া থানা পুলিশ আন্দোলনকারীদের ফিরে যেতে বললেও তারা ফিরে না গিয়ে থানায় প্রবেশ করে বিক্ষোভ শুরু করে দেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনতে সেনাবাহিনী থানায় পৌঁছলে শুরু হয় হট্টগোলের। এরপর উগ্রপন্থীরা থানায় ও সেনাবাহিনীর গাড়ি ভাংচুর ও হামলা চালায়।
আন্দোলনকারীরা জানান, অবমাননাকারীকে গ্রেফতার করলেও তাকে জনসম্মুখে এনে ক্ষমা চাইতে বাধ্য করাতে হবে। জনসম্মুখে আনার পরেই তাকে আদালতে পাঠানো যাবে এর আগে নই।
এই বিষয়ে পটিয়া সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আরিফুল ইসলাম জানান, অবমাননাকারীর বিরুদ্ধে আমরা মামলা দায়ের করে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে তাকে গ্রেফতার করি। তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। আন্দোলনকারীদের আমরা আশ্বস্থ করেছিলাম দোষীর সর্বোচ্চ বিচার হবে। এরপরও কিছু কুচক্রী মহল হামলা ও ভাংচুরের মত ঘটনা ঘটিয়েছে। তিনি আরো জানান, আন্দোলনে ছাত্রদের ভেতর প্রবেশ করে এক পক্ষ ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করতে চাই আমরা তা হতে দিবনা। যারা হামলা চালিয়েছে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।