মোরশেদ আলমঃ-  চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলার ইউনিয়ন পর্যায়ে ছাত্রলীগের কমিটি দেওয়াকে কেন্দ্র করে চরম নাটকীয়তা দেখা দিয়েছে। গত মঙ্গলবার রাতে উপজেলা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক নাজমুল সাকের সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন ১টি গ্রুপ ইউনিয়ন পর্যায়ে তাদের পছন্দের প্রার্থীদের জায়গা করে দিয়ে উপজেলার ১৬ ইউনিয়ন ও হুলাইন ছালেহ নূর ডিগ্রী কলেজে কমিটি ঘোষণা করলেই শুরু হয় চরম নাটকীয়কতার। এরপর ঘন্টা না যেতেই পাল্টা ১৭ ইউনিয়ন ও একটি কলেজে কমিটি দেন যুগ্ন আহ্বায়ক ইবলুর নেতৃত্বাধীন আরেকটি গ্রুপ।

এদিকে অযোগ্যদের স্থান দেওয়ায় কমিটি ঘোষণার পরপর পদত্যাগের হিড়িঁক পড়ে। কমিটি ঘোষণার পর উপজেলার দক্ষিণ ভূর্ষি ইউনিয়নের সভাপতি রাসেল কান্তি দে, কেলিশহর ইউনিয়নের সভাপতি বোরহান উদ্দিন, হাবিলাসদ্বীপ ইউনিয়নের সভাপতি ফৌজুল আলিম রুপু, আশিয়া ইউনিয়নের সহ-সভাপতি মোহাম্মদ গালিব চৌধুরী, যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক তানবির ফরহাদ, কুসুমপুরা ইউনিয়নের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক শেখ মিজানুর রহমান কমিটি থেকে পদত্যাগ করেন। এদিকে উপজেলার কচুয়াই ইউনিয়ন ছাত্রলীগের কমিটিকে বেআইনি বলে ঘোষণা করে বিবৃতি দেন ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ। চেয়ারম্যান ইনজামুল হক জসিম, উপজেলা আ’লীগের সিনিয়র সভাপতি আবদুল খালেক, ইউনিয়ন সভাপতি মো. মুছা খান ও সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট অন্জন বিশ্বাস স্বাক্ষরিত এই বিবৃতিতে বলা হয় উপজেলা ছাত্রলীগের আহাবায়ক কমিটি কতৃক ঘোষিত কমিটিকে তঁারা সমর্থন করেন না। এই কমিটি সম্পূর্ণ বেআইনি বলে তঁারা আখ্যা দেন। এছাড়াও এক ইউনিয়নে ঘন্টার ব্যবধানে ২/৩টি কমিটি দেওয়ার ও ঘটনা ঘটেছে।

এদিকে এ কমিটির ঘোষণার কথা চারিদিকে ছড়িয়ে পড়লে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি এস এম বোরহান উদ্দিন তার ফেসবুকে একটি পোস্ট দেন। তিনি তার পোস্টে লিখেন, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা ছাত্রলীগের প্যাডে পটিয়া উপজেলা ছাত্রলীগের যে কমিটি দেখা যাচ্ছে তা সম্পূর্ণ এডিটিং করা ভূয়া। কেউ যাতে এই কমিটি নিয়ে বিভ্রান্ত না হয়। এছাড়াও উপজেলা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক কমিটির ২ গ্রুপের কমিটি দেওয়াকে কেন্দ্র করে ৪ ঘন্টার সোশ্যাল মিডিয়ায় ঝড় বয়ে যাওয়ার পর উপজেলা আহ্বায়ক কমিটিকে বিলুপ্ত ঘোষণা করেছে দক্ষিণ জেলা ছাত্রলীগ। সভাপতি এস এম বোরহান উদ্দিন ও মো. আবু তাহের স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে জানানো হয় মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ায় বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়েছে পটিয়া উপজেলা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক কমিটিকে।

জেলা ছাত্রলীগের ভাইস প্রেসিডেন্ট উপজেলা ছাত্রলীগের ৩ নং যুগ্ন আহ্বায়ক ইবলু জানান, কয়েকজন স্বার্থন্বেষী লোক টাকার বিনিময়ে অযোগ্যদের স্থান করে দেওয়ার জন্য এই কমিটি ঘোষণা করেছে। এই কমিটি সম্পূর্ণ অবৈধ। কমিটিতে যাদেরকে স্থান দেওয়া হয়েছে তঁাদের সম্পর্কে খেঁাজ নিলে জানা যাবে তঁাদের বয়স ও তঁারা কে কি করে। পাল্টা কমিটির দেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি জানান, উপজেলা ছাত্রলীগের অধিকাংশ যুগ্ন আহ্বায়ক বাদ দিয়ে কিভাবে এই কমিটি ঘোষণা করা হয়। তাই আমরা যোগ্যদের স্থান দিয়ে নতুন আরেকটি কমিটি ঘোষণা করি।

কমিটি ঘোষণার বিষয়ে জানতে বারবার মোবাইল ফোনে উপজেলা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক নাজমুল সাকের ছিদ্দিকী ও ১ নং যুগ্ন আহ্বায়ক সেলিম উদ্দিনের সাথে অনেকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তিনি কল রিসিভ করেননি।

এ বিষয়ে দক্ষিণ জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি এস এম বোরহান উদ্দিন জানান, আমরা উপজেলা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক কমিটিকে একটি চিঠি দিয়েছিলাম। কমিটি ঘোষণা করলে যাতে আমাদের সাথে