পটিয়ার ৩ ইউনিয়নের বিষ ফোঁড়া অবৈধ বালু মহাল
নিজস্ব সংবাদদাতা
০৮ অক্টোবর, ২০২২, 6:11 PM

নিজস্ব সংবাদদাতা
০৮ অক্টোবর, ২০২২, 6:11 PM

পটিয়ার ৩ ইউনিয়নের বিষ ফোঁড়া অবৈধ বালু মহাল
মোরশেদ আলম, পটিয়া:- চট্টগ্রামের পটিয়ায় শ্রীমাই খালের বালু উত্তোলনে ঘরবাড়ি, রাস্তাঘাটা ব্রীজ এবং ফসলি জমির ক্ষয়ক্ষতি নিরসনে মানববন্ধন ও সাংবাদিক সম্মেলন করেছে স্থানীয়রা। শনিবার (৮ অক্টোবর) সকাল ১১টায় হাঈদগঁাও ও কচুয়াই ইউনিয়নের সর্বস্তরের জনসাধারণের ব্যানারে রাজাঘাটা ব্রীজের উপর এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, আ’লীগ নেতা মাহাবুব আলম, সমাজসেবক আলী মাস্টার, ওসমান গনি, আব্দুল মান্নান, বদিউল আলম, হাইদগাঁও ৩নং ওয়ার্ড সভাপতি মো. নুর মিয়া, সেক্রেটারী মো. বদরুজ, সাবেক ছাত্রনেতা মোঃ বেলাল উদ্দিন, আব্দুল মাবুদ, ব্যবসায়ী ও সমাজসেবক হুমায়ুন কবির, হাইদগাঁও ২নং ওয়ার্ড আ’লীগের সভাপতি মনসফ আলি, খলিলুর রহমান, কামাল উদ্দিন, আহমদ কবির, ছাত্রলীগ নেতা ইমতিয়াজ চৌধুরী বাবু, সমাজসেবক আবদুল মুনাফ, ব্যাংকার কামাল উদ্দিন, শফিউল আলম সুমন, ছাত্রনেতা নুরল ইসলাম রিয়াদ প্রমুখ।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, বালু মহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন ২০১০ অনুযায়ী সড়ক, কালভার্ট, ব্রীজ ও বিভিন্ন স্থাপনার সর্বনিম্ন এক কিলোমিটারের মধ্যে নদী, খাল ও পুকুর থেকে ড্রেজার মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলন করা যাবে না। অথচ হাঈদগঁাও ও কচুয়াই ইউনিয়নে প্রভাবশালী বালু মহাল প্রভাব বিস্তার করে সরকারী আইনকে বৃদ্ধাঙ্গলি দেখিয়ে দিনের পর দিন অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে যাচ্ছে।
তারা বলেন, আমরা কৃষি জমি ও বাড়ি-ঘর শ্রীমাই খালে হারিয়ে উদ্বাস্তু হয়ে সরকারের সাহায্য পেতে চাই না। আমরা চাই সরকার দ্রুত এই অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধ করে আমাদেরকে রক্ষা করুক। স্থানীয় প্রভাবশালী আ’লীগের নেতাদের শক্তিতে বালু খেকোরা যা নয় তার চেয়ে অনেক বেশি খাল গর্ত করে একই জায়গা থেকে ইচ্ছে মতো বালু তুলছে। তারা বলেন, প্রশাসনের কাছে একাধিকবার লিখিত ও মৌখিকভাবে অভিযোগ দিয়েও আশানুরুপ কোন ফল পাননি গ্রামবাসীরা। প্রতিবাদ করতে গেলেই হুমকি-ধামকীর শিকার হতে হচ্ছে। রাতের অন্ধকারে বাড়ি বাড়ি গিয়ে ঘর ঘর তল্লাশি করে পুলিশ দিয়ে ধরে নিয়ে আসার ভয় লাগানো হচ্ছে। আমরা বালু মহালের রাহু গ্রাস থেকে পরিত্রান চাই, মুক্তি চাই।
বক্তারা, অতি দ্রুত এই অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধ করে উপজেলার হাঈদগঁাও, কচুয়াই ও খরনা ইউনিয়নে চলাচলের অন্যতম ব্রীজ রাজ ঘাটা ব্রীজ রক্ষা, ঘরবাড়ি রক্ষা ও কৃষি জমিগুলো বাঁচাতে সরকারের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন।