পটিয়ায় তিন যুবলীগ নেতাকে ব্রাশফায়ারের ঘটনায় ৮ আসামি কারাগারে
নিজস্ব সংবাদদাতা
০৯ জুন, ২০২২, 12:52 AM

নিজস্ব সংবাদদাতা
০৯ জুন, ২০২২, 12:52 AM

পটিয়ায় তিন যুবলীগ নেতাকে ব্রাশফায়ারের ঘটনায় ৮ আসামি কারাগারে
পটিয়া: চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলা যুবলীগের সাবেক যুগ্ন আহ্বায়ক ডি.এম জমির উদ্দিন সহ যুবলীগের তিন নেতাকে ব্রাশফায়ারে হত্যাচেষ্টার ঘটনায় ৮ আসামিকে কারাগারে প্রেরণ করেছে আদালত।
এই মামলায় যাদের কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে তারা হলেন, নজরুল ইসলাম সোহেল প্রকাশ (শিবির সোহেল) (৩২), আবদুর রাজ্জাক রানা প্রকাশ গোল্ডেন রানা (৪০), এনাম হোসেন (৪৩), মো. করিম (৩১), মো. আলমগীর (২৯), সিরাজুল ইসলাম পাভেল (২৭), আসিফুল ইসলাম (২৩), আবদুল হামিদ (৩৫)।
এছাড়া এ মামলার আরো ৪ আসামী জঙ্গলখাইন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শাহদাত হোসেন সবুজ, জঙ্গলখাইন ইউনিয়ন আ’লীগের সভাপতি অসীত বড়ুয়া, ওয়ার্ড আ’লীগের সভাপতি আবদুল হামিদ ও হাবিলাসদ্বীপ ইউনিয়ন আ’লীগ নেতা গিয়াস উদ্দিন মিঠুর জামিন আবেদন মঞ্জুর করেছে আদালত। এ মামলার অন্যতম আরেক আসামী মোজাম্মেল হক লিটন প্রকাশ ডাকাত লিটন পলাতক রয়েছে।
বুধবার বিকেলে জামিন আবেদনের শুনানি শেষে চট্টগ্রাম জেলা দায়রা জজ আদালতের বিশেষ ট্রাইবুনাল-১ এর বিজ্ঞ বিচারক আজিজ আহমদ ভূঞা শুনানী শেষে এ আদেশ দেন।
এর আগে গত ২২ এপ্রিল রাতে নাম উল্লেখ করে ১৪ জন ও অজ্ঞাত ৪-৫ জনকে আসামী করে পটিয়া থানায় মামলা দায়ের করেন সাইফুল ইসলাম সাইফু।
প্রসঙ্গত, গত ২১ এপ্রিল পটিয়া উপজেলা যুবলীগের সাবেক যুগ্ন আহ্বায়ক ডি.এম জমিরের নেতৃত্বে নেতাকর্মীরা আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের উদ্যোগে ইফতার মাহফিল ও আলোচনা সভার দাওয়াত দিতে ধলঘাট ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মুক্তিযোদ্ধা রফিক আহমেদের বাড়িতে যান। দাওয়াত দিয়ে ফেরার পথে আমজুরহাট এলাকায় সন্ত্রাসীদের গুলিতে গুরতর আহত হন উপজেলা যুবলীগের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক ডিএম জমির উদ্দিন, উপজেলা যুবলীগের সাবেক সহসম্পাদক সাইফুল ইসলাম সাইফু এবং যুবলীগ নেতা ইকবাল হোসেন।
এ মামলার রায় পরবর্তী উপজেলা যুবলীগের সাবেক যুগ্ম আহবায়ক ডি এম জমির বলেন, ইফতার মাহফিল উপলক্ষে বিভিন্ন মুক্তিযোদ্ধা, প্রবীণ আওয়ামীলীগদের দাওয়াত দিয়ে বাড়ি
ফেরার পথে আমজুর হাট এলাকায় বিচ্চু বাহিনীর লালিত সন্ত্রাসীরা দেশী বিদেশী অস্ত্র নিয়ে আমাদেরকে ব্রাশফায়ার করে হত্যা করতে চেয়েছে। আমাদের উপর সবার দোয়া আছে তাই সেদিন বেচে ফিরেছি।
তিনি বলেন, ব্রাশফায়ার করার পর পুলিশ প্রশাসন একটা আসামী ধরেনি একটা অস্ত্র উদ্ধার করেনি। আমরা প্রধানমন্ত্রীর পরিক্ষিত সৈনিক আমাদের মেরে পটিয়ায় বিএনপি জামায়াত এর পুনরায় ঘাটি করার জন্য নীল নকশা বুনছে বিচ্চু বাহিনী। প্রশাসনের প্রতি বিনীত আবেদন জানান তিনি যাতে সন্ত্রাসী বিচ্চু বাহীনি রেহায় না পাই।
এ বিষয়ে মামলার বাদী সাইফুল ইসলাম বলেন, আমরা আইনকে শ্রদ্ধা করি। যার কারণে সেদিন আমাদের কে মেরে ফেলতে চেয়েছে তবুও আমরা আইন হাতে তুলে নেইনি। আমি শুধু বলব ব্রাশফায়ারের ঘটনায় জড়িত প্রত্যেক আসামীকে উপযুক্ত শাস্তি দিয়ে বুজিয়ে দেওয়া হউক আইন সবার জন্য সমান। সেই সাথে প্রশাসনের প্রতি জোর দাবি জানাচ্ছি যারা গ্রেফতার হয়েছে তাদের রিমান্ড মঞ্জুর করে হত্যা চেষ্টার প্রকৃত রহস্য উদঘাটন বের করা হউক। এবং এই সন্ত্রাসী বাহিনীর অস্ত্রের ভান্ডার খুজে বের করে সব অস্ত্র যাতে প্রশাসন উদ্ধার করে।
#এমএ