ঢাকা ২২ অক্টোবর, ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম
আত্মহত্যা বা আত্মহনন একটি সাময়িক সমস্যার চিরস্থায়ী সমাধান নয় আত্মহত্যা বা আত্মহনন একটি সাময়িক সমস্যার চিরস্থায়ী সমাধান নয় ক্রিকেটে নতুন যুগের সূচনা: আবির্ভাব হলো টেস্ট টোয়েন্টি দক্ষিণ ভূর্ষি শীতলা মন্দির পরিচালনা কমিটির সভাপতি কাঞ্চন নাথ, সম্পাদক সুমন দেবনাথ “টাইফয়েড এখনো মারাত্মক জনস্বাস্থ্য সমস্যা"—সিভিল সার্জন ডা. জাহাঙ্গীর আলম “টাইফয়েড এখনো মারাত্মক জনস্বাস্থ্য সমস্যা"—সিভিল সার্জন ডা. জাহাঙ্গীর আলম নোবিপ্রবি ক্যাম্পাসে উত্তেজনা: ছাত্রদল কমিটিতে ‘শিবির সংশ্লিষ্টতার' অভিযোগ পটিয়ায় টাইফয়েড টিকাদান ক্যাম্পেইন সফল করতে সমন্বয় সভা পটিয়ায় ভূমি অফিসে দালালবিরোধী অভিযান, এক যুবকের সাজা ডেঙ্গুতে আরও ৯ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ১০৪২

নানা রঙে নজর কাড়ে অতি প্রাচীন ‘তাজ মসজিদ’

#

২৬ মার্চ, ২০২৩,  2:37 AM

news image

চট্টগ্রাম অফিস 

চট্টগ্রামের অতি প্রাচীন চন্দনপুরা মসজিদ। যেটি অনেকের কাছে মসজিদ-ই-সিরাজ-উদ-দৌলা বা চন্দনপুরা বড় মসজিদ বা তাজ মসজিদ নামেও পরিচিত। নগরীর চকবাজারের সিরাজ-উদ-দৌলা সড়কে অবস্থিত এ মসজিদের চারদিকে যেন রঙের মেলা। নানা রঙ, লতা-পাতার নকশা আর কারুকাজে স্থাপনার প্রতিটি অংশে ফুটিয়ে তোলা সৌন্দর্য নজর কাড়ে যে কারো।

জানা যায়, ১৮৭০ সালে মোগল স্থাপনা শিল্পের আদলে মাটি ও চুন সুরকির দেয়াল আর টিনের ছাদ দিয়ে মসজিদটি প্রতিষ্ঠা করেন আব্দুল হামিদ মাস্টার। সে সময়ও মাটির দেয়ালগুলো ছিল কারুকাজে ভরপুর। পরে ১৯৪৬ সালে আব্দুল হামিদ মাস্টারের বংশধর ব্রিটিশ সরকারের ঠিকাদার আবু সৈয়দ দোভাষ মসজিদটির সংস্কার কাজে হাত দেন। পাঁচ লাখ টাকার বেশি ব্যয়ে ভারতের কলকাতা থেকে কারিগর ও দিল্লীসহ বিভিন্ন স্থান থেকে নির্মাণ সামগ্রী এনে ১৩ শতক জায়গার ওপর দোতলা মসজিদটি গড়ে তোলা হয়।

এ মসজিদে রয়েছে ছোট-বড় ১৫টি গম্বুজ। প্রতিটি গম্বুজে যাওয়ার জন্য রয়েছে সিঁড়ি। এসব গম্বুজ ও সিঁড়িতেই যেন ফুটে উঠেছে মোগল স্থাপত্য নিদর্শনের প্রতিচ্ছবি। গম্বুজের চারপাশে রয়েছে জান্নাতের সুসংবাদ পাওয়া ১০ সাহাবীর নাম।

যখন মাইকের ব্যবহার ছিল না, তখন প্রায় চারতলা সমান উঁচু মিনারে ওঠে দেয়া হতো আজান। এমন দুটি মিনার এখনো রয়েছে মসজিদটিতে। এছাড়া চারপাশের দেয়ালগুলোতে রয়েছে ভেন্টিলেশন পদ্ধতি। দেয়ালের ফাঁক গলে ঢোকে আলো। আলোর ঝরণাধারায় ঝলমল করে মসজিদের ভেতরের অংশ। থাকে বাতাসের কোমল পরশও।

একই নকশায় নগরীর কোতোয়ালির মোড় এলাকায় আরো একটি মসজিদ তৈরি করেন আবু সৈয়দ দোভাষ। যেটি এ মসজিদের চেয়ে আকারে ছোট। ফলে এটিকে চন্দনপুরা বড় মসজিদ বা তাজ মসজিদ নামে অভিহিত করা হয়।

চট্টগ্রামের পর্যটন শিল্পের পরিচয় তুলে ধরতে ১৫০ বছরের পুরোনো এ মসজিদের ছবিও ব্যবহার করা হয় দেশ-বিদেশের বিভিন্ন প্রকাশনায়। ফলে মসজিদটি এক নজর দেখতে চলে আসেন দেশ-বিদেশি পর্যটকরা।

মসজিদ পরিচালনা কমিটির একজন মোহাম্মদ জহুরুল হক জানান, ১৯৫০ সালে তার দাদা আবু সৈয়দ দোভাষ মসজিদটির পুননির্মাণ কাজ শেষ করেন। এখনো প্রতি পাঁচ বছরে একবার মসজিদটিকে রাঙানো হয়। একবার রাঙাতে সময় লাগে প্রায় তিন থেকে চার মাস। মসজিদের বড় গম্বুজটির ওজন প্রায় ১৩ মণ। যেটি রুপার তৈরি। সবুজ, গোলাপি ও হলুদ রঙে গম্বুজটিকে রাঙানো হয়। 

সেখানকার স্থানীয় বাসিন্দা মোরশেদ আলম বলেন, চন্দনপুরা মসজিদের আশপাশে আরো অনেক মসজিদ থাকলেও এখানে মুসল্লির সংখ্যা বেশি। দূর-দূরান্ত থেকে মসজিদটি একনজর দেখতে আসেন মানুষ। প্রতিদিন অন্তত ৮ থেকে ৯শ’ মানুষ এ মসজিদে নামাজ আদায় করেন। জুমার দিনে যা তিনগুণ ছাড়িয়ে যায়। এলাকায় এমন প্রাচীন ও দৃষ্টিনন্দন একটি মসজিদ থাকা আমাদের জন্য সৌভাগ্যের।

logo

প্রধান সম্পাদক : হেফাজুল করিম রকিব

সম্পাদক : নূরুন্নবী আলী