পটিয়ায় ইজারার নামে অবৈধ মাটি ও বালু উত্তোলন
নিজস্ব সংবাদদাতা
০২ মে, ২০২৩, 5:10 PM

নিজস্ব সংবাদদাতা
০২ মে, ২০২৩, 5:10 PM

পটিয়ায় ইজারার নামে অবৈধ মাটি ও বালু উত্তোলন
পটিয়া (চট্টগ্রাম)প্রতিনিধি: চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলায় বালি ইজারাকৃত জায়গায় বালি না কেটে অন্য স্থান থেকে অবৈধভাবে মাটি কাটার অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয়দের অভিযোগের প্রক্ষিতে ভারপ্রাপ্ত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রাকিবুল ইসলামের নির্দেশনায় ভূমি অফিসের কর্মকর্তাগণ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। ইজরাকৃত দাগ সার্ভেয়ার দ্বারা পরিমাপ করান। উপজেলা ভূমি অফিসের কানুনগো মৃদুল শশী চাকমা, পটিয়া সদরের তহসিলদার শাহজাহান, সার্ভেয়ার সোহেল রানা ও খরনা ইউনিয়ন ভূমি অফিসের তহসিলদার সাজ্জাদ হোসেন উপস্থিত ছিলেন।
সূএে জানা যায়, উপজেলা ভূমি অফিস থেকে প্রবাহমান খাল দেখিয়ে পারিগ্রাম ও লট শ্রীমাই এলাকার মোট ১১ দশমিক ৩ একর খালের ইজারা দেওয়া হয়। তাতে মনগড়া চৌহদ্দি উল্লেখ করা হয়। এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে ইজারার স্থান বাদ দিয়ে অন্য স্থান থেকে এক্সকাভেটর দিয়ে মাটি কাটছে ইজারাদার প্রতিষ্ঠান। যদিও শর্ত মোতাবেক এক্সকাভেটর ব্যবহারেরও এতে কোনো সুযোগ নেই।
পটিয়া ভূমি সার্ভেয়ার সোহেল রানা বলেন, আমরা ভারপ্রাপ্ত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রাকিবুল ইসলামের নির্দেশে সরেজমিন পরিদর্শন পূর্বক পরিমাপ করেছি। পরিমাপের প্রতিবেদন জানিয়েছিতিনিই এ ব্যাপারে পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহন করবেন।
ভারপ্রাপ্ত ইউএনও রাকিবুল ইসলাম বলেন, সরেজমিনে তদন্তের জন্য বর্তমানে মাটি কাটা বা বালু উত্তোলন বন্ধ রেখেছি। আমরা ইজারাদারকে সতর্ক করেছি। ভূমি অফিসের একটি টিম সরেজমিন ঘুরে এসেছে। ইজারার দাগ চিহ্নিত করে বুঝিয়ে দেওয়া হবে। ইজরাকৃত স্থানের বাইরে থেকে বালু কাটর কোন সুযোগ নেই । খালের পাশে গ্রামের মানুষের প্রতিবাদের কারণে শ্রীমাই খালের ইজারা বন্ধ রাখা হয়েছে। খালার প্রবাহ না থাকলে ইজারা দেওয়ার নিয়ম নেই।
ইজারাদার রফিকুল ইসলাম বলেন, আমরা সরকারি বিধি মোতাবেক টেন্ডারে অংশ নিয়ে ইজারা পেয়েছি। ইতোমধ্যে সরকারের কোষাগারে টাকাও জমা দিয়েছি। সরকারের নির্দেশনার বাইরে বালি কাটা হয়নি।