ঢাকা ২২ নভেম্বর, ২০২৪
সংবাদ শিরোনাম
সেনাকুঞ্জে হাস্যোজ্জ্বল খালেদা জিয়া, যা বললেন ড. ইউনূস ইতিহাসে প্রথম ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল হলো রংপুর পঞ্চগড়ে তাপমাত্রা ১৪ ডিগ্রি শিখা অনির্বাণে রাষ্ট্রপতি ও প্রধান উপদেষ্টার শ্রদ্ধা যুক্তরাষ্ট্রে গৌতম আদানির বিরুদ্ধে মামলা, নেপথ্যে কী ঠান্ডা আবহাওয়ার জন্য ভাতা দেবে যুক্তরাজ্য গ্যাংস্টার লরেন্স বিষ্ণোইয়ের ভাই আমেরিকায় গ্রেপ্তার ফ্যাসিবাদী বয়ান দেওয়া গণমাধ্যম চিহ্নিত করা হবে: প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকদের সড়ক অবরোধ, পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক আরও ৫ দিনের রিমান্ডে

নেত্রকোনায় স্ত্রীকে গলা কেটে হত্যায় যুবকের মৃত্যুদণ্ড

#

১৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২২,  2:59 PM

news image
স্ত্রীকে গলা কেটে হত্যা

নিজস্ব প্রতিনিধি : নেত্রকোনায় স্ত্রীকে গলা কেটে হত্যা করেন স্বামী  মিলন মিয়া (৩০)। সোমবার দুপুর পৌনে ১২টার দিকে নেত্রকোনা জেলা দায়রা জজ মো. শাহজাহান কবির আসামির মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন। 

নিহত নাসরিন আক্তার শিবপুর উপজেলার তেলিয়া গ্রামের নাজিম উদ্দিনের মেয়ে।

মৃত্যুদণ্ডাপ্রাপ্ত মিলন মিয়া জেলার বারহাট্টা উপজেলার বৃ-কালিকা গ্রামের লুৎফর রহমানের ছেলে। তিনি দীর্ঘদিন ধরে নেত্রকোনা পৌরশহরের সাতপাই এলাকার একটি ভাড়া বাসায় বসবাস করে আসছিলেন।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০১৬ সালে নরসিংদীর একটি ফ্রিজের দোকানে চাকরি করার সময় মিলন মিয়ার সঙ্গে নাসরিন আক্তারের পরিচয় হয়। পরে একপর্যায়ে তাদের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে।

একই সালে ১০ জানুয়ারি মিলন মিয়া ও নাসরিন বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন তারা। বিয়ের পর মিলন মিয়া জানতে পারে যে, তার স্ত্রী নাসরিন একজন দেহ ব্যবসায়ী।  সেই থেকে তাদের সম্পর্কের অবনতি ঘটতে শুরু করে। এ নিয়ে প্রায় সময়ই স্ত্রী নাসরিন স্বামী মিলন মিয়াকে মারধর করত।

এ অবস্থায় স্বামী মিলন মিয়া পরিকল্পনা করে স্ত্রী নাসরিন আক্তারকে প্রথমে ছুরি দিয়ে বুকে একাধিক আঘাত করে এবং পরে তাকে গলা কেটে হত্যার পর লাশ একটি ধানক্ষেতে ফেলে রাখে।

এ ঘটনায় ২০১৭ সালের ২০ আগস্ট নেত্রকোনা মডেল থানা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) মো. সোলায়মান হক বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে একটি মামলা করেন। মামলাটির তদন্ত শেষে নাসরিন আক্তারের স্বামী মিলন মিয়াকে একমাত্র আসামি করে একই বছরের ৮ নভেম্বর আদালতে অভিযোগপত্র (চার্জশিট) দাখিল করেন।

এদিকে আদালত সাক্ষ্যপ্রমাণ শেষে সোমবার এ রায় ঘোষণা করেন।

মামলায় আসামিপক্ষের আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট মো. নুরুল কবীর রুবেল এবং রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ছিলেন পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) ইফতেখার উদ্দিন আহাম্মদ।

পিপি ইফতেখার উদ্দিন আহমেদ জানান, মামলার রায়ে আমরা সন্তুষ্ট। এ রায় সমাজে মানুষকে আইনের প্রতি আরও শ্রদ্ধাশীল করে তুলবে।

logo

সম্পাদক : হেফাজুল করিম রকিব

নির্বাহী সম্পাদক : শাহ এম রহমান বেলাল