পটিয়ায় কর্মচারী সেজে মালামাল চুরি'-অবশেষে পুলিশের কাছে ধরা চোর কর্মচারী
নিজস্ব সংবাদদাতা
১৯ জুলাই, ২০২২, 1:04 PM

নিজস্ব সংবাদদাতা
১৯ জুলাই, ২০২২, 1:04 PM

পটিয়ায় কর্মচারী সেজে মালামাল চুরি'-অবশেষে পুলিশের কাছে ধরা চোর কর্মচারী
মোরশেদ আলম, পটিয়াঃ গত চার মাস আগে পটিয়া বাসষ্টেশন এলাকার আয়েশা ইলেকট্রনিক্স নামের একটি দোকানে চাকরি নেন শান্ত চক্রবর্ত্তী নামের এক যুবক। ব্যবসায়িক সুবাধে চাকরির ৩দিন পর পরিচয় হয় পৌর এলাকার মল্লিক ট্রেডার্স নামের আরেকটি ইলেকট্রনিক্স এর দোকানের মালিক কৃষ্ণ মল্লিকের সাথে। শান্তর সাথে নিয়মিত যোগাযোগ রেখে এর ১১দিনের মাথায় আয়েশা ইলেকট্রনিক্স এর পণ্য চুরি করে শান্তকে বিক্রির করার জন্য লোভনীয় অফার দেন। এরপর মল্লিক ট্রেডার্সের মালিক কৃষ্ঞ মল্লিকের দেওয়া অফার লুপে নিয়ে শান্ত আর.আর ক্যাবলসের ২.৫ ও ১.৫ মডেলের দুই কয়েল তাড় মল্লিক ট্রেডার্সকে অর্ধেক মূল্যে বিক্রি করেন। এরপর থেকে মল্লিক ট্রেডার্সে নিয়মিত ইলেট্রনিক্স সামগ্রী দিয়ে আসছিলেন শান্ত। এইভাবে চাকরির তিন মাসের মধ্যে আয়েশা ইলেকট্রনিক্স এর মালিক বোরহানুর রহমানের চোখ ফঁাকি দিয়ে প্রায় আড়াই লাখ টাকার ইলেকট্রনিক্স পণ্য অর্ধেক মূলে মল্লিক ট্রেডার্স কে দিয়েছেন শান্ত।
বোরহানুর রহমান গত শুক্রবার ১৫ জুলাই দোকানের সিসি ফুটেছ চেক করেন। এমন অবস্থায় চোর কর্মচারী শান্ত ঘটনার টের পেয়ে ওয়াশরুমে যাওয়ার নাম করে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় বোরহান ঐদিন রাতে শান্তকে আসামী করে থানায় অভিযোগ দিলে এর পরের দিন সকালে পুলিশ শান্তকে গ্রেফতার করে।
চট্টগ্রামের সিনিয়র জুডিশিয়াল আদালতের বিচারক কৌশিক আহমেদ খন্দকারের কাছে ৬৪ ধারায় জবানবন্দি রেকর্ড করা হয়। জবানবন্দিতে তিনি আয়েশা ইলেকট্রনিকসের দোকান থেকে গত তিন মাস ধরে ক্যাবল চুরির কথা স্বীকার করেন।
এ মামলায় শান্ত চক্রবর্তীকে জেলে পাঠানো হলেও তার দেওয়া তথ্য মতে সোমবার (১৮ জুলাই) রাত সাড়ে নয়টার দিকে পটিয়া সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তারিক রহমান ও পরিদর্শক ওসি (তদন্ত) রাশেদুল ইসলাম এবং মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপপরিদর্শক মনোয়ার হোসাইনের নেতৃত্বে পুলিশের একটি বিশেষ টিম পটিয়া পৌর সদরের ক্লাব রোডের মল্লিক ট্রেডার্সে অভিযান চালিয়ে আর আর ক্যাবল ব্রান্ডের ১০টি বৈদ্যুতিক তারের কয়েল উদ্ধার করে পুলিশ।
এ ব্যাপারে পটিয়া সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তারিক রহমান জানান, ‘শান্ত চক্রবর্তী গত চার মাস ধরে ওই দোকানে চাকরি করে আসছে। সে সুবাদে মল্লিক ট্রেডার্সের মালিক কৃষ্ণ মল্লিকের সাথে যোগসাজশে দফায় দফায় মূল্যবান মালামাল চুরি করে আসছে। সোমবার রাতে আমরা আবারো মল্লিক ট্রেডাস নামের একটি ইলেকট্রনিকসের দোকানে অভিযান চালিয়ে ১০ টি তারের কয়েল উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনার পর থেকে ওই দোকানের মালিক পালিয়ে গেছে।’